রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক হাইকোর্টে এ রিট করেন।
জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের ফেসবুক পোস্টের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেয়ার আর্জি জানানো হয়েছে এ রিটে।
রিটে ওই ছবি পোস্ট করা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল জারিরও আবেদন জানানো হয়েছে।
বিচারপতি জেবিএম এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে।
রিটে আইজিপি, সিনিয়র সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি, পিবিআইর প্রধান দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার মনোজ গণমাধ্যমকে বলেছেন, আগামী মঙ্গলবার হাইকোর্টে এ রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে। এর আগে রবিবার একটি ইংরেজি দৈনিকে ‘সাইবার বুলিং নাউ অ্যাডস টু হার ট্রমা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তিনি রিট আবেদনটি করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের ভিডিও তৈরির উদ্যোগের সহকর্মী স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী শিপ্রা দেবনাথ অনলাইনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
তার ছোটভাই শুভজিৎ কুমার দেবনাথ বলেন, পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কিছু লোক শিপ্রার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও উস্কানিমূলক কথাবার্তা ফেসবুকে ছড়িয়ে চরিত্র হননের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান গত ১৪ আগস্ট শিপ্রার ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তার নির্দোষ হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এরকম আরও ছবি আসার ব্যাপারেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের এসপি মিজানুর রহমান শেলিও অনুরূপ পোস্ট দিয়েছেন। শিপ্রার কিছু ছবি পোস্ট করে তিনি তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার যথার্থতার পক্ষে নিজের অবস্থানের কথা ফেসবুকে তুলে ধরেছেন।
এ পোস্টগুলোতে যেসব মন্তব্য এসেছে তার অনেকগুলোই ছিল শিপ্রার জন্য অবমাননাকর। অধীনস্থ কিছু পুলিশ কর্মকর্তাকেও সেখানে এসপির পক্ষে মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত কিছু ফেসবুক গ্রুপ যেমন- পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ, স্যালুট টু বিডি পুলিশ এরকম কিছু গ্রুপেও ছবিগুলো পোস্ট করা হয়েছে।