পাশাপাশি তাদের খেতাব বাতিলে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
যে চারজনের পদক স্থগিত করা হয়েছে তারা হলেন- শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, এএম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দীন ওরফে মুসলেম উদ্দিন খান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ৪৫ বছর: এখনও পলাতক ৫ খুনি
মঙ্গলবার এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আব্দুল কাইয়ুম খান।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস এ রিট দায়ের করেন। রিটে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও এই চার সাজাপ্রাপ্তদের বিবাদী করা হয়।
রিটকারী সুবীর নন্দী দাস বলেন, রুল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তাদের খেতাব স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্য ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে কমিশন: প্রধানমন্ত্রী
রিটে বলা হয়, ১৯৭৩ সালে সাতজনকে বীরশ্রেষ্ঠ, ৬৮ জনকে বীরউত্তম, ১৭৫ জনকে বীরবিক্রম ও ৪২৬ জনকে বীরপ্রতীক উপাধি দেওয়া হয়। একই সালের ১৫ ডিসেম্বর এ বিষয়ে গেজেট জারি করা হয়। এর মধ্যে নুর চৌধুরী বীরবিক্রম, শরিফুল হক ডালিম বীরউত্তম এবং রাশেদ চৌধুরী ওস মোসলেহ উদ্দিনকে বীরপ্রতীক খেতাব দেয়া হয়।
আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ রকম খেতাব কেড়ে নেয়ার নজির আছে। যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের নজির আবেদনে তুরে ধরেছি।বাংলাদেশেও নজির আছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার সময় আ’লীগ নেতারা কোথায় ছিলেন, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দীর্ঘদিন পর আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি রাতে পাঁচ খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন আহমেদ ও এ কে এম মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এছাড়া গত ১১ এপ্রিল রাতে বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয়।
তবে এখনো পলাতক পাঁচ খুনির মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে ও নুর চৌধুরী কানাডায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। খন্দকার আবদুর রশিদ, শরীফুল হক ডালিম ও মোসলেহ উদ্দিন কোন দেশে অবস্থান করছেন সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার।