কর্মী
‘আ. লীগের গ্রেপ্তার কর্মীদের সঙ্গে ট্রাম্পের কোনো সম্পর্ক নেই’
বাংলাদেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের ধরপাকড় বা দমনপীড়ন করা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্টচেকিং ফেসবুক পেইজে জানায়, ছাত্রনেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের মাধ্যমে আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে কিছু ভারতীয় পত্রিকা ‘আক্রমণাত্মকভাবে ভ্রান্ত তথ্য ছড়াচ্ছে’।
এতে আরও বলা হয়, ‘তারা বিপ্লবের পরে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার সংবাদ অতিরঞ্জিত করেছে। আওয়ামী লীগের সমর্থকদের আজকের ধরপাকড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে একইভাবে মিথ্যাচার।’
রবিবার রাজধানীতে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আওয়ামী লীগের কয়েক ডজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি বিবৃতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে ফিরতে ট্রাম্পের ছবি ব্যবহার করছে আ.লীগ: বিএনপি
প্রেস উইং জানায়, ‘গ্রেপ্তারদের মধ্যে কয়েকজনের হাতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ছিল। পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনা তার সমর্থকদের গ্রেপ্তার এড়াতে ঢার হিসেবে ট্রাম্পের ছবি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।’
প্রেস উইংয়ের দাবি, ‘গ্রেপ্তাররা পুলিশকে জানিয়েছেন, তারা মার্কিন রাজনীতি অনুসরণ করেন না এবং শুধু হাসিনার নির্দেশে ট্রাম্পের ছবি নিয়ে বেরিয়েছিলেন।’
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে গতকালের বাংলাদেশের ঘটনাগুলো সম্পর্কে পুরোপুরি ভুল রিপোর্ট করেছে।
তারা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন দিবস (১০ নভেম্বর) উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশকে 'ট্রাম্প সমর্থকদের' সমাবেশ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের বিজয় উদযাপন করতে এসেছিলেন তারা।
বাংলাদেশে কোনো গোষ্ঠী নিজেদের ‘ট্রাম্প সমর্থক’ হিসেবে পরিচয় দেয়নি বা অতীতে তার সফলতা উদযাপন করেনি। এছাড়া, আওয়ামী লীগের নূর হোসেন দিবসের কর্মসূচির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিজয় উদযাপনের কোনো বিষয় উল্লেখ ছিল না।
তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেটি প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ কর্মীদের রবিবারের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর পোস্টারের পাশাপাশি ট্রাম্পের পোস্টারও বহন করতে হবে। বিশেষভাবে ট্রাম্পের পোস্টারগুলো পুলিশি কার্যক্রম থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
আওয়ামী লীগের কর্মীদের এই ঘটনার ছবি তোলার এবং তাদের নেতাদের কাছে পাঠানোর নির্দেশ ছিল; যাতে সেগুলো ট্রাম্পের কাছে পাঠানো যায়। এসব যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে দাবি প্রেস উইংয়ের।
এই নির্দেশনাসম্বলিত একটি কল রেকর্ড গত সপ্তাহে ফাঁস হয়েছিল। যদিও ইউএনবি এই রেকর্ডিংটির সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করেনি। তবে আওয়ামী লীতের অনেক কর্মী পরে একই নির্দেশনা অনুসরণ করে গ্রেপ্তার হওয়ায় এই রেকর্ডিংটির সত্যতা প্রমাণ হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের ছবি নিয়ে মিছিল করতে হাসিনার নির্দেশ: গ্রেপ্তার ১০
১ মাস আগে
পাকিস্তানে পোলিও কর্মসূচির কর্মীদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলা, আহত ৯
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পাকিস্তানি তালেবানের সাবেক শক্ত ঘাঁটিতে রাস্তার পাশে পুতে রাখা বোমা দিয়ে নিরপত্তাকর্মীদের গাড়িতে হামলায় ছয় কর্মকর্তা ও তিন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।
নিরাপত্তা কর্মীদের গাড়িটি পোলিও টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনাকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বহন করছিল।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের জেলা দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এই হামলায় কোনো পোলিও কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী কর্মী আহত হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা তাহরির সরফরাজ।
আরও পড়ুন:পাকিস্তানে ৪ আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী নিহত
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে পুলিশকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
পাকিস্তানে পোলিও রোধ প্রচারণা প্রতিনিয়ত সহিংসতার শিকার হয়ে আসছে। পোলিও টিকাদান কর্মসূচিকে শিশুদের বন্ধ্যাকরণের একটি পশ্চিমা ষড়যন্ত্র দাবি করে সন্ত্রাসীরা টিকাদানকারী দল এবং তাদের সুরক্ষার জন্য নিযুক্ত পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে।
পাকিস্তান ৩ কোটি শিশুকে পোলিও টিকা দেওয়ার অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর সর্বশেষ এ হামলার ঘটনা ঘটল। জানুয়ারি থেকে পাকিস্তানে ১৭টি নতুন হামলার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনা দেশটিতে পোলিও নির্মূলের কয়েক দশকের প্রচেষ্টাকে বিপন্ন করেছে।
পাকিস্তান ও প্রতিবেশী আফগানিস্তানই একমাত্র দেশ যেখানে পোলিওর বিস্তার কখনোই বন্ধ হয়নি।
