সুবর্ণজয়ন্তী
কলারোয়া সরকারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন
প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্ণ করেছে সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী কলারোয়া সরকারি কলেজ।
‘আগামীর পথে চলো এক সাথে’- স্লোগানকে সামনে রেখে পালিত হতে যাচ্ছে কলেজের সুর্বণজয়ন্তী।
এ উপলক্ষে আগামী ১৩ এপ্রিল কলেজ ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এরইমধ্যে শুরু হয়েছে রেজিস্ট্রেশন, চলবে ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) কলারোয়া ও ঢাকা থেকে একযোগে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অনলাইনে নিজে রেজিস্ট্রেশন করে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর এসএম আনোয়ারুজ্জামান।
সরকারি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও রেজিস্ট্রেশন কমিটির আহ্বায়ক আলমগীর কবীর বাবুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- কলেজের উপাধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু নসর, প্রফেসর আবু বক্কর সিদ্দিক, প্রফেসর আব্দুল মজিদ, আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলিমুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল আলম মল্লিক, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী সভাপতি তৌহিদুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমএ কালাম, প্রচার কমিটির আহ্বায়ক আজাদুর রহমান খান চৌধুরী পলাশ, সিনিয়র সাংবাদিক দীপক শেঠ, কপাই সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ কামাল রেজা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব জাহিদুর রহমান খান চৌধুরী, জিএম ফৌজি, ফারুক হোসেন, সহকারী অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক রাশেদুল হোসেন কামরুল, প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান, সাংবাদিক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, প্রভাষক আরিফ মাহমুদ, আতাউর রহমান, মোশতাক আহমেদ, জাহাঙ্গীর হোসেন, সোহাগ হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রশনের কারিগরি বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: টিএসসিতে মেট্রো স্টেশনের জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রলীগ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রেশন কমিটির আহ্বায়ক আলমগীর কবীর বাবু জানান, অনলাইনে বা কলেজ প্রাঙ্গণ/রেজিস্ট্রেশন বুথে এসে নিবন্ধন করতে পারবেন সাবেক শিক্ষার্থীরা।
অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে http://www.kgcgoldenjubilee.org ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর বিস্তারিত তথ্য এবং ফি পরিশোধের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা যাবে। ০১৭১১৯০৬৬৭০ ও ০১৭১৭৫০২৮৪৩ নম্বরে কল করে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
এছাড়া, কলেজ প্রাঙ্গণ ও কলারোয়া শহরের বিভিন্ন মোড়ে রয়েছে বুথ। যে কেউ চাইলে এসব বুথে এসে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। রেজিস্টেশনের সময় এক কপি ছবি ও কলারোয়া সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী পরিচয়ের প্রমাণপত্র প্রয়োজন হবে। রেজিস্ট্রেশন ফি সাবেক শিক্ষার্থীদের ১৫০০ টাকা, তাদের স্বামী/স্ত্রী/সন্তানদের ১০০০ টাকা।
অপরদিকে, ঢাকায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রেজিস্ট্রশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কাজী আছাদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, মিহির কুমার চক্রবর্তী, মো. আব্দুল হাকিম, ড. মো. ইউনুস আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মনিরুজ্জামান, প্রকৌশলী আবু তাহের খান, ব্যাংকার সি জি এম আসাদুজ্জামান মিলন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম, ব্যাংকার মো. আসাদুজ্জামান, আজহারুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান মিন্টু, কেএম আশরাফুজ্জামান পলাশ, শেখ জাহাঙ্গীর কবির, আরিফুজ্জামান মামুনসহ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে সুবর্ণজয়ন্তী সফলভাবে আয়োজনের জন্য উদযাপন কমিটি ও বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
ইবিতে ই-পেমেন্ট সেবা চালু
১১ মাস আগে
লিসবনে উদযাপিত হলো বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী
বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে।
এই উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ দূতাবাস, লিসবন-এর চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আলমগীর হোসেন দূতাবাসের অনান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর পদক প্রাপ্তির গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
আলমগীর হোসেন তার বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হলো জুলিও কুরি শান্তি পদক, যা বাংলাদেশের জন্য প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সম্মান।
এই পদক অর্জন বিশ্বদরবারে বাঙালি জাতিকে গৌরবান্বিত করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি তার বক্তব্যে পদকটির গুরত্ব ও ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন অগ্রদূত; অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর।
‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ বঙ্গবন্ধু ঘোষিত শান্তির এই বাণী, বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতিতে বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক।
চার্জ দ্য অ্যাফয়ার্স বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে যেমন ভূমিকা রেখেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
মিয়ানমারে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বদরবারে শান্তি ও মানবতার যে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তারও উল্লেখ করেন তিনি।
তাছাড়া, বিভিন্ন বৈশ্বিক ইস্যুতে যেমন জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও কন্যাশিশুদের শিক্ষা প্রসার, যুদ্ধ ও সংঘাত নিরসন, দক্ষিণ এশিয়ায় পারমানবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উদ্যোগ ও স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করেন।
আলোচনা শেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত
১ বছর আগে
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে 'সোলস' এর লোগো উন্মোচন
দেশের ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ড 'সোলস' ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে। সুবর্ণজয়ন্তীর এই আয়োজন শুরু হলো মঙ্গলবার (৬ জুন) তাদের লোগো উন্মোচনের মধ্য দিয়ে। এই উপলক্ষে ঢাকার অভিজাত একটি ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যান্ডের বর্তমান ও প্রাক্তন কয়েকজন সদস্য।
সেখানে পার্থ বড়ুয়া জানান, ‘আজ আমরা লোগো উন্মোচন করব। এছাড়া দেশে ও দেশের বাইরে আমরা সুবর্ণজয়ন্তীর কনসার্টের পরিকল্পনা করেছি। যেটি আগস্টের পর থেকে শুরু হবে। পাশাপাশি অনেকগুলো গান করেছি সেগুলো একে একে ভিডিওসহ ছাড়ব।'
১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম থেকে সোলস ব্যান্ডের পথচলা শুরু। সাজেদ, লুলু ও রনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ধারাবাহিকভাবে সোলসে যোগ দেন নকীব খান, পিলু খান, তপন চৌধুরী, নাসিম আলী খান, আইয়ুব বাচ্চু, রনি বড়ুয়া, নেওয়াজ, পার্থ বড়ুয়াসহ অনেকে।
বর্তমানে ব্যান্ডে রয়েছেন নাসিম আলী খান ও পার্থ বড়ুয়া, আহসানুর রহমান আশিক (ড্রামস), মীর শাহরিয়ার মাসুম (কি-বোর্ড) ও মারুফ হাসান রিয়েল (বেজ গিটার)।
আরও পড়ুন: আর্টসেল সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ
চঞ্চল -বাপ্পার হাতে টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড ২০২৩
হামদ-নাত প্রতিযোগিতার শীর্ষ ১০ জনের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান
১ বছর আগে
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রদানের সুবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার (২৬ মে) নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্থায়ী প্রতিনিধির নেতৃত্বে মিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য অবদান নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত মুহিত তার বক্তব্যের শুরুতেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তার জীবনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকে তার বিশ্ব শান্তির দূত হয়ে ওঠার বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু নিপীড়িত বাঙালি জাতিকে শোষণের শৃঙ্খল মুক্ত করে ক্ষান্ত হননি, দেশ বা বিদেশে যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখেছেন, সেখানেই তিনি প্রতিবাদের ঝড় তুলেছেন। এ কারণেই বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ জুলিও কুরি আন্তর্জাতিক শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত
১ বছর আগে
প্রধান বিচারপতি পদক পেলেন ৫ বিচারক
অধস্তন আদালতের বিচারকদের সততা, মেধা-যোগ্যতা ও কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রথমবারের মতো ব্যক্তিগতভাবে পাঁচজন বিচারককে ও দলগতভাবে একটি জেলার আদালতকে ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ দেয়া হয়েছে।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পদক গ্রহণ করেন পদকপ্রাপ্তরা।
আরও পড়ুন: রামগড়ের ইউএনওকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ
ব্যক্তিগতভাবে পদক পাওয়া পাঁচ ক্যাটাগরির বিচারকরা হলেন- জেলা ও দায়রা জজ ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছা, অতিরিক্ত জেলা জজ ক্যাটাগরিতে টাঙ্গাইলের মুখ্য বিচারিক হাকিম সাউদ হাসান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ক্যাটাগরিতে নওগাঁর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. খোরশেদ আলম, সিনিয়র সহকারি জজ ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারি জজ মোসা. রেশমা খাতুন এবং সহকারি জজ ক্যাটাগরিতে রংপুরের সহকারী জজ মো. হাসিনুর রহমান মিলন।
এদিকে, দলগতভাবে পদক পেয়েছে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ। এ জেলার পক্ষে জেলা ও দায়রা জজ হেলাল উদ্দিন পদক গ্রহণ করেন।
বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধান বিচারপতি পদক চালুর ঘোষণা দেন।
সে অনুযায়ী এপ্রিলে আপিল বিভাগের একজন বিচারককে সভাপতি করে হাইকোর্ট বিভাগের আরও পাঁচ বিচারককে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন প্রধান বিচারপতি।
কমিটি গঠন সংক্রান্ত সুপ্রিমকোর্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিনকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।
সদস্য হিসাবে আছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী, বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর এবং বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান।
এ কমিটি ‘প্রধান বিচারপতি পদক’ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি পদকের জন্য ব্যক্তি বাছাইয়ের দায়িত্বও দেয়া হয়। পরে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী রবিবার পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান: চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
১ বছর আগে
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জনগণ ও অর্থনীতির কল্যাণে দুই দেশের সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত করার প্রত্যাশায় রয়েছে বাংলাদেশ।
দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জনের পথে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বস্ত অংশীদার। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে শান্তি, বহুত্ববাদ ও জনগণের মর্যাদার প্রতি অভিন্ন অঙ্গীকার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা সন্তোষজনক যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা গভীর হচ্ছে এবং শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলা, বিনিয়োগ ও সেবা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর এবং জলবায়ু পরিবর্তন, জনগণের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুর মতো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার অপার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং তার নিজের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও বন্ধুত্বপ্রতীম জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার তাৎক্ষণিক স্বীকৃতিদানের বিষয়টি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা এবং পরবর্তী দশকগুলোতে অব্যাহত আর্থ-সামাজিক সহায়তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।’
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর থেকে বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং দারিদ্র্য বিমোচন, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে অনেকাংশে সফল হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি সমৃদ্ধ আধুনিক অর্থনীতি, দায়িত্বশীল দেশ, গণতন্ত্রের চর্চা, শান্তি স্থাপন ও বজায় রাখা এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষে আমাদের অবস্থানকে সুসংহত করতে চাই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
২ বছর আগে
আ.লীগ মানুষকে প্রকৃত ইতিহাস ভুলিয়ে দিচ্ছে: বিএনপি
আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে দেশবাসীকে ভুল তথ্য দিচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
শনিবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও বিজয় দিবস উদযাপন সংক্রান্ত বিএনপির কমিটি আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় নজরুল ইসলাম খান বলেন,‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে মানুষকে ভুল তথ্য দিচ্ছে। তারা দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চাইছে। আমি এটাকে অপচেষ্টা বলে মনে করি। এ ধরনের অপরাধ দেশ থেকে দূর করতে হবে। প্রত্যেককে তার প্রাপ্য স্বীকৃতি দিতে হবে।’
এসময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশের স্বাধীনতার স্থপতি হিসেবে আখ্যায়িত করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, যারা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার পরিচালনা করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীসহ অন্য সকল মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর থেকেই বাঙালি জাতি বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন,‘এই দীর্ঘ সময়ে যারা জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং যুদ্ধের সূচনা করেছেন তারা সবাই আমাদের সম্মানের দাবিদার।’
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব আরও সুদূরপ্রসারী হতে পারে: বিএনপি
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতৃত্ব সঠিক ভিত্তি তৈরি না করলে আমরা যুদ্ধে জিততে পারতাম না। সারা বিশ্ব থেকে যারা আমাদের সমর্থন করেছেন তারাও আমাদের সম্মানের দাবিদার। একই সঙ্গে, আমাদের অবশ্যই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে যারা আমাদের দেশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমাদের সাহায্য করেছেন। আমরা যদি অন্যের অবদানকে স্বীকৃতি না দিয়ে নিজেরাই সমস্ত ক্রেডিট নেয়ার চেষ্টা করি তবে এটি মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা অন্যায্য।’
২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ করেছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা তার (জিয়া) কণ্ঠে প্রথমবারের মতো রেডিওতে স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছিলাম। এখন কেউ যদি আমাকে আইন বা আদালতের রায়ের কথা বলে আমি নিজের কানে যা শুনেছি তা বিশ্বাস না করতে বললে আমি কীভাবে তা মেনে নেব?’
