রবিবার দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভারতের মিজোরাম রাজ্যের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বাণিজ্য বিষয়কমন্ত্রী ড. আর. লালথানক্লিয়ানার সাথে বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ভারতের সাথে বেশ কয়েকটি বর্ডার হাট চালু আছে। এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরে আরও তিনটি বর্ডার হাট উদ্বোধন করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। সাজেক থেকে ৩০ মিনিট বর্ডারে সময়ের মধ্যে মিজোরামের বর্ডারে যাওয়ার রাস্তাও ভালো। সেখানে বর্ডার হাট করার বিষয়টিকে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের ৩১৮ কিলোমিটারের যে বর্ডার কানেকশন রয়েছে সেক্ষেত্রে তাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক যাতে উন্নত হয়, যাতে বাণিজ্যিক সুবিধা পায় সে প্রস্তাব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ ঢাকার
ভারতে টুরিস্ট ভিসা শিগগিরই চালু হবে, জানালেন রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চান যাদের সাথে সীমানা রয়েছে তাদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে। মিজোরাম নিজস্বভাবেই বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তারা আমাদের কয়েকটি ফ্যাক্টরি ভিজিট করেছেন। খুব শিগগিরই আমরা বর্ডারে যেতে চেষ্টা করব, আগামী মাসে মিজোরামে যেয়ে দেখে আসার চেষ্টা করব।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মিজোরাম থেকে বাঁশ, সেগুন কাঠ, চিঠি, ফল, সিমেন্ট, পাথর আসে। আমাদের থেকে ট্রয়লেট্রিকস, গার্মেন্টস, প্রাণের ফলের রস, মাংস, মাছ, ইলেক্ট্রনিকস, কুকিং অয়েল যাচ্ছে। বর্ডারের কানেকশন বাড়াতে পারলে বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তারা একটি ব্রিজের কথা বলছে, সেটা করলে সোজাসুজি আসতে পারে। তারা কয়েকটি জায়গা দেখিয়েছে রাঙামাটির কথা বলেছে, সেখানে গভীর নদী আছে, কিন্তু ভালো পথ নেই। সাজেকের যে বর্ডারের কথা বলেছে সেখানে ছোট খাল আছে, সেখানে ব্রিজ করলে চিটাগাং পোর্ট তারা ব্যবহার করতে পারবে, এটা তাদের স্বপ্ন।
আরও পড়ুন: ভারতের সাথে মৈত্রী বন্ধন বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়ক: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারত অংশীদারিত্ব: পানিবণ্টন নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চায় দিল্লি
মোদিকে ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ
তিস্তা চুক্তি, কোভিড টিকা সরবরাহ নিয়ে নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতি পুনরাবৃত্তি
‘প্রধানমন্ত্রী চায় ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো থাকুক। সাজেকের সাথে আমাদের যোগাযোগটা ভালো, সেখানে করা যায় কিনা আমি দেখতে যাবো। আমরা সম্পর্কটা মিজোরামের সাথে চূড়ান্তভাবে ভারতের সাথে বাড়াতে চাই,’ বলেন মন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেন, সাজেকের পথ দিয়ে রোড কানেকটিভিটি হতে পারে। অথবা নদীপথে ১৮-১৯ কিলোমিটার আসলে রাঙামাটি আসতে পারবে। তাহলে নদীপথ বা সড়পথে সেটি হতে পারে। এখন কিছু নেই বলে চোরাইপথে কাঠ আসে। মে মাসে ঘুরে এসে আমরা ব্যবসার বিষয়টি করতে চাই। ৮০-৯০ কিলোমিটার ব্রিজটা করলে তাদের সিল্কসিটি এলাকায় সরাসরি পৌঁছে যেতে পারব। মিজোরামের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার সরাসরি ক্ষমতা রয়েছে।