তিনি খারাপ কর্মদক্ষতার কারণে ডেসকো ও ডিপিডিসির মতো জনশক্তি কমিয়ে ফেলার বিষয়েও কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন।
তিনি সরকারের এ দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বলেন, ‘আপনাদের দ্বারা যদি আমাদের কাজ না হয়, তবে আপনাদের মানবসম্পদের চাহিদা পুনরায় যাচাই করা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বাপেক্স (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি) আয়োজিত ‘হাইড্রোকার্বন এক্সপ্লোরেশন ইন বাংলাদেশ: প্রোগ্রেস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জস’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন।
হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধান, উৎপাদন ও বিপণনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হলো পেট্রোবাংলা। আর বাপেক্স হলো অনুসন্ধান ও উৎপাদন কার্যক্রমের সাথে জড়িত পেট্রোবাংলার অধীনস্থ সংস্থা।
জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপত্বিতে সেমিনারে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমীন, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মো. আবদুল হান্নান ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বক্তব্য রাখেন।
নসরুল হামিদ বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সকে তাদের ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলেও উভয়ই তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘এমনকি পেট্রোবাংলাকে হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানের ভবিষ্যত কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি সেমিনার করতে বলা হলেও তারা তার আয়োজন করতেও ব্যর্থ হয়েছে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে নসরুল বলেন, সরকার দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানে অত্যন্ত আগ্রহী কেননা সরকারকে বিদেশ থেকে প্রচুর গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তাই, পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সকে আরও বড় দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করতে হবে এবং সেভাবে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো আামাদের যে মানবসম্পদ আছে তারা নিজেদের গণ্ডির বাইরে চিন্তা করতে রাজি না।’
নসরুল হামিদ বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের কর্মকর্তারা সংস্থা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর নতুন উদ্ভাবনের কথা বলেন।
সেমিনারে বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক হাওলাদার তহিদুল ইসলাম ‘ড্রাই, অ্যাবেন্ডেন্ট অ্যান্ড সাসপেন্ডেন্ট ওয়েলস অব বাংলাদেশ’ এবং মহাব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন ‘জিওলজিক্যাল ফিল্ড সার্ভে ফর হাইড্রো কার্বন এক্সপ্লোরেশন ইন বাংলাদেশ: প্রোগ্রেস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জস’ শীর্ষক দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, ভারত সীমান্তের ওপারে একের পর এক কূপ খনন করে গ্যাস ও কূপ পাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশ তার নিজের সীমানায় অনেক কম কূপ খনন করছে এবং এখনো কোনো সাফল্য পায়নি।