ঢাকায় আসার পর এক টুইটে তিনি বলেন, ‘উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করতে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাথে কাজ করতে চান।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অংশ নেয়া বিশ্বনেতাদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়।
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে সম্মানিত এবং পরের দুই দিনের উৎসব এবং আলোচনার প্রত্যাশায় রয়েছি।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে
বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী।
সন্ধ্যায় তিনি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বল রুমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ভোজ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
শনিবার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে উভয় দেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। উভয় নেতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। বিকালে তিনি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে বৈঠক করবেন।
এর আগে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী, তার স্ত্রী এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি বিমানটি সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মাহিন্দা রাজপাকসেকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল এ সময় গার্ড অব অনার দেয়। এ সময় বিমানবন্দরে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দর থেকে সফররত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে চলে যান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-মালদ্বীপ ৪ সমঝোতা স্মারক সই
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আজ বাস্তব: ট্রুডো
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের দশ দিনব্যাপী আয়োজনের সূচনা হয়েছে গত ১৭ মার্চ জাতির জনকের জন্মদিনে।
প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরাও বাংলাদেশের এ উদযাপানের সঙ্গী হচ্ছেন। প্রথম দিন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ প্রথম বিশ্বনেতা হিসেবে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।
মাহিন্দা রাজপাকসের সফর শেষে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী ২২ মার্চ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ২৪ মার্চ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় আসবেন।