রাজধানীর স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে ব্র্যাক আয়োজিত ‘বাংলাদেশে বজ্রপাতের ঝুঁকি ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বলেন, ‘এ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। দুর্যোগ-বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলিতেও (এসওডি) বজ্রপাতকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দেশে পরীক্ষিত মডেল থাকলেও বজ্রপাত ব্যবস্থাপনায় এখনো তা নেই। এ সীমাবদ্ধতা থেকে উত্তরণের জন্য সরকার অবকাঠামোগত ও অ-অবকাঠামোগত দুই ধরনের সমাধানই চায়। ‘সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে গবেষণার ওপর। কেননা, বজ্রপাত নিয়ে সব স্তরে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।’
তিনি বলেন, সরকারের ভবিষ্যত অগ্রাধিকার হচ্ছে বজ্রপাতের ঝুঁকি ও জীবনহানি বৃদ্ধির কারণ নির্ণয় করে তা হ্রাসে করণীয় সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা চালানো, এ বিষয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্য বইয়ে প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্তকরণ, বজ্রপাতের আগাম বার্তা দিতে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং আগাম সতর্কবার্তা পাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ ও জনগণকে অবহিতকরণ।
সেই সাথে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র তৈরি ও প্রদর্শন, সচেতনতামূলক গান তৈরি, বিল্ডিং কোডে বজ্রপাত বিষয়ে নির্দেশনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় বজ্রপাত বিষয়ে সচেতনতা কার্যক্রম বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ করা সরকারের অগ্রাধিকারে রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৮ সালে দেশে বজ্রপাতে কমপক্ষে ১,৭৬০ জন মানুষ নিহত হন। ২০১৬ সালে মাত্র ৪ দিনে বজ্রপাতে ৮১ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ২০১৮ সালে নিহত হন ৩৫৯ জন।
বাংলাদেশ সরকার ২০১৫ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করে বলে জানান তিনি।