পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে শাকিলকে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে হাজির করে। পরে বিচারক ধ্রুব জ্যোতি পাল শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পিবিআই বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে গোপন খবরের ভিত্তিতে ফেনী শহরের উকিল পাড়ার একটি বাসা থেকে শাকিলকে গ্রেপ্তার করে। তিনি সোনাগাজীর উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের প্রবাসী রুহুল আমিনের ছেলে।
নুসরাত হত্যা মামলার আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম গত ১৪ এপ্রিল আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে জানান, মাদরাসার ছাদে নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়ার সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শাকিল নিচে গেইট প্রহরার দায়িত্বে ছিলেন।
মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত আট আসামির সবাইসহ ২১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের মধ্যে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।
আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে জড়িত যাদের নাম এসেছে তাদের মধ্যে একমাত্র শাকিলই এতদিন গ্রেপ্তারের বাইরে ছিলেন বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানিয়েছেন।
মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২৭ মার্চ আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় নুসরাতকে ৬ এপ্রিল মাদরাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নুসরাত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান।