এসএমই
সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: প্রধান সূচক বাড়লেও বেহাল দশা এসএমই খাতে
সপ্তাহব্যাপী লাগাতার উত্থানে রাজধানীর পুঁজিবাজারে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। এক নাগাড়ে বেড়েছে সূচক, লেনদেন এবং বাজার মূলধন। তবে প্রধান সূচক বাড়লেও সপ্তাহ ভালো যায়নি এসএমই খাতে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পাঁচ কার্যদিবসে (২-৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৬৭ পয়েন্ট। সূচকের ৫১১২ পয়েন্ট এক সপ্তাহের লেনদেনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১৭৯ পয়েন্টে। এতে করে এক সপ্তাহে ডিএসইক্স বেড়েছে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
বেড়েছে ডিএসই'র বাকি দুই সূচকও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে এক সপ্তাহের লেনদেনে ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ সূচক বাড়লেও এবারের সপ্তাহ ভালো যায়নি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের শেয়ার এসএমই খাতে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই'র এসএমই সূচক কমেছে ৪৯ দশমিক ৯ পয়েন্ট, যা আগের তুলনায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ কম।
ব্যবসায়ীরা এসএমই খাতের এ বেহাল দশার জন্য দায়ী করছেন চলমান উচ্চ সুদের মুদ্রানীতিকে।
আরও পড়ুন: উত্থানের ধারা অব্যাহত পুঁজিবাজারে
নিজেদের বেহাল দশা প্রসঙ্গে কাপড় ব্যবসায়ী সাব্বির হোসেন বলেন, এসএমই খাতের এসব ব্যবসা অনেকটাই ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল। সুদের হার বেশি হওয়ায় ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীরা ঋণ নেওয়ার সাহস করছেন না। এতে করে ব্যবসার পরিধিও বাড়ছে না। একদিকে বিনিয়োগের অভাব, অন্যদিকে ঋণ গ্রহণে অনীহা এবং পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চয়তা। সব মিলিয়ে দেশের এসএমই খাত টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাজারে এসএমই খাতের বর্তমান দুরাবস্থার প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়ছে বলে মনে করেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারী তারেক হোসেন বলেন, কোম্পানির ভালো-মন্দের ওপরে পুঁজিবাজারে দাম ওঠানামা অনেকখানি নির্ভর করে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বাজার খারাপ হওয়া এ খাতের সূচকেও শনির দশা চলছে।
তবে সাপ্তাহিক বিবেচনায় সার্বিকভাবে লেনদেন বেড়েছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহ শেষে পাঁচ কার্যদিবসে শেয়ার এবং ইউনিট কেনাবেচার পরিমাণ ছাড়িয়েছে ২ হাজার ১৩২ কোটি টাকা, যা এর আগে ছিল ১ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা।
বেড়েছে প্রতিদিনের গড় লেনদেনও। প্রতিদিনের গড় লেনদেন ৩৩৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪২৬ কোটি টাকা। এতে করে সপ্তাহান্তে লেনদেন বেড়েছে ২৫ শতাংশের বেশি।
লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে ডিএসই'র বাজার মূলধনও। পাঁচ দিনে ডিএসই'র বাজার মূলধন বেড়েছে ৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি।
পুরো সপ্তাহজুড়ে দরবৃদ্ধির তালিকায় ছিল বেশিরভাগ কোম্পানি। দাম বেড়েছে ২৬৫ কোম্পানির, কমেছে ১০৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের ইতিবাচক পরিবর্তন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, নতুন কমিশন কখনোই বাজারে হস্তক্ষেপ করে না। এতে করে বাজার নিজের গতিতে চলার সুযোগ পায়। সে হিসাবে রাতারাতি পুঁজিবাজার ফুলেফেঁপে ওঠে না, আবার বিনিয়োগকারীদের ভরাডুবিও হয়না। সব মিলিয়ে কমিশনের বাজারমুখি সিদ্ধান্তের প্রতিফলন ঘটেছে গেল পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেনে।
পাঁচ কার্যদিবসের লেনদেনে দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ারের মধ্যে এ ক্যাটাগরির কোনো কোম্পানি নেই। তালিকায় থাকা কোম্পানির মধ্যে পাঁচটি বি গ্রুপের এবং বাকি পাঁচ জেড গ্রুপের। অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে থাকা কোম্পানির মধ্যে এ ক্যাটাগরির কোম্পানি আছে চারটি।
সাপ্তাহিক লেনদেন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দাম বাড়তে থাকায় বিনিয়োগকারীদের বড় অংশের আগ্রহ তৈরি হয়েছে নিম্নমানের কোম্পানির শেয়ারের প্রতি। এতে করে ঝুঁকি নিয়েই পুঁজিবাজারে নিজেদের অর্থলগ্নি করছেন তারা।
বাজারে নিম্মমানের কোম্পানির শেয়ারের সোরগোল প্রসঙ্গে ডিএসই'র পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, এখনো বাজারে তারল্য সংকট বিদ্যমান আছে। বাজারে তারল্য সংকট চলতে থাকলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ে। তারা রাতারাতি মুনাফা করতে গিয়ে কিংবা পূর্বের হওয়া লোকসান সামাল দিতে নিম্নমানের কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে। এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা বেশিরভাগ কারসাজির ঘটনা ঘটে এসব কোম্পানির শেয়ার কেন্দ্র করেই।
