পুলিশ কর্মকর্তা
পল্লবী থানা হেফাজতে জনি হত্যা: দুই পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল
রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনে গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন জনি হত্যা মামলায় পল্লবী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামরুজ্জামানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
এদিন অপর আসামি এএসআই রাশেদুল হাসানের যাবজ্জীবন দণ্ড কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। গতকাল (রবিবার) এই রায় ঘোষণা শুরু হয় এবং আজ (সোমবার) তা শেষ হয়।
আদালতে আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মো. আবদুর রাজ্জাক এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বদিউজ্জামান তপাদার উপস্থিত ছিলেন। বাদীপক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম।
রায় ঘোষণার সময় মামলার বাদী নিহত ইশতিয়াকের ভাই ইমতিয়াজ হোসেন ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
এর আগে গত ৭ আগস্ট হাইকোর্টে শুনানি শেষে ১০ আগস্ট রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়।
দণ্ডিত পাঁচ আসামির মধ্যে কামারুজ্জামান (তৎকালীন এএসআই) শুরু থেকেই পলাতক। অন্য আসামি সুমন সাজাভোগ করে কারামুক্তি পেয়েছেন। বাকি তিনজনের বিষয়ে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।
জনির মৃত্যুর ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর অধীনে জনি হত্যার মামলাটি করা হয়। এই মামলায় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রায় দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ।
১১৬ দিন আগে
চাঁনখারপুলে ছয় শিক্ষার্থী হত্যা: ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় গত বছরের ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনের সময় ছয় শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
সোমবার (১৪ জুলাই) ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মার্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার চার আসামি—ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল সুজন, কনস্টেবল এমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল নাসিরুল ইসলামকে এদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
অন্য চার আসামি—সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (রমনা জোন) শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম এবং সাবেক সহকারী কমিশনার (রমনা জোন) মোহাম্মদ এমরুল পলাতক রয়েছেন।
পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ ফখরুলের
এর আগে, গত ২৫ মে ট্রাইব্যুনাল মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেয়। ওই দিন প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম অভিযোগপত্র জমা দিলে তা গ্রহণ করা হয়।
তদন্ত সংস্থা ২১ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে ৯০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়, যা ১৯৫ দিনের তদন্ত শেষে প্রস্তুত করা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্ট চাঁনখারপুল এলাকায় গুলিতে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া নিহত হন।
প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, মামলার অভিযোগপত্রে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে কয়েকজন আসামির গুলিবর্ষণে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘কমান্ড দায়বদ্ধতা’র আওতায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
১৪৩ দিন আগে
রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় বাসের ধাক্কায় এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২ জুন) রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শাহজাহানপুরে ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পুলিশ সদস্যের নাম কামরুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এ বিষয়ে শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এসআই কামরুল ইসলাম রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে তার সবুজবাগ এলাকার বাসা থেকে মোটরসাইকেলযোগে কর্মস্থল মতিঝিলের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। শাহজাহানপুর এলাকায় ফ্লাইওভার থেকে নামার পরপরই বলাকা পরিবহনের একটি বাস তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
পরে এসআই কামরুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনার পরপরই চালককে গ্রেপ্তার করে বাসটি ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) ভোরে শাহজাহানপুর থানার এসআই ইলিয়াস মোহাম্মদ এ ঘটনায় একটি মামলা করেছেন।
১৮৫ দিন আগে
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান আইজিপির
দেশের মানুষের সেবায় পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মো. ময়নুল ইসলাম।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বিশেষ কল্যাণমূলক সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
তিনি পেশাদারিত্ব ও জনসেবা প্রত্যাশা পূরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আইজিপি বলেন, শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন উন্নত বাংলাদেশ গড়ার নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। 'নতুন সমাজ গঠন ও বাংলাদেশ পুলিশকে বিকশিত করার সুযোগ আমাদের রয়েছে।' তিনি জোর দিয়ে বলেন, কর্মকর্তাদের অবশ্যই অন্যায় কাজে জড়িত হওয়া উচিত নয় বা অন্যকে তা করতে দেওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: ৪৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি মামুন
তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী দলগতভাবে কাজ করে এবং কার্যকর পুলিশ সার্ভিস গড়ে তুলতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।
