রাজধানীর লেকশোর হোটেলে বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের (বিওয়াইএলসি) এক গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে সংগঠনটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ভারওয়েজ বলেন, ‘তরুণরা তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা অনুধাবন এবং একটি সমৃদ্ধ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গঠনে একসাথে কাজ করার জন্য একটি ভিত্তি পাওয়ার দাবিদার।’
‘আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য যুবসমাজকে প্রস্তুত করে সামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে এবং তাদের প্রস্তুত করার জন্য যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে তার জন্য আমি বিওয়াইএলসি পরিবারকে অভিনন্দন জানাতে চাই,’ যোগ করেন তিনি।
বিওয়াইএলসি তাদের বিল্ডিং ব্রিজেস থ্রু লিডারশিপ ট্রেনিং (বিবিএলটি) কোর্সের ২১ ও ২৩তম ব্যাচ এবং বিল্ডিং ব্রিজেস থ্রু লিডারশিপ ট্রেনিং জুনিয়র (বিবিএলটিজে) কোর্সের ১৩ ও ১৫তম প্রোগ্রামের জন্য এ গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বিওয়াইএলসি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ইজাজ আহমেদ বলেন, ‘নেতৃত্ব হলো একটি সম্প্রদায় বা দেশের যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো মোকাবিলায় সবাইকে নিয়ে কাজ করা। আমি আশা করি বিওয়াইএলসি’র প্রশিক্ষণ আমাদের সমাজের উন্নয়নের জন্য গ্র্যাজুয়েটদের অজীবন নেতৃত্ব চর্চায় অনুপ্রাণিত করবে।’
২০১৯ সালে ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যম এবং মাদ্রাসা থেকে নির্বাচিত মোট ১৭৪ জন শিক্ষার্থী ১০ সপ্তাহব্যাপী বিবিএলটি এবং ৬ সপ্তাহব্যাপী বিবিএলটি জুনিয়র প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিওয়াইএলসি থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে।
এ লিডারশিপ গ্রোগ্রামগুলোর অর্থায়ন করা হয় নেদারল্যান্ডস দূতাবাস থেকে।
বিবিএলটি ও বিবিএলটি জুনিয়রের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় ধরে নেতৃত্বের তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক ধারণাগুলো সম্পর্কে কঠোর প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে তাদের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে।
বিগত এক দশকে বিওয়াইএলসি প্রধান আটটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে বিওয়াইএলসি বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ, সমবেদনা ও সহনশীলতা, মূল্যবোধ জাগ্রত করা এবং তাদের চাকরি ও উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে সহায়তা করে চলেছে। এর মাধ্যমে সংগঠনটি তরুণদের দেশের সরকারি, বেসরকারি ও বেসামরিক খাতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।