চলমান বন্যার প্রকোপ মোকাবিলা ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকার যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এবার (বন্যার) প্রকোপ কিছুটা তীব্র। এটি কিছু সময়ের জন্য থাকতে পারে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকতে পারে।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবনের কার্যালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো দেখা করতে গেলে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমাতে সরকার সব কিছু করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই প্রকৃতির সঙ্গেই বাঁচতে হবে। বন্যা দুর্গতদের সব ধরনের সহায়তা দেয়ার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সিলেটে কমছে বন্যার পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় থেকে জাপান উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে আসছে।
দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, এটা দীর্ঘদিন ধরে সেনানিবাসে সীমাবদ্ধ ছিল। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তারা (সামরিক শাসকরা) শাসন করেছে। সেখান থেকে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছি।
তিনি বলেন, দেশে গণমাধ্যম স্বাধীন। বাংলাদেশে ৩৩টি টিভি চ্যানেল চালু আছে।
তিনি বলেন, ‘এর আগে শুধু রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ টেলিভিশনই কাজ করত।’
পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালের ৪ জুলাই তিনি প্রথম সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত কাজটি এগোয়নি।
কক্সবাজারে বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত থাকায় তার সরকার কক্সবাজারকে পর্যটনের জন্য উন্নত করতে চায় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি এই বছরের নভেম্বরের কোনো সময় জাপানে সফর করেন তাহলে তারা খুশি হবেন।
তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনের জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি
আগামী বছর থেকে জাপানি কোম্পানি আড়াইহাজার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ শুরু করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাপান রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্রুত প্রত্যাবাসন চায়।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সরকার উন্নত সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে।
এ সময় মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।