সম্ভাব্য প্রাণঘাতী, পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগটি বেশিরভাগ ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের আক্রমণ করে এবং সাধারণত দূষিত পানির মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ
৩ মাস আগে
রাবি’র হলে ছাত্রলীগ কর্মীদের কক্ষ ভাঙচুর, ১টি হলকে 'রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা'
সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান মাঠ থেকে একটি মিছিল বের করেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভকারীরা শহীদ হবিবুর রহমান হলে যাওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অন্তত ১২টি কক্ষ ভাঙচুর করেন।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দলে দলে শহীদ হবিবুর রহমান মাঠে জড়ো হতে থাকেন। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তারা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।
এ সময় তারা কক্ষের বাইরে ছাত্রলীগ সদস্যদের বিছানাপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা ক্যাম্পাসের পশ্চিম অংশের নারী হলের দিকে চলে যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তাদের দাবি তুলে ধরার ঘোষণা দেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলকে রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত দাবি জমা দিলে বুধবার দুপুরে প্রভোস্ট তাতে সই করেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে হলের শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমরা হলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছি। ভবিষ্যতে এই সাময়িক নিষেধাজ্ঞা স্থায়ী করা হতে পারে।
৫ মাস আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মীরা যেতে না পারায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- জানতে চান হাইকোর্ট
মালয়েশিয়ায় কর্মীরা যেতে না পারায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আগামী সাত দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হাসান দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিক এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব, পুলিশের আইজি ও বায়রা মহাসচিবকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আদালতে শুনানিতে ছিলেন, রিটকারি আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ ও বিপ্লব পোদ্দার।
তানভীর আহমেদ বলেন, ২ জুন এ বিষয়ে রিট আবেদন করা হয়। রবিবার (৩০ জুন) শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত।
গত ২ জুন ‘৩০ হাজার যুবকের স্বপ্ন ভেঙে ২০ হাজার কোটি টাকা লুট’- শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
আরও পড়ুন: সানভীস বাই তনি শোরুম খুলে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ঢাকা ওয়াসার ডিএমডি ইয়াজদানির বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে বাতিল
৫ মাস আগে
১৪ বছরে ১৭৬ দেশে ৯৭ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী গেছেন
২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ১০ লাখ ৮৫ হাজার ১১৭ জন নারী শ্রমিকসহ মোট ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ২৫০ জন বাংলাদেশি কর্মে যুক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত। প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশের অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে
তিনি বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিগুণ হয়ে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বজায় রাখতে এবং বৈশ্বিক শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে বিদেশি ভাষা শেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে মোট ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৭০ জনকে বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ৪৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের (টিটিসি) মাধ্যমে জাপানি, ইংরেজি, কোরিয়ান ও চাইনিজসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাণিজ্যভিত্তিক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান ১০৪টি টিটিসি ছাড়াও আরও ৫০টি টিটিসি স্থাপনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া 'দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান' শীর্ষক প্রকল্পটি বিগত ৫ বছরে মোট ১ লাখ ২ হাজার ৪০০ জনকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
মাহমুদ আলী বলেন, দেশে ফিরে আসা কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার জন্য সরকার প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
এ তহবিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে ফিরে আসা ১২ হাজার ৮৯০ জন প্রবাসী ২৯৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন।
এছাড়া ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈধভাবে বিদেশে যাওয়া নিহত প্রবাসী কর্মীদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৪৩৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বাজেট ২৪-২৫: আরও সাশ্রয়ী হবে কিডনি ডায়ালাইসিস
বাজেট ২৪-২৫: দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের
৬ মাস আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোতে গাফিলতির তদন্ত করা হবে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে না পারার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
