প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
জাপান সফরকালে ২৯ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে দুই দেশ ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) চুক্তি স্বাক্ষর করবে।
শেখ হাসিনা ৩০ মে এশিয়ার ভবিষ্যত নিয়ে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরব সফরকালে মক্কায় ওআইসির ইসলামিক সম্মেলনের ১৪তম অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি ১ জুন পবিত্র ওমরা পালন এবং ২ জুন হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর রওজা মুবারক জিয়ারত করবেন।
ফিনল্যান্ড সফরকালে ৪ জুন দেশটির প্রেসিডেন্ট সলি নিনিস্তোর সাথে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখানে জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তোশিকো আবে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।
একই দিনে হোটেল ওকুরায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ২৯ মে সকালে হোটেল নিউ ওতানিতে জাপানের ব্যবসায়ী নেতা ও সিইওদের সাথে এক প্রাতরাশ ও আলোচনায় অংশ নেবেন।
পরে তার সাথে ঢাকার হলি আর্টিজান হামলায় নিহত জাপানিদের পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করবেন।
বিকালে তিনি জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সাথে তার কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষে চুক্তি স্বাক্ষর ও যৌথ বিবৃতি দেয়া হবে।
পরে সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বাসভবনে অফিসিয়াল নৈশভোজে যোগ দেবেন।
তিনি ৩০ মে ইম্পেরিয়াল হোটেলে ‘দ্য ফিউচার অব এশিয়া’ শীর্ষক নিক্কাই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেবেন। এবারের ২৫তম সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
সম্মেলনের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ইন সার্চ অব দ্য নিউ গ্লোবাল অর্ডার ওভারকামিং দ্য ক্যাওয়াস’।
পরে জাইকা প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
সন্ধ্যায় নিক্কাই সম্মেলনের নৈশভোজে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী মক্কায় ওআইসির ইসলামিক সম্মেলনের ১৪তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য জেদ্দার উদ্দেশে ৩১ মে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন।
জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তোশিকো আবে প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।
তিনি স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটে কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
সন্ধ্যায় তিনি ওআইসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
সৌদি আরব ৩১ মে মক্কায় ওআইসির ইসলামিক সম্মেলনের ১৪তম অধিবেশনের আয়োজন করছে। এবারের সম্মেলনের শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘মক্কা সামিট: টুগেদার ফর দ্য ফিউচার’।
প্রধানমন্ত্রী ১ জুন রাত সাড়ে ১২টায় সম্মেলনের প্রথম সেশন এবং রাত দেড়টায় দ্বিতীয় সেশনে অংশ নেবেন। সেই সাথে তিনি রাত আড়াইটায় সমাপনী সেশনে অংশ নেয়ার পর সাফা প্রাসাদে সেহরিতে যোগ দেবেন।
সন্ধ্যায় ওমরাহ পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
পরের দিন ২ জুন বিমানযোগে মদিনার উদ্দেশে জেদ্দা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং সেখানে হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর রওজা মুবারকে ফাতেহা পাঠ করে আবার জেদ্দায় ফিরে আসবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ৩ জুন হেলসিংকির উদ্দেশে জেদ্দা ত্যাগ করবেন। তিনি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট হয়ে স্থানীয় সময় বেলা ১টায় ফিনল্যান্ডে পৌঁছাবেন।
তিনি ৪ জুন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে তার সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ৭ জুন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে দেশের উদ্দেশে ফিনএয়ারে হেলসিংকি ত্যাগ করবেন।