তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো প্রকল্পের টাকা নয়-ছয় হোক বা কোনো উইপোকা খেয়ে যাবে তা চাই না। প্রকল্পের অর্থ যেন শতভাগ সেই প্রকল্পের জন্য খরচ হয় এটা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমরা কাউন্সিলরদের পূর্ণ সহযোগিতা চাই।’
নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প বিষয়ে নবগঠিত সিটি করপোরেশন পর্ষদকে অবহিতকরণ সভায় এ কথা বলেন তিনি।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘সরকারের অনেক প্রকল্পের টাকা সেই প্রকল্পের জন্য পরিপূর্ণভাবে খরচ হয়নি, তবু খরচ দেখানো হয়েছে। আমি প্রতিটি প্রকল্পের টাকা নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন হলেও শহরের দরিদ্ররা অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল। আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে চাই। আমরা আগামীতে নগরে বসবাসরত দরিদ্রের হার ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে চাই।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, দেশে এক সময় ৭০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করত, আজ তা ২০ শতাংশে এসেছে। একই সাথে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী ১২ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে। আমাদের বার্ষিক আয় ২ হাজার ডলার অতিক্রম হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ হতে যাওয়া পদ্মাসেতু চালু হলে আমাদের প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ঢাকাকেন্দ্রিক চাপও কমে যাবে।
সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের সভাপতিত্বে এলআইইউপিসি প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান, ইউএনডিপির জাতীয় প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইয়োগেশ প্রাধানাং এবং ইউকেএইড ঢাকা অফিসের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট এডভাইজার আনোয়ারুল হক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।