আইজিপি বাহিনীর অভ্যন্তরে কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রেখে সহকর্মীদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্যও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
আইজিপি তার বক্তব্যের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।
সভা শেষে আইজিপি পঞ্চগড় সদর সার্কেলের নবনির্মিত অফিস ভবনের উদ্বোধন করেন।
এ সময় রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী, পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী, ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামসহ পঞ্চগড় জেলা পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অপরাধ করে শাস্তি এড়ানোর সুযোগ নেই: আইজিপি
৪০৫ দিন আগে
সিলেটে সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১২টায় নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাবের ভাই আবুল হোসেন মোহাম্মদ আজরফ জাবুর বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক চিফ হুইপকে মারধরের অভিযোগে ডিবির হারুন-বিপ্লব কুমারের বিরুদ্ধে মামলা
মামলায় আসামি হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করে তার পরিবার।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘এজাহারের গুরুত্ব অনুধাবন করে এফআইআর গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
গত ১৯ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর সিলেট কালেক্টরেট জামে মসজিদ এলাকায় বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক তুরাব। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর তুরাবের পরিবারের পক্ষ থেকে ৮ থেকে ১০ জন পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে তাতে কারও নাম উল্লেখ ছিল না।
ওই অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯ জুলাই বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকার কোর্ট পয়েন্টে অবস্থান করছিলেন সাংবাদিক এ টি এম তুরাব। পুলিশ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের একপর্যায়ে তুরাব গুলিবিদ্ধ হয়ে চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে অন্য সহকর্মী ও পথচারীরা তুরাবকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এবং তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নগরীর সোবহানীঘাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
মিরপুরে হত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৪৭২ দিন আগে
আসামি ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু
আসামি ধরতে গিয়ে নদীর পানিতে ডুবে রায়গঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিমের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) সলংগা থানার ধোপাকান্দি এলাকার স্বরস্বতী নদীতে আসামিকে ধরতে ঝাঁপ দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রেজাউল নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমন্ত গ্রামের তোজাম্মেল হক শাহর ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কাভার্ডভ্যান চাপায় বিএনপি নেতার মৃত্যু
তার স্ত্রী নাজমা উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে সিরাজগঞ্জ পুলিশ কোর্টে দায়িত্বে রয়েছেন এবং তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘ডাকাতির মামলার আসামি নাজমুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করার জন্য এসআই রেজাউল ফোর্সসহ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে নাজমুল স্বরস্বতী নদীতে ঝাঁপ দিলে তাকে ধরতে রেজাউলও নদীতে ঝাঁপ দেন। আসামি সাঁতরে নদী পার হলেও রেজাউল উঠতে পারেনি। পানির স্রোতে ডুবে যান তিনি।’
ওসি আরও বলেন, ‘পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
আসামিকে ধরতে এরই মধ্যে পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসআই রেজাউলের মৃত্যুতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় ২ জনের মৃত্যুর অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে ২ জনের মৃত্যু
৫০৭ দিন আগে
পুলিশ কর্মকর্তা কামরুল হাসান-স্ত্রীর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের নামে সব সম্পত্তির দলিল, ফ্ল্যাট ও কোম্পানির আংশিক শেয়ারসহ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৯ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ ড. জিয়াবুন্নেছার আদালত এ নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ‘মোহাম্মদ কামরুল হাসান এবং তার স্ত্রী সায়মা বেগমের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯১৯ টাকার আয়বহির্ভূত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।’
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে বেনজীরের ১০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ
দুদক সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ কামরুল হাসান ১৯৮৯ সালে এসআই পদে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। চাকরির ধারাবাহিকতায় পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) হিসেবে সিএমপিতে কর্মরত। অনুসন্ধানে মোহাম্মদ কামরুল হাসানের নামে ১২ কোটি ৭২ লাখ ৯২ হাজার ৬৯৫ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ২১৬ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১৩ কোটি ৯৬ লাখ ৩১ হাজার ৯১১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
একই সঙ্গে তার মোট ৭০ লাখ ২৮ হাজার ২৪১ টাকা পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়ের তথ্য পাওয়া গেছে।
এসব সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৪ কোটি ৮০ লাখ ৩২ হাজার ৮৭ টাকা। এক্ষেত্রে তার অর্জিত সম্পদের চেয়ে তার বৈধ আয়ের উৎস ৯ কোটি ৮৬ লাখ ২৮ হাজার ৬৫ টাকা কম পাওয়া যায়। তার নামে ৯ কোটি ৭৩ লাখ ২২ হাজার ৪৪ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