খাতভিত্তিক শেয়ারে এতদিন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান সুবিধা করতে না পারলেও গত পাঁচ কার্যদিবসে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে এ দুটি খাত। তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫, কমেছে ৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ ব্যাংকের শেয়ারের দাম। সপ্তাহ শেষে ব্যাংকের শেয়ারের সামগ্রিক দাম বেড়েছে ৬৫ শতাংশ এবং শেয়ার ক্রয়বিক্রয়ের পরিমাণ ৮০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে টানা উত্থানে শেষ হলো সপ্তাহ
অন্যদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সর্বসাকুল্যে কোনো শেয়ারের দাম কমেনি। তালিকাভুক্ত ২৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২ এবং অপরিবর্তিত আছে ১ কোম্পানির শেয়ারের দাম। পাঁচদিনে এ খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭৫ শতাংশ এবং হাতবদলে ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়ে গেছে ১১৫ শতাংশ।
আগের তুলনায় পুঁজিবাজারে রিটার্ন বেড়েছে ১ শতাংশের ওপর। এরমধ্যে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি রিটার্ন দিয়ে শীর্ষে আছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যাংক খাতে রিটার্ন বেড়েছে ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, চলতি মাসে ঘোষিত হওয়া নতুন মুদ্রানীতি নিয়ে অনেকে প্রত্যাশা করছেন নতুন করে সুদের হার না বাড়ানোর। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়েছে, এবারের মুদ্রানীতি হবে সংকোচনমূলক। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে এ মুদ্রানীতি ঘোষিত হবে। এর একটি ইতিবাচক প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়তে শুরু করেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
৫১ দিন আগে
বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে এসএমই: অক্সফাম
দেশের প্রায় ৭৮ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
এ উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার আগারগাঁওতে এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ৭৮ লাখ এসএমই রয়েছে, যা দেশের মোট শ্রমশক্তির ২৫ শতাংশ এবং শিল্প খাতের কর্মসংস্থানের ৮০ শতাংশ। সেই ধারাবাহিকতায়, এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া এই সমঝোতা স্মারক দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ব্যবসায়িক পরিষেবা ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।
সমঝোতা স্মারক সই প্রসঙ্গে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অক্সফামের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে, আমরা সার্বিকভাবে এসএমইর উন্নয়নে কাজ করতে পারব, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য অর্জনে সহায়তা করতে পারব।’
অক্সফাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে বলেন, ‘বাংলাদেশের দারিদ্র নিরসন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে এসএমই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প; বিশেষ করে তরুণ উদ্যোক্তা, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বে একটি সমতার পরিবেশ গড়ব। আমাদের এই যৌথ প্রচেষ্টা আরও বেশি শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়তে অবদান রাখবে।’
এই সমঝোতা স্মারকের অধীনে, উভয়পক্ষ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ব্যবহারের মাধ্যমে এসএমই উদ্যোক্তাদের ব্যবসা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল ও ভৌত বাজার একীকরণ ও প্রাপ্য আর্থিক উৎসের সুযোগ নিয়ে কাজ করবে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এসএমই তহবিল উন্নয়নে বেসরকারি খাতের বাধা মোকাবিলায় দুইপক্ষই বিশেষভাবে জোর দেবে।
এসএমই ফাউন্ডেশন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের জাতীয় কৌশল গঠন; বিশেষ করে নারী ও তরুণ উদ্যোক্তা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট নীতিগুলো নিয়ে অক্সফামের সঙ্গে কাজ করবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় সেগুলো চিহ্নিত করে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের সাশ্রয়ী ও পর্যাপ্ত আর্থিক সুযোগ তৈরিতেও কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং অক্সফাম ইন বাংলাদেশ। বিশেষ করে ব্যবসায়িক সহযোগিতা শক্তিশালীকরণ, যুব-অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক মডেলের পাইলটিং করা ইত্যাদির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
২৬৯ দিন আগে
