বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো
বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে এসএমই: অক্সফাম
দেশের প্রায় ৭৮ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
এ উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার আগারগাঁওতে এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ৭৮ লাখ এসএমই রয়েছে, যা দেশের মোট শ্রমশক্তির ২৫ শতাংশ এবং শিল্প খাতের কর্মসংস্থানের ৮০ শতাংশ। সেই ধারাবাহিকতায়, এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া এই সমঝোতা স্মারক দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ব্যবসায়িক পরিষেবা ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।
সমঝোতা স্মারক সই প্রসঙ্গে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অক্সফামের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে, আমরা সার্বিকভাবে এসএমইর উন্নয়নে কাজ করতে পারব, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য অর্জনে সহায়তা করতে পারব।’
অক্সফাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে বলেন, ‘বাংলাদেশের দারিদ্র নিরসন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে এসএমই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প; বিশেষ করে তরুণ উদ্যোক্তা, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বে একটি সমতার পরিবেশ গড়ব। আমাদের এই যৌথ প্রচেষ্টা আরও বেশি শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়তে অবদান রাখবে।’
এই সমঝোতা স্মারকের অধীনে, উভয়পক্ষ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ব্যবহারের মাধ্যমে এসএমই উদ্যোক্তাদের ব্যবসা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল ও ভৌত বাজার একীকরণ ও প্রাপ্য আর্থিক উৎসের সুযোগ নিয়ে কাজ করবে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এসএমই তহবিল উন্নয়নে বেসরকারি খাতের বাধা মোকাবিলায় দুইপক্ষই বিশেষভাবে জোর দেবে।
এসএমই ফাউন্ডেশন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের জাতীয় কৌশল গঠন; বিশেষ করে নারী ও তরুণ উদ্যোক্তা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট নীতিগুলো নিয়ে অক্সফামের সঙ্গে কাজ করবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় সেগুলো চিহ্নিত করে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের সাশ্রয়ী ও পর্যাপ্ত আর্থিক সুযোগ তৈরিতেও কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং অক্সফাম ইন বাংলাদেশ। বিশেষ করে ব্যবসায়িক সহযোগিতা শক্তিশালীকরণ, যুব-অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক মডেলের পাইলটিং করা ইত্যাদির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
৪ মাস আগে
মাথাপিছু আয় এখন ২৭৮৪ মার্কিন ডলার: বিবিএস
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার, যা গত অর্থবছরের তুলনায় সামান্য বেড়েছে।
সোমবার (২০ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
চলতি অর্থবছর শেষ হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিদ্যমান প্রবণতা থেকে এই তথ্য প্রস্তুত করেছে বিবিএস।
আরও পড়ুন: বিবিএস জরিপ: মানুষের গড় আয়ু কমে দাঁড়িয়েছে ৭২.৩ বছরে
বিবিএস বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে অস্থায়ী জিডিপির প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশে, যা আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বর্তমানে মাথাপিছু আয় ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা, যা গত অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
টাকার অবমূল্যায়নের কারণে স্থানীয় মুদ্রায় মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.০৭%: বিবিএস
৫ মাস আগে
বিবিএস জরিপ: মানুষের গড় আয়ু কমে দাঁড়িয়েছে ৭২.৩ বছরে
এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে গড় আয়ু ও জন্মহার কমে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
রবিবার বিবিএসের 'বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩' শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মানুষের গড় আয়ু কমে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৩ বছরে, যা ২০২২ সালে ছিল ৭২ দশমিক ৪ বছর।
এ ছাড়া এক বছরের ব্যবধানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও কমেছে। ২০২৩ সালে জনসংখ্যার সাধারণ বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ ছিল। এর আগে ২০২২ সালে ছিল ১ দশমিক ৪০ শতাংশ।
বিবিএসের জরিপে জানা গেছে, মৃত্যুর শীর্ষ ১০টি কারণের মধ্যে মৃত্যুর প্রথম কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১.০২৭ শতাংশ এবং দ্বিতীয় কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু ০.৬৪ শতাংশ।
পুরুষদের প্রথম বিয়ের গড় বয়স ২৪.২ বছর এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১৮.৪ বছর।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে ৬.০৭%: বিবিএস
অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের ক্ষেত্রে, গ্রামীণ আগমনের হার প্রতি হাজারে ২০.৪ জন এবং শহুরে আগমনের হার ৪৩.৪ জন।
এছাড়া শিক্ষা, কাজ বা প্রশিক্ষণে নেই এমন তরুণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২০২৩ সালে ৩৯ দশমিক ৮৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০২২ সালে ছিল ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
২০২৩ সালে ৫ বছরের বেশি বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ দশমিক ৯ শতাংশে। তবে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে ২০২২ সালের ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশের তুলনায় এ হার কিছুটা বেড়ে ৭৪ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালে ১৫ বছরের বেশি বয়সী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৫০.১ শতাংশ।
২০২৩ সালে লিঙ্গ অনুপাত কিছুটা কমে ৯৬.৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং নির্ভরশীলতার অনুপাত ৫৩.৭৩ শতাংশ। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১,১৭৯ জন। ২০২৩ সালে প্রতি হাজার জনসংখ্যায় মোট জন্মহার ছিল ১৯.৪, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯.৮।
আরও পড়ুন: বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
২০২৩ সালে প্রতি হাজারে স্থূলতায় মৃত্যুর হার ৬ দশমিক ১, যা ২০২২ সালে ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৩৩ জন এবং মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি এক লাখে জীবিত শিশু জন্মদানে ১৩৬, যা ২০২২ সালে ছিল ১৫৩ জন।
২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীর সংখ্যা কিছুটা কমে ২০২৩ সালে ৬২.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২২ সালে ছিল ৬৩.৩ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণের অপূর্ণ চাহিদা ২০২৩ সালে ১৫.৫৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ২০২২ সালে ছিল ১৬.৬২ শতাংশ।
২০২২ সালের মতো ২০২৩ সালেও পরিবারের আকার অপরিবর্তিত ছিল ৪.২ শতাংশে। তবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নারী পরিবারের প্রধানের হার বেড়েছে। ২০২২ সালে ছিল ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশে। অন্যদিকে ২০২২ সালে পুরুষ পরিবারের প্রধান ছিল ৮২ দশমিক ৬ শতাংশ, ২০২৩ সালে এ হার কমে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ১৭ শতাংশে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকার সংখ্যা ২.৭০ লাখ বেড়েছে: বিবিএস
৭ মাস আগে
জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯.৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে: বিবিএস
জুন মাসে মাসিক মূল্যস্ফীতির হার সামান্য কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগের মাসের তুলনায় শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশে মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিবিএস অনুসারে, জুনে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ, মে মাসে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ থেকে বেড়েছে, যেখানে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি মে মাসে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ থেকে কমে ৯ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকার সংখ্যা ২.৭০ লাখ বেড়েছে: বিবিএস
গ্রামীণ এলাকায় সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতি জুনে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা মে মাসে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ ছিল। গ্রামীণ খাদ্য মূল্যস্ফীতি মে মাসে ৯.৩২ শতাংশ থেকে জুনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৯৫ শতাংশে।
শহরে সার্বিক বা সাধারণ মূল্যস্ফীতি মে মাসে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ থেকে জুনে ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি (মে) ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে জুনে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) ওপর ভিত্তি করে মুদ্রাস্ফীতির হার একটি নির্দিষ্ট সেটের চূড়ান্ত পণ্য এবং পরিষেবার মূল্যের গড় পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে, যা গ্রাহকদের একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর বাজারের ঝুড়িকে প্রতিনিধিত্ব করে।
সিপিআই রিলিজ জনসংখ্যার তিনটি গোষ্ঠীকে জাতীয়, শহুরে ও গ্রামীণ হিসেবে উপস্থাপন করে। এপ্রিল ২০২৩ থেকে বিবিএস দ্বারা সিপিআই সংকলনের আধুনিকীকরণ মূলত আইএমএফ-এর সর্বশেষ ২০২০ সিপিআই ম্যানুয়াল অনুসরণ করে বাংলাদেশে সিপিআই সংকলনের একটি দৃষ্টান্ত পরিবর্তন।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে দেশের প্রতিটি পরিবারের গড় ঋণ ছিল ৭০ হাজার ৫০৬ টাকা: বিবিএস জরিপ
ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে: বিবিএস
১ বছর আগে
২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে বেকার সংখ্যা ২.৭০ লাখ বেড়েছে: বিবিএস
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত শ্রমশক্তির ওপর করা এক জরিপে বলা হয়েছে, চলতি বছরের (২০২৩) প্রথম প্রান্তিকে বেকার মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার বেড়ে মোট ২৫ লাখ ৯০ হাজার হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বিবিএস।
