রবিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্যাকবলিত জেলা প্রশাসনসমূহ থেকে শনিবার পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তিন কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে দুই কোটি ২৯ লাখ ৮ হাজার ৭০০ টাকা।
এছাড়া শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক কোটি ১০ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৬২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। গো খাদ্য ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুই কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং বিতরণের পরিমাণ এক কোটি ২০ লাখ ৬ হাজার টাকা।
শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৫২ হাজার এবং বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৯২২ প্যাকেট।
এদিকে, বন্যায় এ পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
মৃতদের মধ্যে জামালপুরে ১৫ জন, লালমনিরহাটে একজন, সুনামগঞ্জে তিনজন, সিলেটে একজন, কুড়িগ্রামে ৯ জন, টাঙ্গাইলে চারজন, মানিকগঞ্জে দুইজন, মুন্সীগঞ্জে একজন, গাইবান্ধায় একজন, নওগাঁয় দুজন, সিরাজগঞ্জে দুজন এবং গোপালগঞ্জের দুজন রয়েছেন।
বন্যা কবলিত জেলাগুলোতে খোলা মোট এক হাজার ৫৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছেন ৬৩ হাজার ৪০৯ জন। আশ্রয় কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৭৮ হাজার ৪৬টি।
এছাড়া বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে মোট ৯৬৭টি এবং বর্তমানে চালু রয়েছে ৩৯৯টি।