তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ৭১-এর পরাজিত শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীরা বাংলাদেশকে, এ দেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্বকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রাদায়িক, গণতান্ত্রিক, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর সেই আদর্শ ও চেতনাকে, বাঙালির আত্মাকে হত্যা করতে চেয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা।’
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অনলাইনে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আলোকবর্তিকা এখন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। তাকে হত্যা করতেই ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা। যারা ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছে, যারা পাকিস্তানের লেজুড়বৃত্তি করে, যারা ধর্মকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, আর্দশ ও ঐতিহ্যকে বিলুপ্ত করতে চায় তারাই ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে কায়দায় এরা হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন চালিয়েছিল ঠিক একই কায়দায়, একই ধারায় দিবালোকে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা করেছে, যুদ্ধের মতো। এ গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে এরা আওয়ামী লীগকে নির্মূল, নেতৃত্বশূন্য এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীদের নিঃশেষ করতে চেয়েছিল।’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। আপনারা সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করবেন। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বাস্তবায়িত হবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, শান্তির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। শোক দিবস পালন অর্থপূর্ণ হবে।’