বিবিএসের মতে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশে ২৫ লাখ ৯০ হাজার লোক বেকার ছিল, যেখানে আগের বছরের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেষ প্রান্তিকে এই সংখ্যা ছিল ২৩ লাখ ২০ হাজার।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, শীতকালে বিশেষ করে কৃষি খাতে চাকরির সুযোগ কম থাকে। এখন ধান কাটার মৌসুম শুরু হওয়ায় কাজের সুযোগ বেড়েছে।
ফলে আবারও বেকারের সংখ্যা কমবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে দেশের প্রতিটি পরিবারের গড় ঋণ ছিল ৭০ হাজার ৫০৬ টাকা: বিবিএস জরিপ
শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২ অনুসারে, দেশে মোট বেকার লোকের সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ৩০ হাজার। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৬ লাখ ৯০ হাজার এবং নারীর সংখ্যা ৯ লাখ ৪০ হাজার।
জরিপের তথ্যে জানা গেছে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং মহিলাদের মধ্যে ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
শ্রম বাহিনী সমীক্ষা ২০২৩ অনুসারে, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে নিযুক্ত মোট জনসংখ্যা ৭ কোটি ৩৬ লাখ এবং কর্মরত জনসংখ্যা বর্তমানে ৭ কোটি ১১ লাখ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রমশক্তির বাইরে জনসংখ্যা ৪ কোটি ৬২ লাখ এবং শ্রমশক্তির অংশগ্রহণের হার ৬১ দশমিক ৩৭।
এতে বলা হয়েছে, কৃষি খাতে ৩ কোটি ১৯ লাখ মানুষ, শিল্প খাতে ১ কোটি ২২ লাখ এবং সেবা খাতে ২ কোটি ৬৯ লাখ মানুষ নিয়োজিত রয়েছে।
এ ছাড়া দেশের যুব শ্রমশক্তি খাতে রয়েছে ২ কোটি ৭৩ লাখ।
মোট কর্মসংস্থান জনসংখ্যা ৭ কোটি ৩৬ লাখ, যা দেশের মোট শ্রমশক্তির ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ।
বিবিএস-এর মতে, বেকার জনসংখ্যা বলতে মূলত যারা গত সাত দিনে অন্তত এক ঘণ্টা কাজ করেননি, কিন্তু গত সাত দিনে কাজ করতে ইচ্ছুক এবং মজুরির জন্য কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে: বিবিএস
জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি কমে ৭.৪৮ শতাংশ: বিবিএস
১ বছর আগে
২০২২ সালে দেশের প্রতিটি পরিবারের গড় ঋণ ছিল ৭০ হাজার ৫০৬ টাকা: বিবিএস জরিপ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক তথ্যানুসারে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে প্রতিটি পরিবারের গড় ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৭ হাজার ৭৪৩ টাকা। যা ২০২২ সালে বেড়ে ৭০ হাজার ৫০৬ টাকা হয়েছে।
বিবিএসের সর্বশেষ পারিবারিক আয়-ব্যয়ের জরিপে জানা গেছে, বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ পরিবার এখনও ঋণগ্রস্ত।
জরিপ অনুযায়ী, গত বছর দেশের ৩৭ শতাংশ পরিবার ঋণ নিয়েছে বা টাকা ধার করেছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফের পরামর্শে নতুন ভিত্তি বছরে মার্চ থেকে মুদ্রাস্ফীতি গণনা করবে বিবিএস
অন্যদিকে, জরিপ চলাকালীন গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গড়ে ৩৭ দশমিক ০৩ শতাংশ পরিবার ঋণ বা ধার নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
এছাড়া ২০১৬ সালের জরিপে ২৯ দশমিক ৭০ শতাংশ পরিবার ঋণ নিয়েছিল।
সে হিসেবে গত ৬ বছরে দেশের পরিবারগুলোর ঋণগ্রহণ ৭ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
এদিকে গত বুধবার বিবিএস পারিবারিক আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এর প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করেছে।
শহরের তুলনায় গ্রামে ঋণ নেওয়ার হার বেশি
বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি পরিবার ঋণগ্রস্ত।
গ্রামাঞ্চলে গড়ে ৩৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ পরিবার ঋণগ্রস্ত ছিল এবং শহরে ৩২ দশমিক ১১ শতাংশ ঋণগ্রস্ত ছিল।
২০১৬ সালে শহরাঞ্চলে প্রতিটি পরিবারের গড় ঋণ ছিল ২২ দশমিক ১০ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ছিল ৩২ দশমিক ৭০ শতাংশ।
বিবিএস জরিপে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা শহরাঞ্চলে গড়ে ১০ শতাংশ বেড়েছে এবং গ্রামে সাড়ে ৬ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে: বিবিএস
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আজ
১ বছর আগে
মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৩৩ শতাংশ, ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য উদ্ধৃত করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা বিগত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিবিএস অনুসারে, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে বেড়ে আট দশমিক ৭৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা জানুয়ারির আট দশমিক ৫৭ শতাংশ থেকেও বেশি।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির ফলে জনগণ ব্যয় কমাতে বাধ্য হয় এবং নির্দিষ্ট ও সীমিত আয়ের জনগোষ্ঠীকে কেনাকাটা কমিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়।
ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্যে আট দশমিক ১৯ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি রেকর্ড করা হয়েছে। ওই সময় নগরীতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল সাত দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বেতন দিতে ১৫০০ কোটি টাকা সরকারি সহায়তা চায় বিকেএমইএ