এছাড়াও এ সংকট তৈরির পেছনে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১ জুন) দুপুরে সিলেটে সরকারি আলিয়া মাদরাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো সম্পন্ন করতে কাজ চলছে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, পাঁচ লাখেরও বেশি কর্মী পাঠানোর জন্য মালয়েশিয়া সরকার কোটা দিয়েছিল। সেই কোটা পূরণে কাজ করেছিল বাংলাদেশ। রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার সঙ্গে কথা বলে কাদের ভিসা হয়েছে আর কাদের ভিসা হয়নি সেই তথ্য চাওয়া হয়েছিল। বায়রা সেই তালিকা দিতে না পারায় ফ্লাইটের সমস্যা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে কর্মী পাঠানোর জন্য ২২টি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। একইসঙ্গে মালয়েশিয়া সরকারকে সময় বাড়ানোর জন্যও চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো সেই চিঠির উত্তর আসেনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সমস্যা সমাধানে দূতাবাস ও মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। যারা হয়রানি করছে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকতা পেশায় সাফল্য এবং আলোকিত মানুষের দ্বারা দেশ গড়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার কমিটমেন্ট। এ জন্য শিক্ষকদেরও কমিটমেন্ট থাকতে হবে।
মাদরাসা শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো দিক দিয়ে পিছিয়ে না থাকে, সে লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বিভিন্ন ধরনের নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ৩ দেশ সফরে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
দেশে-বিদেশে কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে কাজ করছে সরকার: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে কর্মদক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী হতে হবে। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে অতিরিক্ত মাত্রায় মূল্য না দিয়ে পেশাগত ও কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে। পাশাপাশি সফট স্কিলে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
রবিবার (১০ মার্চ) বিকালে সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ও রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে তিনি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক দক্ষতানির্ভর কাজের সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু সেই দক্ষতা অনুযায়ী প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, দক্ষতার জায়গায় আমরা যাতে বিশ্ব নাগরিক হয়ে উঠতে পারি সেই চেষ্টা করতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল সার্টিফিকেশন নিলে দেশে ও বাইরে কাজের ক্ষেত্র তৈরি হবে। আত্মকর্মসংস্থানের জন্য আগে জানতে হবে। জানা ও পারা থাকতে হবে। জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দক্ষতাগুলো আয়ত্ব করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের শিক্ষিত গ্রাজুয়েটরা কর্ম উপযোগী হতে না পারলে বিদেশিরা আমাদের দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে নিয়ে যাবে। কী কারণে তারা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ভালো করছে, তা দেখতে হবে। গ্রাজুয়েটদের ভাষা দক্ষতা, প্রেজেন্টেশন স্কিল বাড়াতে হবে। তাদের উপস্থাপন ও যোগাযোগের দক্ষতা থাকতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেকোনো বয়সে দক্ষতা শেখার মানসিকতা থাকতে হবে। পোস্ট গ্রাজুয়েট হলেও আপনাকে জ্ঞানের জগতে নিজেকে ক্ষুদ্র ভাবতে হবে। লাইফলং লার্নার হওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। নিজেকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ: উপাচার্যকে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ
নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
৯ মাস আগে
দেশে রাজবন্দি নেই, যারা আছেন তারা বিএনপির কর্মী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি বলছে যে, হাজার হাজার রাজবন্দি। আমি বলব দেশে রাজবন্দি বলতে এখানে কেউ নেই। আমাদের কাছে যারা বন্দি আছেন তারা বিএনপির কর্মী।
শনিবার (৯ মার্চ) পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে পুলিশ স্টাফ কলেজের কনভেনশন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রাজবন্দি বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা পুলিশ-আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। যেটা পুলিশ করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালেও বিএনপি একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছে। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। ২০০৮ সালে ৩০টি, ২০১৮ ছয়টি সিট পেয়েছে।
তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ইংল্যান্ডে বসে থেকে তিনি এদেশে তার দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। তিনি শুধু এ দেশের জনগণ নয় তার দলীয় নেতা-কর্মীদেরও তিনি ভালো চান না। দিন দিন এই দল জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যতদিন প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকবেন ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
