প্রশংসা
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা ড. ইউনূসের
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহকারী হিসেবে রাশিয়ার ভূমিকার কথাও স্বীকার করেন তিনি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি বুধবার (৯ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতের সময় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রূপপুর প্রকল্পের বকেয়া-সংক্রান্ত জটিলতা সমাধান করবে এবং বাংলাদেশে আরও রাশিয়ান বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়। 'আমরা একসঙ্গে কাজ করব।'
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার অবস্থান জানে না সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বৈঠক চলাকালীন, ম্যান্টিটস্কি রাশিয়ান ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার তিন বছরেরও বেশি মেয়াদে তার ঘটনাবহুল সময়ের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন।
তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, যা আগামী বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে এবং এর বিশেষজ্ঞরা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছেন।
বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্যাজপ্রমের বাংলাদেশে অনুসন্ধান কার্যক্রম, রাশিয়ার গম ও সার রপ্তানি এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধ নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এ সময় সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. আবুল হাসান মৃধা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইতালির ভিসা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, আশা উপদেষ্টা তৌহিদের
১ মাস আগে
নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজের প্রশংসা করেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'তাকে(রাষ্ট্রপতি) আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে একজন ক্ষমতাধর নারী উল্লেখ করে ভারতীয় রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি পর পর চারবার এবং মোট পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কাজ করছেন, সেটির সঙ্গেও সহমত পোষণ করেছেন দ্রৌপদী মুর্মু।'
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, 'আমি তাকে বলেছি যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে বলেছেন, 'জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে কেন একজন নারীকে দেখতে পাই না? দেখতে চাই। তিনি সেটির সঙ্গেও ঐকমত্য পোষণ করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির সঙ্গে ভারত সবসময় ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে পৌঁছান ড. হাছান মাহমুদ।
তিন দিনের এ সরকারি সফরের শেষ দিনে ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত ভারতের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে প্রথম এবং দ্বিতীয় নারী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সমাজের অবহেলিত অংশের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের জন্য তার খ্যাতি রয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি ঝাড়খণ্ডের গভর্নর, উড়িষ্যার মিনিস্টার অব স্টেট এবং উড়িষ্যার লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির সদস্য (এমএলএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ভারতের ভাইস-প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ
ভারতের ভাইস-প্রেসিডেন্টের জগদীপ ধনকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। দিল্লিতে নতুন পার্লামেন্ট ভবনে এই সাক্ষাতে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে সৌদি আরবের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
৯ মাস আগে
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা ইফাদ প্রেসিডেন্টের
ইতালির রোমে অবস্থিত জাতিসংঘের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) প্রেসিডেন্ট আলভারো ল্যারিও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ, ব্যয়ন ও ব্যবহারে সর্বোচ্চ অবদানের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
আলভারো ল্যারিও খাদ্য উৎপাদন, জলবায়ু, স্মার্ট এগ্রিকালচার ও উন্নয়ন কার্যক্রমে নারী ও যুবকদের অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন এবং বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার বিষয় উল্লেখ করেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম কর্তৃক ইফাদের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গম ও ভোজ্য তেলের উৎপাদন বাড়াতে ইফাদের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ
রাষ্ট্রদূত ইসলাম ইফাদের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ এবং বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য প্রেসিডেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে ইফাদ ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান এবং বাংলাদেশ ইফাদের প্রথম সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।
রাষ্ট্রদূত ইফাদসহ অন্যান্য স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহে ইফাদ প্রেসিডেন্টের কাজ করার অভিজ্ঞতা ও গভীর জ্ঞানের প্রশংসা করেন, যা সারা বিশ্বের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং প্রান্তিক অঞ্চলসমূহের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: ৭ হাজার ২১৪ কোটি টাকার প্রকল্পের জন্য ঋণ আলোচনা শেষ করেছে ইফাদ ও বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নের বর্ণনার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত কৃষি খাতে বাংলাদেশের অসাধারণ অর্জনসমূহ তুলে ধরেন যা সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
ইফাদ সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন’ এর ভিত্তিতে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং গ্রামীণ জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ইফাদ উভয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আল আমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) আয়েশা আক্তার, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. আশফাকুর রহমান ও ইফাদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইফাদের বিনিয়োগে লাখো গ্রামীণ মানুষের জীবন-জীবিকায় পরিবর্তন হয়েছে: সারা সাভাস্তানো
৯ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটির প্রশংসা জয়শঙ্করের
বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটি এবং দুই দেশের জন্য বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতে এর ব্যাপক প্রভাবের প্রশংসা করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এর ব্যাপক প্রভাবের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তারা প্রকৃতপক্ষে ভারতীয়দের বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে যেতে এবং বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।’
জয়শঙ্কর বলেন, আসল কথা হলো তারা চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবেন।
তিনি সেখানে চলাচলকারী বাস ও ট্রেনের মাধ্যমে যোগাযোগের কথাও উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন মন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাই কমিশনারের সাক্ষাৎ
নেপাল প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতে নেপালের বিদ্যুৎ রপ্তানি হিমালয়ের দেশটির জন্য একটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ লেনদেন।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনি ঠিকই বলেছেন যে প্রতিযোগিতা আছে। আমি আজ বলব- আমাদের প্রতিযোগিতায় ভয় পাওয়া উচিৎ নয়। আমাদের প্রতিযোগিতাকে স্বাগত জানানো উচিৎ এবং বলা উচিৎ যে আমাদের প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা রয়েছে।’
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট মুম্বাই ড. বিজয় চৌথাইওয়ালে’র সঞ্চালনায় একটি জ্ঞানগর্ভ কথোপকথনে ড. জয়শঙ্করকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
৯ মাস আগে
অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে শরণার্থীদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত প্রতিটি দেশের: ডেভিড ক্যামেরন
নিজস্ব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, প্রতিটি দেশের শরণার্থীদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত।
সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বিতর্কের সময় তিনি বলেন, 'এত শরণার্থী গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে ভূমিকা পালন করছে তার জন্য প্রশংসা করা উচিত।’
ক্যামেরন বলেন, স্পষ্টতই সেখানে বিশাল চাপ রয়েছে- শিবিরের পরিস্থিতি এবং পর্যাপ্ত খাদ্য আছে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে - তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ এক মিলিয়ন লোকের দেখভাল করছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘আর এ কারণেই আমরা এটিকে যতটুকু পারছি সমর্থন করছি। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে প্রতিটি দেশের শরণার্থীদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত।’
২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৩৭৩ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের জন্য ৩০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামে আমরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ও মিয়ানমারের মানবিক সংকটের জন্য অতিরিক্ত ৭ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তার ঘোষণা দিয়েছি।
রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনসহ সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের বিষয়েও যুক্তরাজ্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিরোধী দল রাজপথ ছাড়বে না: বিএনপি
ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
১০ মাস আগে
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রগতির প্রশংসায় মার্কিন কংগ্রেসম্যান অ্যান্ড্রু
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান অ্যান্ড্রু গারবারিনো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন।
শুক্রবার রাতে (১৮ আগস্ট) নিউইয়র্কে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ১৪ বছরে দেশের অগ্রগতি ও সাফল্য দেখেছে এ জাতি।
তিনি আরও জানান, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে যোগ্য করে গড়ে তুলেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্যও কাজ করেছে।
কংগ্রেসম্যান আরও বলেন, ‘আমি মনে করি অর্থনীতি, জ্বালানি খাত ও অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের উন্নতি এবং সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় এর ভূমিকা অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিদেশি শক্তি: প্রধানমন্ত্রী
বিজ্ঞান-প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ড গঠন করবে জাতিসংঘ
১ বছর আগে
আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। সোমবার (১৪ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সেক্রেটারি এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকারের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওইদিন দিনগত রাত সাড়ে ৮টা থেকে দুই নেতা কুশল বিনিময় করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন।
শেখ হাসিনা ফোনকলের সময় উপস্থিত থাকার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। তিনি তার ভাই শেখ সাইদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। উভয় নেতা স্মরণ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশি জনগণ, সরকার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনামের পরিবারের সদস্যদের এবং তার নিজের পক্ষে ইয়েমেনে অপহরণকারীদের কাছ থেকে আনামের মুক্তি লাভের লক্ষ্যে তাদের অসাধারণ প্রচেষ্টা এবং সফল আলোচনার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি দেশটির গোয়েন্দা ইউনিটের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাদের সফল উদ্যোগের ফলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনাম সম্প্রতি ইয়েমেনে অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুক্তি লাভ করেন।
তিনি দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদেরও ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল-কায়েদার বন্দিদশা থেকে আমানের সফল মুক্তির আলোচনা তার দূরদর্শী নেতৃত্বে একটি শান্তি-নির্মাণকারী এবং দায়িত্বশীল জাতি হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সক্ষমতা প্রদর্শন করে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এই ধরনের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে। শেখ হাসিনা বলেন, এই ধরনের সহযোগিতা বিদ্যমান শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে এবং দুই শান্তিপ্রিয় দেশের মধ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ করবে।তিনি আশাপ্রকাশ করেন, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আগামী বছরের মার্চে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে।সেই লক্ষ্যে, তিনি এই মাইলফলক অনুষ্ঠানটি উদযাপনের জন্য যৌথভাবে স্মারক কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।তিনি এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।প্রধানমন্ত্রী কপ২৮ আয়োজনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনগণকেও অভিনন্দন জানান। তিনি কপ২৮ এর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতে তার দেশে সবুজায়নকরণে প্রেসিডেন্টের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলোর একটি সফল সমাধান খুঁজে বের করতে নেতৃত্ব দেবে। এছাড়া শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশি কর্মীদের কাজ করার সুযোগ প্রদানের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট তাদের অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নে এই শ্রমিকদের অবদানের প্রশংসা করেন।শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান এবং তার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনগণের জন্য অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য: প্রধানমন্ত্রীকে সারাহ কুক