এর আগে গত বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে উঠেছিল। গত ১১ দশমিক ৯ বছরে (১৪৪ মাস) মূল্যস্ফীতির এই হার ছিল সর্বোচ্চ। ২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার ছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। এরপর কখনোই মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি হয়নি।
২০২২ সালের আগস্টের পরে মুদ্রাস্ফীতির হার আবার কমতে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা কমেছে আট দশমিক ৫৭ শতাংশ।
অন্যদিকে, সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় মুদ্রাস্ফীতির চাপ এখনও বেশি।
আরও পড়ুন: ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৩% কমিয়েছে এডিবি
১ বছর আগে
করোনাকালে শিশুদের লেখাপড়ার ওপর ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে জরিপে: ইউনিসেফ
সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও জাতিসংঘ জরুরি শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) এর এক যৌথ জরিপে করোনাকালে বাংলাদেশের শিশুদের লেখাপড়ার ওপর ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) প্রকাশিত ‘ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’- শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারির কারণে বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ ছিল, তাদের একটি হলো বাংলাদেশ। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকার সময়ে প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজনেরও কম (১৮ দশমিক ৭ শতাংশ) দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
জরিপে দেখা যায়, করোনার সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রান্তিক পর্যায়ের শিশুরা। যাদের ইন্টারনেট ও টেলিভিশন ব্যবহারের সুযোগ সীমিত এবং যাদের বাড়িতে কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মত সহায়ক ডিভাইসের অভাব রয়েছে।
তাছাড়া, শহর এলাকার শিশুদের (২৮ দশমিক ৭ শতাংশ) তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় কম সংখ্যক শিশু (১৫ দশমিক ৯ শতাংশ) দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণ করে।
এই জরিপে বড় ধরনের ভৌগোলিক বৈষম্যের বিষয়টিও জরিপে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের অর্ধেকেরও বেশি স্কুলে যায় না, উদ্বেগ ইউনিসেফের
যেখানে দেখা গেছে, দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি ছিল খুলনা ও ঢাকায় (যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ ও ২৩ দশমিক ১ শতাংশ) এবং সবচেয়ে কম ছিল ময়মনসিংহে (৫ দশমিক ৭ শতাংশ)।
সবচেয়ে কম বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে।
দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণের হার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের (নিম্ন মাধ্যমিকে ২০ দশমিক ৩ শতাংশ ও উচ্চ মাধ্যমিকে ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ) তুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ক্ষেত্রে (১৩ দশমিক ১ শতাংশ) ছিল কম।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, ‘শিশুদের ওপর মহামারির প্রভাব দেশজুড়ে এখনও একই রকম। শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও বেশি মাত্রায় অভিঘাত সহনশীল করতে ডিজিটাল-বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে।’
উদ্ভাবনী প্রতিকারমূলক শিক্ষাসহ পড়াশোনার ক্ষতি দূর করতে ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকারকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, ‘ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’- জরিপটি কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন দীর্ঘস্থায়ী স্কুল বন্ধের কারণে শিশুদের স্কুলে উপস্থিতি, স্কুলের বাইরে থাকা, ঝরে পড়া ও শেখার ক্ষতিসহ শিক্ষার অনান্য ফলাফলের ওপর প্রভাব বুঝতে সাহায্য করবে এবং শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে।’
জরিপে বাল্যবিয়ে সম্পর্কিত মহামারি-পরবর্তী প্রাথমিক উপাত্তও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জরিপটি এক্ষেত্রে নিম্নমুখী প্রবণতা নির্দেশ করে, যা আশা জাগিয়েছে।
শিশুদের পরিস্থিতির ওপর দেশের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জরিপ ২০১৯ সালের বাংলাদেশ মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে (এমআইসিএস) অনুসারে, ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়েছে তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে।
২০২৪ সালে হতে যাওয়া পরবর্তী এমআইসিএস নিশ্চিত করবে যে, ‘ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’- জরিপে নির্দেশিত বাল্যবিয়ের ইতিবাচক নিম্নগামী প্রবণতা টিকে আছে কিনা।
আরও পড়ুন: সার্বজনীন জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা ইউনিসেফের
ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১১ সাংবাদিক
১ বছর আগে
ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে: বিবিএস
