সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব) এবং বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রেডিয়েন্টস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফিটা) প্রতিনিধিদের সাথে এক সভা শেষে এ একথা জানান মন্ত্রী।
পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘নীতিমালার মাধ্যমে পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পকে সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করা হবে। এ শিল্পের উন্নয়নে সাধ্যমতো সবকিছু করা হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে দেশিয় অনেক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময়ে বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করা, দারিদ্র্য দূর করা, মানুষকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা, মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটানো এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পোল্ট্রি ও ডেইরি শিল্পের উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।’
আহকাব ও বাফিটার প্রতিনিধিদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ব্যবসা করবেন ঠিক আছে, কিন্তু দেশ, বাজার ও অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর খাদ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখাসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। যাতে সরকারকে বাজার মনিটরিং করতে না হয়।’
পরে অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা দায়িত্ব নিয়ে পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর খাদ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য কাজ করবেন বলে সভায় আশ্বস্ত করেন।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আহকাবের সভাপতি ডা. এম নজরুল ইসলাম, বাফিটার সভাপতি সুধীর চৌধুরী ও মহাসচিব মো. হেলাল উদ্দিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।