নিরীহ ফিলিস্তিনিদের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বৈত নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলো দ্বৈত নীতি প্রদর্শন করছে।’
মঙ্গলবার (৪ জুন) সরকারি বাসভবন গণভবনে ফিলিস্তিনি জনগণের সহায়তায় ৫ কোটি টাকার চেক হস্তান্তরকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো সবসময় সবার জন্য মানবাধিকার ও শিক্ষার কথা বলে। ‘কিন্তু ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, সেখানে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা নিয়ে তারা মাথা ঘামায় না, এখানে তারা নীরব।’
আরও পড়ুন: আমাদের কিছুই নেই: হামলায় খাদ্যের সন্ধানে থাকা ফিলিস্তিনিরা
সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় ন্যাটোভুক্ত চারটি দেশের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের সফট কর্নার রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তাদের হৃদয় থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের বেদনা ও যন্ত্রণা উপলব্ধি করতে পারে। যেভাবে ১৯৭১ সালে তারা একই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা একই ধরনের নৃশংসতা ও নিরীহ মানুষকে হত্যা করা দেখেছি।’
১৯৭১ সালে নয় মাস বন্দি থাকার অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর নিজের নির্বাসিত জীবনের কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন বিরোধিতার জন্য লন্ডনের ইউএএল থেকে ডক্টরেট ফেরত দিলেন শহিদুল আলম
তিনি বলেন, 'সুতরাং আমরা ফিলিস্তিনি জনগণের দুঃখ ও দুর্দশা উপলব্ধি করতে পেরেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের প্রতিটি আন্তর্জাতিক ফোরামে তিনি সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, 'এটা করতে গিয়ে আমি কারও চোখ রাঙানি নিয়ে ভাবিনি।’
রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান চলমান ইসরায়েলি হামলার কারণে তার দেশের দুঃখজনক পরিস্থিতি সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।
অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সরকার শিশুদের মেধা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি করেছে : প্রধানমন্ত্রী