পাঁচমাস পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি আবারও বেড়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, সার্বিক মূল্যস্ফীতির সঙ্গে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। জানুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল খাদ্যে ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। সেসময় নগরীতে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং অখাদ্য পণ্যে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।
গত বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৯ শতাংশের ওপরে। গত ১১ বছর ৯ মাসে (১৪৪ মাসে) মূল্যস্ফীতির এই হার ছিল সর্বোচ্চ।
২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ হার ছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। তখন মূল্যস্ফীতি কখনো ৯ শতাংশের বেশি হয়নি।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের
২০২২ সালের আগস্ট মাসের পরে, মুদ্রাস্ফীতির হার আবার কমতে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা কমে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ ছিল।
অন্যদিকে, সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির হিসাব অনুযায়ী, শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় এখনও মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি।
ফেব্রুয়ারিতে শহরাঞ্চলে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যেখানে গ্রামাঞ্চলে এটি ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ গণনা করা হয়েছিল। সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি খাদ্য ও অখাদ্য উভয় ক্ষেত্রেই গ্রামীণ এলাকায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি ছিল।
এদিকে, গত কয়েক মাসে সরকারের মতে মূল্যস্ফীতির হার কমলেও বাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে।
এমনকি স্বল্প আয়ের মানুষের প্রোটিনের অন্যতম উৎস ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকার ঊর্ধ্বে উঠে গেছে।
ফলে সাধারণ মানুষ অনেক দিন ধরেই কমফোর্ট জোনে নেই বলে জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসেন।
যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাজারে বেশিরভাগ পণ্যের দাম বেড়েছে, কিছু পণ্যের দাম কমলেও তা খুব কম হারে কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধির পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়।
তিনি বলেন, ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও চাষকৃত মাছ দেশের লাখ লাখ সীমিত আয়ের মানুষের প্রোটিনের প্রধান উৎস। দাম বাড়ার কারণে, নিম্ন-আয়ের মানুষেরা তাদের সীমিত আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে এই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া কমিয়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে বাংলাদেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৮.৮৫ শতাংশ
অক্টোবরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি খানিকটা কমে ৮.৯১%
১ বছর আগে
বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি: আগস্টে ৯.৫% শতাংশ, ১২ বছরে সর্বোচ্চ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলেছে, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবের কারণে আগস্ট মাসে বাংলাদেশে রেকর্ড ৯ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
তবে আগস্টে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি হলেও সেপ্টেম্বরে এর লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও সাম্প্রতিক মাসগুলোর বিশ্ব পরিস্থিতির অস্থিতিশীলতাকে দায়ী করেছেন ।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, এ মাসে মূল্যস্ফীতি কমবে। কারণ সাপ্লাই চেন শক্তিশালী হওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি কমছে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হয়েছে। মূল্যস্ফীতির হার আরও কমবে।’
তিনি বলেন, ‘সয়াবিন তেলের দামও এখন কমছে। নতুন ফসলের ফলন হচ্ছে। আকাশছোঁয়া জ্বালানি দামের ফলে সকল পণ্যের দাম এখন সারা বিশ্বে বেশি।’
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি কমে ৭.৪৮ শতাংশ: বিবিএস
এদিকে সেপ্টেম্বর মাস পেরিয়ে গেলেও আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি বিবিএস।
বিবিএস সাধারণত নতুন মাসের প্রথম সপ্তাহে আগের মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিবিএস মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান তৈরি করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
কিন্তু সরকারের উচ্চপর্যায়ের 'সবুজ সংকেত' এখনও পায়নি। ফলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বা বিবিএস কেউই আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেনি।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির তথ্য গতকাল মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। আমরা এখনও ফাইলটি ফিরে পাইনি। তাই অনুমোদন ছাড়া কিছু বলতে পারব না।’
আরও পড়ুন: সহিংসতায় দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী
মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে