দেশের প্রায় ৭৮ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
এ উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার আগারগাঁওতে এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ৭৮ লাখ এসএমই রয়েছে, যা দেশের মোট শ্রমশক্তির ২৫ শতাংশ এবং শিল্প খাতের কর্মসংস্থানের ৮০ শতাংশ। সেই ধারাবাহিকতায়, এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া এই সমঝোতা স্মারক দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ব্যবসায়িক পরিষেবা ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।
সমঝোতা স্মারক সই প্রসঙ্গে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অক্সফামের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে, আমরা সার্বিকভাবে এসএমইর উন্নয়নে কাজ করতে পারব, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য অর্জনে সহায়তা করতে পারব।’
অক্সফাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে বলেন, ‘বাংলাদেশের দারিদ্র নিরসন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে এসএমই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প; বিশেষ করে তরুণ উদ্যোক্তা, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বে একটি সমতার পরিবেশ গড়ব। আমাদের এই যৌথ প্রচেষ্টা আরও বেশি শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়তে অবদান রাখবে।’
এই সমঝোতা স্মারকের অধীনে, উভয়পক্ষ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ব্যবহারের মাধ্যমে এসএমই উদ্যোক্তাদের ব্যবসা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল ও ভৌত বাজার একীকরণ ও প্রাপ্য আর্থিক উৎসের সুযোগ নিয়ে কাজ করবে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এসএমই তহবিল উন্নয়নে বেসরকারি খাতের বাধা মোকাবিলায় দুইপক্ষই বিশেষভাবে জোর দেবে।
এসএমই ফাউন্ডেশন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের জাতীয় কৌশল গঠন; বিশেষ করে নারী ও তরুণ উদ্যোক্তা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট নীতিগুলো নিয়ে অক্সফামের সঙ্গে কাজ করবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় সেগুলো চিহ্নিত করে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের সাশ্রয়ী ও পর্যাপ্ত আর্থিক সুযোগ তৈরিতেও কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং অক্সফাম ইন বাংলাদেশ। বিশেষ করে ব্যবসায়িক সহযোগিতা শক্তিশালীকরণ, যুব-অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক মডেলের পাইলটিং করা ইত্যাদির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।