প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, এই চারটি গ্রামের ৪৬১ জন প্রতিবন্ধীকে জনপ্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্রতি পরিবার একটি লুঙ্গি ও একটি শাড়ি পাবে।
তিনি জানান, লুঙ্গি ও একটি শাড়ির জন্য ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এই চারটি গ্রাম হলো- জামশেদপুর, ধলীপাড়া, মাখরগাঁও এবং আমতৈল যা বৃহত্তর আমতৈল গ্রাম নামে পরিচিত।
এই গ্রামগুলোতে প্রতিবন্ধীর হার সিলেটের সামগ্রিক হারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
ইহসানুল করিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এই মানবিক বিষয়টি তার বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে আনেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি তাৎক্ষণিক আমলে নেন। সেই সাথে বর্তমান প্রতিবন্ধী শিশুদের সুস্থতা এবং ভবিষ্যতে সুস্থ প্রজন্ম নিশ্চিত করতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু নির্দেশনা দেন।’
নির্দেশনাগুলো হলো- গ্রামের সকল প্রতিবন্ধীর সমস্যা যথাযথভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনা, সকলকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাউন্সেলিং করা, নিজ বাসস্থানসহ আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, খাদ্যের সকল পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে ভিটামিন সাপ্লিমেন্টারি ওষুধ সরবরাহ এবং সুপেয় পানি নিশ্চিত করা।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী গ্রামে প্রয়োজনীয় মাটি ভরাট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ সিস্টেম চালু এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা, প্রতিবন্ধীদের চাহিদা অনুযায়ী বহুমাত্রিক শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করে প্রতিবন্ধী স্কুল স্থাপন ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করা এবং চাহিদামাফিক প্রয়োজনীয় সহায়ক উপকরণ যেমন: হুইল চেয়ার, ট্রাইসাইকেল, হেয়ারিং ডিভাইস ও দৃষ্টি সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।