ইউএনডিপি-এসএমই ফাউন্ডেশনের সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন।
বুধবার দুপুরে ঢাকায় এসএমই ফাউন্ডেশন এর কার্যালয়ে ইউএনডিপি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান গুয়েন এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান সমঝোতা স্মারকে সই করেন। আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হলেন জয়া আহসান
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউএনডিপি জানায়, এই সমঝোতা স্মারক এর আওতায় দুই সংস্থা যৌথভাবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে উদ্যোক্তা বিশেষত নারী উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তারা বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করবে।
এছাড়া উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালা এবং সেমিনারের আয়োজন করবে।
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত, পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন প্রচেষ্টার অগ্রগতি সাধন করাই এই অংশীদারিত্বের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসএমই খাত একটি বড় ভূমিকা পালন করছে এবং এই অংশীদারিত্ব এ খাতের প্রবৃদ্ধিকে আরও জোরদার করবে।
ভ্যান নুয়েন বলেন, ‘বাংলাদেশে শিল্পোদ্যোগ এবং পরিবেশবান্ধব উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই সমঝোতা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অধিক সুযোগ সৃষ্টি, আর্থিক খাত ও ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ এবং গ্রামাঞ্চলে এসএমই পরিষেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: ডিজিটাল লাইব্রেরি অ্যাপ চালু করল ইউএনডিপি
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, ‘এই অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্য হলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান এবং বাংলাদেশে উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশকে শক্তিশালী করা। এই অংশীদারিত্ব আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ও রপ্তানিমুখী দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যা আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করবে এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের মর্যাদা রক্ষায় অবদান রাখবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান, জাতীয় প্রকল্প স্বপ্ন এর পরিচালক কাজল চ্যাটার্জি, এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের উইং প্রকল্প, জেন্ডার টিম লিডার শারমিন ইসলাম, উইং প্রকল্প ন্যাশনাল কনসালটেন্ট সারাহ জিতা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে ইউএনডিপি ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সমঝোতা চুক্তি
৬২০ দিন আগে
এসএমই ও নারী চালিত প্রতিষ্ঠানের প্রণোদনার ঋণে প্রবেশাধিকার প্রয়োজন
ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান (এসএমই) এবং নারী চালিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঋণ বিতরণ ত্বরান্বিত করতে প্রণোদনার প্যাকেজের ঋণ পরিশোধের সময় বৃদ্ধি ও বর্তমান শর্ত ছাড় দেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন বক্তারা। রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক কর্মশালায় বক্তারা এ মত দেন।
তারা ক্ষুদ্র, মাঝারি ও নারী চালিত প্রতিষ্ঠানগুলো করোনাজনিত চ্যালেঞ্জ যেন মোকাবিলা করতে পারে সে জন্য স্বচ্ছ নীতির ওপর জোর দেন।
তারা বলেন, মহামারির আঘাত এখনও ব্যবসায় আছে। কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের বিকাশের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করছে। কেননা ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকার সব সময় গবেষণাকর্ম ও উদ্ভাবনের প্রশংসা করে।
তিনি বলেন, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান যেন দ্রুত ঠিক হতে পারে সে জন্য সরকার বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ডে বলেন, বাংলাদেশি নারী উদ্যোক্তারা ভালো করছেন এবং তার দেশ তাদের সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
কর্মশালায় সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ৩,২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ
এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রণোদনা চায় বাংলাদেশ
প্রান্তিক কৃষকের কাছে প্রণোদনার সুফল পৌঁছে দিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
১২৩৯ দিন আগে
এসএমই খাতের উন্নয়নে বাজেটে এসএমই ফাউন্ডেশনের ৬৩টি প্রস্তাব
এসএমই খাতের উন্নয়নে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে এসএমই ফাউন্ডেশনের ৬৩টি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতি অর্থ বছরের ধারাবাহিকতায় ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে এসএমই বান্ধব প্রস্তাবনা অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিভিন্ন এসএমই অ্যাসোসিয়েশন, ট্রেড বডিজ ও উদ্যোক্তা হতে প্রস্তাবনা চাওয়া হয়। যার প্রেক্ষিতে ১৫টি অ্যাসোসিয়েশন-ট্রেড বডিজ হতে এসএমই খাত সংশ্লিষ্ট ১০০ এর বেশি প্রস্তাব পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের প্রণোদনার চেক বিতরণ শুরু
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ও ৭ মার্চ এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত দু’টি যৌক্তিকীকরণ সভার মাধ্যমে সভায় উপস্থিত বিভিন্ন এসএমই অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড বডিজের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনাক্রমে প্রস্তাবসমূহ যৌক্তিকীকরণপূর্বক ৬৮টি প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়।
২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক-বাজেট সভায় এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক ৬৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। যেখানে কাস্টম্স সংশ্লিষ্ট ৩১টি, মূসক সংশ্লিষ্ট ১১টি এবং আয়কর সংশ্লিষ্ট ২১টি প্রস্তাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি ক্রয়ে এসএমই খাতের জন্য কোটা নির্ধারণের চেষ্টা চলছে: শিল্পমন্ত্রী
এছাড়া নগদ সহায়তা সংশ্লিষ্ট অবশিষ্ট ৫টি প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। প্রাক-বাজেট সভায় এসএমই ফাউন্ডেশন উত্থাপিত প্রস্তাবসমূহ সর্বোচ্চ বিবেচনা করা হবে মর্মে এনবিআর এর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম উল্লেখ করেন।
তিনি এসব প্রস্তাবনার মাধ্যমে যাতে বৃহৎ উদ্যোক্তারা সুবিধা না পেয়ে বরং প্রকৃত এসএমইরা সুবিধা পায় সেদিকে গুরুত্ব প্রদানের জন্য এনবিআর এর সংশ্লিষ্ট বোর্ড সদস্যদেরকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এসএমই খাতের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রতি অর্থবছর এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক জাতীয় শিল্পনীতি ও এসএমই নীতিমালা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে জাতীয় বাজেটে ট্যাক্স, ভ্যাট, ট্যারিফ ও আর্থিক প্রণোদনা ইত্যাদি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা বরাবর উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: রূপকল্প ২০৪১-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের তাগিদ শিল্পমন্ত্রীর
২০১১-১২ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত এসএমই ফাউন্ডেশন হতে সর্বমোট ৩২৮ টি প্রস্তাবনা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা বরাবর পাঠানো হয়েছে যার মধ্যে ৫৭ টি প্রস্তাবনা এনবিআর কর্তৃক গৃহীত হয়েছে এবং জাতীয় বাজেটে প্রতিফলিত হয়েছে।
১৩৯৯ দিন আগে
নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার আহ্বান শিল্প প্রতিমন্ত্রীর
নতুন প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রস্তুত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান বাস্তবায়নে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ইনকিউবেশন সেন্টারে নতুন উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
১৫৩৪ দিন আগে
বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী তুরস্ক
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের (এসএমই) উন্নয়নে তুরস্ক কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।
১৭১১ দিন আগে
ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য চাওয়া হলো ১১০০ কোটি টাকার সিড মানি
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এসএমই (ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প) খাতের জন্য ঘোষিত প্যাকেজে ব্যাংকিং ব্যবস্থার আওতা বহির্ভূত অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ সহায়তার জন্য সিড মানি হিসেবে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা চেয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
১৭৮৯ দিন আগে
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের উন্নয়নে গবেষণা চান প্রধানমন্ত্রী
দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) উন্নয়নে চাহিদা, উৎপাদন ও বিপণনের বিষয়ে গবেষণার উপর ব্যাপক গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৮৫২ দিন আগে
এসএমই খাতকে অর্থ, প্রযুক্তি, বাজার সুবিধা দিতে নীতিমালা অনুমোদন
ঢাকা, ০৯ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- দেশের ৭৮ লাখের মতো এসএমই প্রতিষ্ঠানকে অর্থ, প্রযুক্তি ও বাজার সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে সোমবার ‘এসএমই নীতিমালা ২০১৯’ এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
২০২৯ দিন আগে