প্রাথমিক
বাজেট ২০২৪-২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
গত বছর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার।
বাজেট উপস্থাপনের সময় মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে শিশুর জ্ঞানের ভিত্তি তৈরি হয়। তাই জাতীয় উন্নয়নে প্রাথমিক শিক্ষার প্রভাব তাৎপর্যপূর্ণ এবং এটি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে চলমান কার্যক্রম গতিশীল করার পাশাপাশি এ খাতের উন্নয়নে নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ২৬ হাজার ৩৬৬টি নতুন সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত যেখানে ২০০৬ সালে প্রতি ৫২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১ জন শিক্ষক ছিল, ২০২২ সালে এসে তা প্রতি ৩৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জনে উন্নীত হয়েছে।
এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৫টি কোর ও ৩টি নন-কোর বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া ইংরেজি ও গণিত এবং অন্যান্য ২৭টি বিষয়ে ৫ লাখ ৩৭ হাজার শিক্ষককে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ৬৭টি পিটিআইতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আইসিটি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, 'দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিড' শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১০৪টি উপজেলার ১৫ হাজার ৪৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৭ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য চলমান স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে।’
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ১৫০টি উপজেলা থেকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 'স্কুল ফিডিং কর্মসূচি' চালুর লক্ষ্য নিয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সুচিন্তিত সরকারি নীতির ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় নিট ভর্তির হার ২০০৯ সালের ৯০ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৯৭ দশমিক ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
একই সময়ে ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার ছিল ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
পাশাপাশি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা কাঠামো আধুনিকায়ন ও এর মূল্যায়ন ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লক্ষাধিক ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ইন্টারনেটসহ সাউন্ড সিস্টেম বিতরণ এবং মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী
জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ
৬ মাস আগে
মৌলিক শিক্ষা অধিকার: প্রাথমিক থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণে কাজ করবে দুই মন্ত্রণালয়
মৌলিক ন্যূনতম শিক্ষা অধিকারের ধাপ প্রাথমিক থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করবে।
রবিবার (৫ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক যৌথ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে পুলিশের হামলার নিন্দা জবিরিইউর
বর্তমানে প্রাথমিক থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি ও নানান আর্থ-সামাজিক কারণ ও প্রক্রিয়াগত কারণে শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ে। এ হার রোধ করতে নিম্ন-মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার ব্যয় নামমাত্র বা অবৈতনিক করতে শিক্ষানীতি ২০১০ এ বর্ণিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় সম্মত হয়েছে দুই মন্ত্রণালয়।
এই লক্ষ্যে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অবৈতনিক শিক্ষা তথা পাঠদান কার্যক্রম ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিম্ন-মাধ্যমিক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ব্যয় কমিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ
৭ মাস আগে
রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ থাকবে: হাইকোর্ট
রমজানের প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক এবং ও ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১০ মার্চ) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহমুদা খানম এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ১৪ বছরেও হয়নি সেতু, ভেলায় চড়েই স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান জানান, হাইকোর্ট প্রাথামিক ও মাধ্যমিক স্কুল রোজার মধ্যে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন।
এছাড়া দুই মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ জারি করে রুল দিয়েছেন। এ আদেশের ফলে রোজার মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে শুরু বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল
অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায় জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করা হয়েছে।
আগামী ১১ থেকে ২৫ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
পরে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্তের এই বিজ্ঞপ্তি দুইটি চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে ১৫ দিন খোলা থাকবে স্কুল
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, শিক্ষা সচিব, উপসচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, উপসচিব শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালককে বিবাদী করা হয়। সেই রিটের উপর রবিবার শুনানি হয়।
৯ মাস আগে
যশোরের প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
চলমান শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) যশোরের সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাত ৮টায় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের বেগ ছিল ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার এবং বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও যশোরের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ না হওয়ায় অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপর দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। রাত ৮টায় শৈত্যপ্রবাহের কারণে মঙ্গলবার জেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ সম্পর্কিত স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছে, উল্লেখিত বিষয় ও সূত্রের প্রেক্ষিতে যশোর জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে- চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসের সূচি পরিবর্তন
এতে আরও বলা হয়, যশোর জেলার দিনের তাপমাত্রা সোমবার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিসের বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি (যশোর) থেকে জানা যায়। এ প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন খান জানান, সরকারি নির্দেশনা মতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। যশোরে সোমবার তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি ছিল। মঙ্গলবার একই ধরনের তাপমাত্রা বিরাজ করবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। যে কারণে জেলার ১ হাজার ২৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় মঙ্গলবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হোসেন বলেন, ‘তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি নিচে নামার কারণে স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন ও যশোর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। মঙ্গলবার যেহেতু একই আবহাওয়া বিরাজ করবে সে কারণে জেলার ১ হাজার ২৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৯৩৪টি মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক মাদরাসা ও ভোকেশনাল স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
জয়পুরহাটে তীব্র শীতে প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
১০ মাস আগে
কুড়িগ্রামে প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডার পাশাপাশি তাপমাত্র নেমে যাওয়ায় জেলার ১ হাজার ২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৮৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২২২টি মাদরাসাসহ মোট ১ হাজার ৮৪৮টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এ সময় শিক্ষার্থীদের বাসায় বসে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় এবং তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর না ওঠা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে বলে জানান কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ।
জেলায় গত দুইদিন তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও রবিবার কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ কারণে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: আবহাওয়া অফিস
ইউএনবির কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্য কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকাল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। গরম কাপড়ের অভাবে অনেককেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরকম তাপমাত্রা আরও দু-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ অব্যাহত থাকবে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির উপরে উঠলে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে তীব্র শীতে প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
তীব্র শীতে রাজশাহীর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
১১ মাস আগে
সরকারি প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাসংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা আগামী শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। তবে এদিন শুধু খুলনা, রাজশাহী ও ময়নমনসিংহ বিভাগের চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষা হবে।
তিন বিভাগের ২২টি জেলা শহরে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ
সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা সঞ্চালনা করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
সভায় জানানো হয়, দ্বিতীয় পর্বে মোট পরীক্ষার্থী ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন, কেন্দ্রের সংখ্যা ৬০৩টি, কক্ষের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৫৭টি।
২০২৩ সালের ২০ মার্চ দ্বিতীয় পর্বের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রথম পর্বে বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগের পরীক্ষা গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৪ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৯,৭৬৭ প্রার্থী
২০ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দিলীপ কুমার বণিক, মোছা. নুরজাহান খাতুন, মাসুদ আকতার খানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এপ্রিলে, নিয়োগ জুলাইতে
১১ মাস আগে
পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন আইনমন্ত্রী
রবিবার (৭ জানুয়ারি) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা বা এর কাছাকাছি সময়ে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। পানিয়ারুপ তার নিজ গ্রাম।
আরও পড়ুন: বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইসিটি আইন করা হয়নি: আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশের ইতিহাসে টানা দুই মেয়াদে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকারী আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।
এর আগে তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: অন্যরা ক্ষমতায় আসে খেতে, আওয়ামী লীগ আসে দিতে: আইনমন্ত্রী
এবার কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ দুই হাজার ৫৯০টি। এর মধ্যে কসবা উপজেলার ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮৬টি। আখাউড়া উপজেলার ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৬ হাজার ২০৪টি।
মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৭ হাজার ৮৪৭ জন, নারী ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯ জন এবং হিজড়া চারজন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত বিশ্বে টাকা বিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার কসবা উপজেলা একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ৭৪টি।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না: আইনমন্ত্রী
১১ মাস আগে
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ, ৯৩৩৭ জন উত্তীর্ণ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম পর্বের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ) লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
লিখিত পরীক্ষায় ৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ: পরীক্ষার ১ম ধাপে উত্তীর্ণ ৪০ হাজার ৮৬২
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে www.dpe.gov.bd ফলাফল পাওয়া যাবে।
উত্তীর্ণরা মোবাইল ফোনেও মেসেজ পাবেন। চলতি মাসের ৮ তারিখে তিন বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এ পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ১২ পরীক্ষার্থী আটক, বহিষ্কার ৩
গাইবান্ধায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ আটক ৩৫
১ বছর আগে
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ৮ ডিসেম্বর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের প্রথম পর্বের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছে ৯৮৪১ জন
সভায় জানানো হয়- ৮ ডিসেম্বর প্রথম পর্বের রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮টি জেলার ৫৩৫টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার এ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ পর্বের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও চলবে ক্লাস-পরীক্ষা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ অক্টোবরের সকল পরীক্ষা স্থগিত
১ বছর আগে
প্রাথমিকে থাকছে না বৃত্তি পরীক্ষা
প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে পরীক্ষা বন্ধ হলেও ভিন্ন প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আগামীকাল প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৩ সালে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বৃত্তি পরীক্ষা থাকছে না। ভিন্ন প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, তবে বৃত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী মানদণ্ড থাকবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত ঘোষণা
১ বছর আগে