বুধবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান।
জাহিদ মালেক আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডানাসহ অন্য ভ্যাকসিন উদ্ভাবক কোম্পানিগুলো তাদের ভ্যাকসিন সরবরাহ করার জন্য বিভিন্ন দেশের সাথে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এসব ভ্যাকসিনের জন্য যে দেশ আগে থেকে অ্যাডভান্স করে রাখছে, তাদের আগে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে কোম্পানিগুলো। আমরাও এসব কোম্পানির সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তি করা কিংবা অ্যাডভান্স দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
‘আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমাদের মিটিং ঠিক করা হয়েছে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি জানান, সেই মিটিংয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন যে চীনকে বাংলাদেশে তাদের ভ্যাকসিন পরীক্ষা করতে দেয়া হবে কি না।
মন্ত্রী বলেন, ‘মিটিং এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলে চীন বাংলাদেশে কত মানুষের ওপর পরীক্ষা করবে, এ ক্ষেত্রে চীন আমাদের কত টাকা দেবে, পরীক্ষা হলে চীন কী শর্তে ভ্যাকসিন দেবে- সেসব নিয়ে সিদ্ধান্তের পর চীনকে পরীক্ষা করতে দেয়া হবে।’
গত ৪ আগস্ট সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সভা কক্ষে করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত এক সভা শেষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান জানান, চীনের সাইনোভ্যাক কোম্পানির ভ্যাকসিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া গেলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর প্রয়োগের জন্য অনুমোদন দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘চীনের সাইনোভ্যাক কোম্পানি তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের বাংলাদেশে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য আইসিডিডিআর, বির মাধ্যমে আবেদন করেছে। আবেদনটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এসেছে। এ বিষয়ে আজ আইসিডিডিআর,বির প্রতিনিধিদের সাথে মন্ত্রণালয়ে আমরা জরুরি বৈঠক করেছি।’
স্বাস্থ্য সচিব জানান, প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি দেশের কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড সাতটি হাসপাতালের ৪ হাজার ২০০ স্বাস্থ্য কর্মীর মাঝে এ পরীক্ষা সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে।