চুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে অভিযোগ বা ব্লেম নয়, কোন জায়গায় বাধা আছে এবং সমস্যা হলে কীভাবে সমাধান করা যায় সেটি দেখতে হবে। আমাদের লক্ষ্য শান্তি, আমাদের লক্ষ্য হলো উন্নয়ন।’
তিনি আরও বলেন, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে কমিটি আছে। সমস্যা হলে কীভাবে দ্রুত সমাধান করা যায়, কীভাবে দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় সেটি দেখা হবে। সমস্যা যেমন আছে সমাধানও আছে।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর হতে অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১৩ হাজার ২৯৫ বর্গ কিলোমিটারের পার্বত্য চট্টগ্রামে লোকসংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৬ লাখ।
তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের জন্য করা শান্তি চুক্তি আজ ২৩ বছরে পদার্পন করেছে। শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারা মধ্যে ৪৮টি ধারা পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হয়েছে, ১৫টি ধারা আংশিক ও বাকি ৯টি ধারা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন আছে।
শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে ভূমিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ভূমি নিয়ে কথা হচ্ছে। তার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১৭ সালে সংশোধিত আকারে সংসদে ভূমি কমিশন আইন পাস হয়েছে। ভূমি নিষ্পত্তির জন্য কিছু বিধিবিধান, আইন কানুনের বিষয় আছে। ভূমি মন্ত্রণালয় এটি নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ১৯৭৩ সালেই বঙ্গবন্ধু একটি আলাদা বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটিতে এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু সংখ্যালঘুদের অধিকার অবশ্যই রক্ষা করা হবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ অঞ্চলের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।