একইভাবে তার স্ত্রী সায়মা বেগমের নামে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১ কোটি ৯৯ লাখ ২৮ হাজার ২৪০ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ২ কোটি ৫৩ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। তার সম্পদ অর্জনের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৪০ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৩ টাকা। তার নামে ১ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ১৮৮ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।
দুদক প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় মোহাম্মদ কামরুল হাসান এবং তার স্ত্রী সায়মা বেগম বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী সম্পদ অবরুদ্ধ ক্রোক ও জব্দ করার জন্য আদালতে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বেনজীর-মতিউরের সম্পদের বিবরণী চেয়ে দুদকের নোটিশ
৫১৩ দিন আগে
ফরিদপুরে মাদক মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন
মাদক মামলায় ঝিনাইদহ জেলার সাবেক ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শেখ আজমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ধর্ষণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের যাবজ্জীবন
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ আজম নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার পাচুরিয়া গ্রামের আলী আহমদ শেখের ছেলে। তিনি সিলেট জেলায় কর্মরত ছিলেন।
আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) ছানোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর মধুখালী থানার এসআই কামরুজ্জামান মোবাইল ফোনে খবর পান জেলার মধুখালী রেলগেট পশ্চিম পাশে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হয়েছে।
ওই দুর্ঘটনার মো. মজিবর মোল্লা আহত হন। সে সময় মোটরসাইকেল আরোহী শেখ আজম দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে পুলিশ এসে মোটরসাইকেলের সঙ্গে লাগানো গোপন একটি বাক্স থেকে ৮২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে এবং পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে মধুখালি থানায় মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ।
আসামি চুয়াডাঙ্গা জেলা সীমান্ত থেকে রাজবাড়ী জেলা গোয়ালন্দ ঘাট এলাকা প্রায়ই যাতায়াত করত এবং মাদক পরিবহন ও ব্যবসায় করতো।
২০১৮ সালের ৭ মে মধুখালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান আদালতে এ মামলার অভিযোগ পত্র জমা দেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের ৩(খ) ধারায় আদালত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মোটরসাইকেল আরোহী অপর এক আসামি নুর আলমকে খালাস দেন আদালত।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ১০ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে স্কুলছাত্র হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৫৪৯ দিন আগে
সাভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী নিহত
সাভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী নিহত হয়েছে। এসময় ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ হাসান আহত হন।
রবিবার (১৯ মে) রাত ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুরের জাদুরচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, আহত ২
নিহত হাফিজা আক্তার তানিয়া পুলিশের এএসআই আরিফ হাসানের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, আরিফ তার স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে রাজধানীতে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কের সাভারের জাদুরচর এলাকায় পৌঁছালে একটি গাড়ি পেছন থেকে তাদের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তানিয়ার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী বলেন, রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে আরিফ ও তানিয়াকে হাসপাতালে আনা হয়। এর আগেই পথে তানিয়ার মৃত্যু হয়েছে।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রবাসী যুবক নিহত
মাগুরায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত
৫৬৩ দিন আগে
চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়ায়) সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে পটিয়া থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) তাদের প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যাহারকৃত কর্মকর্তারা হলেন- উপপরিদর্শক সঞ্জয় ঘোষ ও সহকারী উপপরিদর্শক মো. জিয়াউল হক জিয়া।
এর আগে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিনকে একই অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পটিয়া থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. সোলাইমান, এসআই সঞ্জয় ঘোষ, মো. আসাদুর রহমান, রতন কান্তি দে, আকরাম হোসেন সুমন, শিমুল চন্দ্র দাস, জিয়া উদ্দিন, এএসআই মো. ফয়েজ আহমদ, এএসআই অনুপ কুমারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।আরও পড়ুন: কুমারখালীতে পাঁচটি নির্বাচনী কার্যালয় অপসারণ, জরিমানা
তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর পক্ষ নিয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের ঘরে ঘরে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
পটিয়ায় নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আ.ক.ম. শামসুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার কারণে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী নিজেই ওসি (তদন্ত)সহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই ও এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পটিয়া থেকে ওসি (তদন্ত) মো. সোলাইমানসহ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তাদেরকেও দ্রুত প্রত্যাহার করার দাবি জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে সরকার আন্তর্জাতিক সংকটে পড়বে: তৈমুর
৭০৩ দিন আগে