নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন শহীদ নূরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
দলগুলোর মধ্যে ছিল-বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
রবিবার দলের নেতাকর্মীরা গুলিস্তানের নূর হোসেন চত্বরে (জিরো পয়েন্ট) এ জড়ো হয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
রাজনৈতিক কর্মী নূর হোসেন ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচার এইচএম এরশাদবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় নূর হোসেনের যাবজ্জীবন
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অ্যাক্টিভিস্ট দীপক সেন বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চাই। আগের সরকারের অধীনে কোনো গণতন্ত্র ছিল না, আর আজও কোনো গণতন্ত্র নেই। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম যে নতুন সরকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মনোযোগ দেবে, কিন্তু তা হয়নি।’
মাহিন শাহরিয়ার নামে আরেকজন বলেন, ‘আমরা এই দিন প্রতি বছর আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখব।’
পূর্ববর্তী সরকারের পতন এবং তাদের ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে মাহিন বলেন, ‘স্বাধীনতার জন্য জনগণের গণঅভ্যুত্থানে যে রক্ত ঝরেছে, তা এখনও তাদের হাতে লেগে আছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য কোনো স্থান নেই। যদি তারা আবার রাজনীতিতে ফিরে আসার চেষ্টা করে, তবে জনগণ নিশ্চয়ই তাদের বাধা দেবে। আমরাও তাদের প্রতিরোধে কর্মসূচি নেব। যদি কেউ স্বৈরাচারী শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে, তবে আমরা আগের মতোই প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’
এদিন উপলক্ষে আজ (রবিবার) দুপুর ১২টায় জিরো পয়েন্টে জনসভার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এদিকে নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ শনিবার তাদের ফেসবুক পেইজে এক পোস্ট দিয়ে দলের সদস্যদের রবিবার দুপুর ৩টায় সেখানে এসে নূর হোসেনকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আহ্বান জানায়। এরপর থেকে গুলিস্তান এলাকায় উত্তেজনা বাড়ে
এবং আশেপাশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাত খুনের আসামি নূর হোসেনকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড