ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সাথে উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
সরকার উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে ইতিমধ্যে চার লাখের অধিক বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে।
ফণি আরও উত্তর-উত্তরপূর্বে অগ্রসর ও কিছুটা দুর্বল হয়ে ভারতের উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে বলে শুক্রবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে বাংলাদেশে ফণির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হয়েছে। উপকূলীয় জেলার অনেকগুলো গ্রাম ও চর ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের জন্য চট্টগ্রাম, খুলনা ও মোংলায় ৩২টি জাহাজ মোতায়েন করেছে। উপকূলীয় এলাকায় তাৎক্ষণিকভাবে মোতায়েনের জন্য নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সরকার উপকূলীয় ১৯ জেলায় চার হাজার ৭১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র চালু এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে। জাতীয় দুর্যোগ সমন্বয় সাড়াদান কেন্দ্র সর্বশেষ তথ্য সরবরাহ করছে।
আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, পানীয় জল ও ওষুধ মজুদ রাখা আছে বলেও জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।