সফররত দুই মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
১ বছর আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বিদ্বেষ নয়’ পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং বলেছেন দেশটি ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুকসহ সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্কে এই নীতি অনুসরণ করছে।
রবিবার (১৩ আগস্ট) কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘গোপন তথ্য’ কারা ফাঁস করেছে তা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি: মোমেন
এসময় মোমেন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় পার্ক ইয়ং-সিককে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
মোমেন কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা করেন; যা এক প্রজন্মেরও কম সময়ে কোরিয়াকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরিত করেছে।
এছাড়া এই মডেলটি বাংলাদেশের মতো অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস বলেও স্বীকার করেছেন মন্ত্রী।
মোমেন সম্প্রতি বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন।
তিনি একটি রপ্তানিমুখী অর্থনীতি গড়ে তুলতে কোরিয়ার সঙ্গে আরও সহযোগিতা কামনা করেন।
মোমেন রাষ্ট্রদূতকে তার বাংলাদেশে থাকাকালীন সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মার্কিন সরকার পদত্যাগ করবে কি না সফররত কংগ্রেসম্যানদের মোমেনের প্রশ্ন
শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে: ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে মোমেন
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (ইউএসজি) জিন পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স এবং ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথরিন পোলার্ড রবিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে তারা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
জাতিসংঘ কর্মকর্তারা বলেন, বিশ্ব সংস্থাটি সফলভাবে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে।
তারা শান্তি রক্ষায় অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের বলেন, বাংলাদেশ তিন দশক ধরে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান রাখছে।
আরও পড়ুন: শান্তিরক্ষা মিশনে বৈষম্য ও যৌন নিপীড়নের কোনো স্থান নেই: পররাষ্ট্র সচিব
তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সৈন্য প্রেরণকারী দেশ বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে প্রায় সাড়ে সাত হাজার বাংলাদেশি নারী-পুরুষ নিয়োজিত রয়েছেন।
ক্যাথরিন পোলার্ড যৌন শোষণ ও নির্যাতন রোধে ট্রাস্ট ফান্ডে বাংলাদেশের অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ নারী নিরাপত্তা ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি যৌন শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তদন্তের মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে বাংলাদেশ একটি ঝুঁকিপূর্ণ দেশ এবং তার সরকার নিজস্ব অর্থায়নে প্রশমন ও অভিযোজন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় প্রথম শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দেবেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রোইক্স
মালিতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে রওনা হয়েছে পুলিশ দল
১ বছর আগে
বাংলাদেশে অবদানের জন্য প্রিন্স রহিম ও আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ককে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে অবদানের জন্য প্রিন্স রহিম আগা খান এবং আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের (একেডিএন) প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আগা খান একাডেমি ঢাকা প্রতিষ্ঠার কথা বিশেষভাবে স্মরণ করেন। কারণ, এটি দেশের আরও উন্নয়নে অবদান রাখবে এমন ভবিষ্যতের বাংলাদেশি নেতা তৈরি করতে চায়।
বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের শিক্ষা ও জলবায়ু অগ্রাধিকার নিয়ে প্রিন্স রহিম আগা খান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনা করেছেন।
তিনি সরকারের চলমান সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান, বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে।
প্রিন্স বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে মহামান্য আগা খান এবং আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের অব্যাহত অঙ্গীকারের কথা জানান।
আরও পড়ুন: আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের ২ প্রকল্প
একেডিএন অনুসারে, প্রায় সাত দশকের সহযোগিতার ভিত্তিতে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত একটি প্রোটোকল অব কো-অপারেশনের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করা হয়।
প্রিন্স রহিম স্বাধীনতার পর থেকে ৫০ বছর ধরে অনেক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে উন্নতি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং বাংলাদেশিদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বাংলাদেশের ভালো অগ্রগতির কথা স্বীকার করেন।
বিশ্বব্যাপী একেডিএন-এর কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রিন্স রহিম ২০২২ সালে আগা খান একাডেমি ঢাকায় উদ্বোধনসহ বাংলাদেশে সংগঠনটির কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
একাডেমিটি একটি বর্ধিত আন্তর্জাতিক স্নাতক পাঠ্যক্রম এবং নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ প্রদান করে, যাতে স্নাতকদের দেশ ও বিশ্বজুড়ে তাদের সমাজে অবদান রাখতে ক্ষমতায়ন করা যায়।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে প্রিন্স রহিম কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে একেডিএন-এর অভিজ্ঞতা ও কর্মসূচি তুলে ধরেন এবং সবুজ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য নেটওয়ার্ক কর্তৃক গৃহীত জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আয়োজিত 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল' এ যোগ দিতে জেনেভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রিন্স রহিম আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে জেনেভা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে