সেই সাথে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে ভারত যথাসময়ে কার্যকর কোভিড-১৯ টিকা সরবরাহ করবে।
সম্মেলনে উভয় পক্ষ পারস্পরিক বিনিয়োগ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং হাইড্রোকার্বন খাতে যৌথ গবেষণা ও সক্ষমতা গড়ে তোলা নিয়ে একমত হন বলে প্রথম ঢাকা-দিল্লি ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন শেষে দেয়া যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত গভীরতর সহযোগিতা এবং সংহতির মাধ্যমে নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ককে পরবর্তী ধাপে উন্নীত করতে আজকের ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে সাতটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারকে সই করে।
আরও পড়ুন: ভারতের সাথে সাতটি চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা সই
এগুলো হলো- হাইড্রোকার্বন খাতে সহযোগিতা ও হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প চালুর নিয়ে কাঠামো চুক্তি, হাতির সুরক্ষায় আন্তসীমান্ত অভয়ারণ্য তৈরি নিয়ে প্রটোকল, বরিশাল সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে যন্ত্রপাতি সরবরাহ, কৃষি খাতে সহযোগিতা ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও নয়াদিল্লির জাতীয় জাদুঘরের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বাংলাদেশ-ভারত সিইও ফোরাম বিষয়ে টার্মস অব রেফারেন্স।
আরও পড়ুন: ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি
সেই সাথে সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে ১৯৬৫ সালের আগে ব্যবহৃত চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেল সংযোগ পুনরায় চালু, দুই দেশের জাতির পিতাকে নিয়ে নয়াদিল্লিতে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী’ উদ্বোধন এবং বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ভারতের ডাক বিভাগের স্মারক স্ট্যাম্প উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশকে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (কথিত ব্রিকস ব্যাক) যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও ভারতের জাতীয় জাদুঘরের মধ্যে সমঝোতা
মুজিববর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য আগামী বছর বাংলাদেশ সফর করার জন্য শেখ হাসিনার আমন্ত্রণ সম্মেলনে গ্রহণ করেন নরেন্দ্র মোদি।
এর আগে, বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাঝে ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মোদি নয়াদিল্লি থেকে এতে অংশ নেন।
ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সংবাদ সম্মেলন করেন।
দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এ সম্মেলনটিকে বাংলাদেশ দেখছে দুই দেশের মধ্যকার অভিন্ন ইতিহাসের প্রতি যৌথ অঙ্গিকারের নিদর্শন হিসেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবরে এক সরকারি সফরে ভারতে গিয়েছিলেন। মাঝে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালের মার্চে ঐতিহাসিক মুজিববর্ষ উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।