তিনি বলেন, ‘আমি কয়রা, শ্যামনগর ও আশাশুনি ঘুরে দেখেছি যেখানে গাছ ছিল সেখানে ভাঙন হয়নি, হলেও খুবই কম। যেহেতু বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, তাই পুরো দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করব আপনারা নদী-খালের পাড়ে গাছ লাগান। এতে ঘরবাড়ি সংরক্ষিত হবে।’
শুক্রবার খুলনার দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দাকোপ উপজেলার জন্য ১২০০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্পের কথা জানিয়ে জাহিদ ফারুক বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি অধিগ্রহণ দরকার। তবে এতে মানুষ বিমুখ হয়ে যায়। কিন্তু একমাত্র শেখ হাসিনার সরকার জমির বাজার মূল্যের তিনগুণ বেশি দাম দেয়। প্রকল্প পাসের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে আমরা দ্রুততম সময়ে কাজ শুরু করব।’
তিনি জানান, চিংড়ি ঘেরের জন্য বাঁধ স্থায়ী হয় না। তাই বাঁধ থেকে কমপক্ষে ১০০ মিটার দূরে চিংড়ি ঘের করতে হবে।
‘প্রধানমন্ত্রী মানবতার নেত্রী বলেই জনদুর্ভোগ কমাতে বাঁধ একবার করার পরেও আবার করে দেন,’ যোগ করেন তিনি।
সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু ও পঞ্চানন বিশ্বাস, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (বাপাউবো) হাবীবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মাহমুদুল ইসলাম, উপ-সচিব নূর আলম, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (খুলনা) মো. রফিক উল্লাহ, খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী (পওর-২) পলাশ ব্যানার্জী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে উপকূলাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধুমাত্র খুলনার দাকোপ উপজেলায় প্রায় ১২ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।