৯ মাস আগে
বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানোর কথা জানালেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে অধিক সংখ্যক কর্মী পাঠিয়ে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির চেষ্টার কথা জানালেন প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের সেবা প্রদানে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। দেশাত্মবোধ ও সেবকের মনোভাব নিয়ে প্রবাসীদের সেবা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করে অভিবাসন খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার অঙ্গীকার করে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, সবার সহযোগিতায় প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে মন্ত্রণালয়ে প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে মত বিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে যাতে কোনো অপশক্তি প্রভাবিত না করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের স্মার্ট মানসিকতা লালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চান মন্ত্রী
এর আগে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। নতুন প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর বা সংস্থার কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এছাড়াও তিনি নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
১১ মাস আগে
কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ইউনূসের: নির্বাচন পরবর্তী সভায় প্রধানমন্ত্রী
শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমা করা তার কাজ নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নির্বাচনে বিজয় উদযাপনের সময় ড. ইউনূসকে ক্ষমা করার বিষয়টি বিবেচনা করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রম আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে এখানে তার কিছু করার নেই।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন
শেখ হাসিনা বলেন, ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং নিজের কর্মচারীদের বঞ্চিত করেছেন। সেসব কর্মচারীরাই শ্রম আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ‘এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। তিনি যাদের বঞ্চিত করেছেন, তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।’
কোনো বিরোধী দল ছাড়াই বাংলাদেশকে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে তিনি বিশ্বাস করতে পারেন কি না- বিবিসির এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রতিটি দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
ওই সাংবাদিক আরও উল্লেখ করেন, রবিবারের নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো নির্দিষ্ট দল নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এই নয় যে গণতন্ত্র নেই। তিনি বলেন, 'জনগণ অংশ নিয়েছে কি না- তা বিবেচনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, 'দলটি নির্বাচনে অংশ নেয়নি এবং তারা জনগণকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগণ তাদের কথা শোনেনি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখানে জনগণের অংশগ্রহণই মূল বিষয়। এটা ছাড়া গণতন্ত্রের অন্য কোনো সংজ্ঞা আছে কি না তা জানেন না।
সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের জন্য বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, তিনি কীভাবে একটি গণতান্ত্রিক দলকে সংজ্ঞায়িত করেন। তিনি বলেন, 'তারা একটি সন্ত্রাসী দল।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী, গোল্ডা মেইর, মার্গারেট থ্যাচার ও শ্রীমাভো বন্দরনায়েকের মতো মহান নারী নেতাদের সঙ্গে তার তুলনা হোক তা তিনি চান না।
তিনি বলেন, 'তারা মহান নারী ছিলেন। আমি একজন সহজ-সরল মানুষ।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করার সময় তিনি নিজেকে নারী বা পুরুষ মনে করেন না।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসা এক মার্কিন নাগরিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'প্রতিটি দেশের সঙ্গে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। সুতরাং, আমাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক। এটা এখন আপনার এবং আপনার সরকারের ওপর নির্ভর করছে।’
পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হচ্ছে 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়’, তাই বাংলাদেশের সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
ভারতকে বাংলাদেশের মহান বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার পরবর্তী সরকারের লক্ষ্য হবে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ (২০২৬ সাল থেকে) হিসেবে উন্নীত করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা, দারিদ্র্য বিমোচন, চরম দারিদ্র্য বিমোচন, দেশকে গৃহহীনমুক্ত করা। সর্বোপরি দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখা এবং দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের অভিনন্দন
এক বিদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং জনগণের উন্নত জীবন নিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য।’
১১ মাস আগে