তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে, কারণ বাংলাদেশের জাতির পিতা তার জনগণকেই প্রথম গুরুত্ব দিয়েছেন।’
বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমরা আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
রাজনীতি যেন উল্টো পথে হাঁটছে: রাষ্ট্রপতি হামিদ
ট্রুডো ছাড়াও জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদ সুগার এবং ব্রিটিশ সাংবাদিক স্যার মার্ক টালির পূর্ব-রেকর্ড করা ভিডিও বার্তা দেখানো হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, তার স্ত্রী রাশিদা খানম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহাম্মদ সলিহ্ সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন।
ট্রুডো বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রত্যেককে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৩ সালে বাবা যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন আমার বাংলাদেশ সফরে আসার সুযোগ হয়েছিল।
‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধুর শাসনামলেই বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক ও সহযোগিতার গড়ে উঠেছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নের কারণেই আজকের অনুষ্ঠান সম্ভব হচ্ছে,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু মানবাধিকার ও স্বাধীনতার রক্ষক: মোদি
শিশুদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
ট্রুডো বলেন, ‘গত ৫০ বছরে এই দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রসর হয়েছে। এসব অগ্রগতিতে কানাডা সব সময় বাংলাদেশের সহযোগী ছিল। আমরা বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অবদান রেখেছি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়, যুব কর্মসংস্থান, সব গুরুত্বপূর্ণ সব উন্নয়নে সহযোগিতা করেছি। আমাদের এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘কানাডার জনগণের পক্ষ থেকে আমি আপনাদের উৎসব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।’