পদ্মা বহুমুখী সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শনিবার। এর মধ্য দিয়ে জাতি একটি নতুন ভোর দেখতে প্রস্তুত। তবে উদযাপনের সময় মঞ্চে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর অনুপস্থিতি অনুভূত হবে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের বিশেষজ্ঞদের আন্তর্জাতিক প্যানেলের প্রধান ছিলেন অধ্যাপক চৌধুরী। এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন তার মতো বাংলাদেশি প্রকৌশলীরা চ্যালেঞ্জিং এ কাজটি করতে পারবেন কি না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যা করতে সক্ষম তাই করতে পারি। যে সব ক্ষেত্র আমাদের জ্ঞানের ঘাটতি বা অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে সেখানে দেখা-শোনার জন্য আমরা বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আসতে পারি।’
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: বাগেরহাট হবে নতুন অর্থনৈতিক হাব
শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই তার অপরিসীম অবদানের কথা স্মরণ করেছেন এবং বলেছেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী যদি তাদের মধ্যে থাকতেন তবে এই সম্পূর্ণ সেতুটি দেখতে পারতেন। ‘আমি তার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকসহ অনেক বড় বড় ব্যক্তি পিছু হটলেও তারা (জে আর চৌধুরীর মতো বাংলাদেশি প্রকৌশলী) হাল ছেড়ে দেননি। বরং তারা সাহস দেখিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রকৌশলী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের অবকাঠামো ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা পালন করা অধ্যাপক চৌধুরী ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল ৭৬ বছর বয়সে মারা যান।
তিনি একজন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষাবিদ, গবেষক, প্রশাসক ও নেতা ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ
বাংলাদেশে কার্যত কোনো গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প অধ্যাপক চৌধুরীর সম্পৃক্ততা ছাড়া বাস্তবায়িত হয়নি।
তিনি এক্সপ্রেসওয়ে, সেতু, উঁচু ভবন, শিল্প ভবন, ট্রান্সমিশন টাওয়ার, এয়ারক্রাফ্ট হ্যাঙ্গার, স্টেডিয়াম, বন্দর ও জেটি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারাইজেশন ইত্যাদি সংক্রান্ত প্রকল্পে বিপুল সংখ্যক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন।