ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জন্য বড় অনুপ্রেরণা।
লন্ডনে কমনওয়েলথ সচিবালয়ের মার্লবরো হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও দুই মেয়ে আপনার ভক্ত।’
সুনাক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই ছিল দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে প্রথম বৈঠক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডনে অবস্থান করছেন।
সাক্ষাৎ শেষে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সুনাককে অভিনন্দন জানান। অল্প বয়সে এশীয় ঐতিহ্যের প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় তিনি তাকে অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ লিডার্স ইভেন্টে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে মতবিনিময় প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তরুণরা কী করতে পারে তার একটি দুর্দান্ত উদাহরণ আপনি।’
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে সুনাক কোভিড-১৯ মহামারির আগে ও পরে উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার সাফল্যের পেছনের রহস্য জানতে চান।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রোল মডেল মনে করেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের কথা তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, ‘ঋষি সুনাক বলেন, আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো। আমাদের মধ্যে ৫০ বছরের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।(ভবিষ্যতে) আরও ভালো হবে।’
তিনি বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, ‘আপনারা জানেন যে ব্রিটেনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আগে ছিল সাহায্যভিত্তিক সম্পর্ক। কিন্তু এখন আমাদের জিডিপির এক শতাংশও সাহায্য থেকে আসে না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চান।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ করা উচিত।
হাইকমিশনার সাইদা মুনা আরও বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
রাজার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৩০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যুক্তরাজ্যে এসেছেন। এর মধ্যে ঋষি সুনাক মাত্র সাতটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ছিলেন।
প্রায় ৩৫ মিনিট ব্যাপী এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার