ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরাইয়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য স্থায়ী শান্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা পরিষদের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ফিলিস্তিন প্রশ্নসহ মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের উন্মুক্ত বিতর্কে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে দ্রুত অবনতিশীল পরিস্থিতির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ওআইসি।
রাষ্ট্রদূত মুহিত জেনিন শরণার্থী শিবিরে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি আগ্রাসন বৃদ্ধির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আগ্রাসনের নিন্দা জানান। তিনি আরও বলেন, এই আগ্রাসন বৃদ্ধির ফলে নারী ও শিশুসহ অসংখ্য বেসামরিক হতাহতের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামোর ব্যাপক ধ্বংস হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিচার ব্যবস্থার আইন সংশোধনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে ইসরায়েলিরা
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের আগ্রাসন শুধু ফিলিস্তিনিদের মৌলিক মানবাধিকারই লঙ্ঘন করে না, বরং অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্রাপ্তির অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে। একই সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা কেড়ে নেয় এবং তাদের মানবিক মর্যাদার মারাত্মক অবমাননা করে।
মুহিত এসব কর্মকাণ্ডের জন্য জরুরি জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন। জবাবদিহির অভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এ ধরনের কাজ করতে উৎসাহ পাচ্ছে ইসরায়েল।
ওআইসি'র পক্ষ থেকে ইসরায়েলের সব ধরনের বসতি স্থাপন কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অপরাধের পূর্ণ, স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্তের দাবিও জানান মুহিত।
আরও পড়ুন: আল-আকসায় ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ১৫০ ফিলিস্তিনি আহত
তিনি নিরাপত্তা পরিষদের নীতিমালা ৯০৪ (১৯৯৪) এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের সুরক্ষায় জাতিসংঘ মহাসচিবের ২০১৮ সালের রিপোর্টে দেওয়া সুপারিশসহ আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক সুরক্ষায় ওআইসির জরুরি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
ওআইসি'র অবস্থানের প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি মুহিত ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের অটল ও অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি একটি স্বাধীন, টেকসই ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিনের জনগণের বৈধ আকাঙ্ক্ষার ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধান অর্জনে বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অবিচল অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বিতর্কিত ইসরায়েলি নজরদারি প্রযুক্তি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের ভয়ঙ্কর হাতিয়ার: টিআইবি