বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন জাপানের সাথে বাংলাদেশের ৪১তম অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
জাপান জানায়, একবিংশ শতাব্দীর এ দশকে এশিয়ার সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের উন্নয়নে তারা তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
এ বছর বাংলাদেশের সাতটি মেগা প্রকল্পে ঋণ সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশকে ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে জাপান। ১৯৭৪ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহায়তা এটি।
ঢাকার জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক দাতা হিসেবে আছে জাপান। তাদের দেয়া মোট ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ (প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে) বাংলাদেশে এসেছে।
সাত মেগা প্রকল্পগুলো হলো- যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প-২ (ঋণের পরিমাণ ৮৯.০১৬ বিলিয়ন ইয়েন), হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বর্ধিতকরণ প্রকল্প-২ (ঋণের পরিমাণ ৮০ বিলিয়ন ইয়েন), ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (ঋণের পরিমাণ ৭২.১৯৪ বিলিয়ন ইয়েন), ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প (লাইন ৫) (ঋণের পরিমাণ ৫৫.৬৯৬ বিলিয়ন ইয়েন), চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে প্রকল্প (ঋণের পরিমাণ ১.৯০৬ বিলিয়ন ইয়েন), ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প (ঋণের পরিমাণ ১১.২১৮ বিলিয়ন ইয়েন) এবং নগর উন্নয়ন ও শহর সুশাসন প্রকল্প (ঋণের পরিমান ২৮.২১৭ বিলিয়ন ইয়েন)।
এ ঋণ সহায়তায় সুদ হবে ০.৬৫ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের সময় সীমা ২০ বছর এবং রেয়াতকাল (গ্রেস পিরিয়ড) থাকছে ১০ বছর।