বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতি বছর গড়ে এক বিলিয়ন ডলারের পাটজাত পণ্য রপ্তানি করছে।
তিনি বলেন, আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয় দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করব।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে স্থাপিত ইপিবির বুথে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নানক বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। তৈরি পোশাক বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য। বিশ্বব্যাপী ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ একটা ব্র্যান্ড তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগ্রহী মিশর: পাটমন্ত্রী
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ পোশাকের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। জার্মানি আমাদের রপ্তানি পণ্যের দ্বিতীয় গন্তব্যস্থল। জার্মানিতে আমরা প্রতি বছর সাত বিলিয়ন ইউএস ডলার রপ্তানি করি। যার ৯০ ভাগ গার্মেন্টস পণ্য।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানি পণ্য হিসেবে শুধু গার্মেন্টস পণ্যের উপর নির্ভরশীল না থেকে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কার্যকরি উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিশ্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয় পাট উৎপাদনকারী দেশ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অতি উন্নতমানের পাট উৎপাদিত হয়। আমাদের কাঁচাপাট জার্মানির মার্সিডিজ গাড়ির ফ্রন্টডেক্স তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তরা পাট দিয়ে ২৮২ ধরনের বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদন করছে যা বিশ্বের ১৩৫টি দেশে রপ্তানি হয়।
মেলায় বাংলাদেশ, ভারতসহ অন্যান্য দেশের স্টল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পাটজাত পণ্যের ডিজাইন ও নিউ ট্রেন্ড দেখেছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমি খুবই আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করেছি আমাদের অনেক উদ্যোক্তা চমৎকার পরিবেশবান্ধব পণ্য সামগ্রী নিয়ে মেলায় এসেছে। এবছর বাংলাদেশ থেকে ৪৮ জন উদ্যোক্তা মেলায় তাদের পণ্য প্রদর্শণীর সুযোগ পেয়েছে। ইপিবির সহযোগিতায় এখানে এসেছে ১১জন উদ্যোক্তা।
মন্ত্রী বলেন, দেশে গিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব। কারণ আগামী মেলায় যাতে আরও বেশি উদ্যোক্ত নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রণোদনা ও সরকারি সহযোগিতায় জার্মানিসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে মেলায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করব।
মন্ত্রী বলেন, জার্মানির মেলায় এসে এটা অনুধাবন করতে পেরেছি যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ ছাড়া রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: পাট উৎপাদনে উৎসাহিত করা হবে: পাটমন্ত্রী
প্রত্যেক মাসেই বহুমুখী পাটপণ্যে মেলা আয়োজন করা হবে: পাটমন্ত্রী