তিনি নতুন প্রজন্মকে সত্য জানার চেষ্টা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘মনে রাখবেন, মিথ্যা জানা জ্ঞান নয়।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩২ জেলায় বিএনপির সমাবেশ
মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা আজ প্রমাণিত: যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিএনপি
২ বছর আগে
৫০ বার রক্তদান করা ৫০ রক্তদাতাকে কোয়ান্টামের সম্মাননা
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন এমন ৫০ জন স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সংবর্ধনা দিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো একজন নারী রক্তদাতাও রয়েছেন।
শনিবার বেলা ১২টায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ আইডিইবি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এদেশের মানুষ ত্যাগের মাধ্যমেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। রক্তদাতারা রক্তদানের মাধ্যমে সেই কাজটিই করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এমন বহু ত্যাগের মাধ্যমেই সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব।
আরও পড়ুন: ৩০০ স্বেচ্ছায় রক্তদাতাকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সম্মাননা
উপস্থিত রক্তদাতাদের কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, রক্তদান নিয়ে মানসিক, শারীরিক ভয়, আতঙ্কসহ সামাজিক যে বাধা ছিল; তা দূর করে দেশের রক্তের চাহিদা পূরণে স্বেচ্ছা রক্তদাতারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
ভালো কাজের ফল সবসময়ই ভালো হয় এমন মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপনের সময় ঠিক ৫০ জন রক্তদাতা কোয়ান্টামে ৫০ বার রক্ত দিয়েছেন, যা আসলে তাদের ভালো কাজেরই প্রতিফলন। কিন্তু তারপরও ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে রক্তের চাহিদা এখনো অনেক। এই ঘাটতি পূরণে শিক্ষামন্ত্রী নতুন রক্তদাতা তৈরিতে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. নিজামউদ্দিন আহমদ।
রক্তদাতাদের পক্ষে আবেগঘন অনুভূতি ব্যক্ত করেন ৫৬ বার রক্তদানকারী মিজানুর রহমান সজল।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন জনাব এম রেজাউল হাসান। সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী। নিয়মিত রক্তদাতাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বেচ্ছা রক্তদানের মাধ্যমে চাহিদার ঘাটতি মেটানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শোক দিবসে কোয়ান্টামের দাফন করসেবা
করোনায় দাফন: কঠোর লকডাউনেও সক্রিয় কোয়ান্টামের স্বেচ্ছাসেবীরা
২ বছর আগে
যুক্তরাজ্যের কেরিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের রণতরির বাংলাদেশ সফর
যুক্তরাজ্যের কেরিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের বিশেষ রণতরি এইচএমএস কেন্টকে বৃহস্পতিবার স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশ। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের অটুট বন্ধন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামুদ্রিক শান্তির প্রতি যুক্তরাজ্যের অটল প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখেই ব্রিটিশ রণতরির এই সফর।
বৃহস্পতিবার ভোরে যুক্তরাজ্যের কেরিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের টাইপ ২৩ ফ্রিগেট (রণতরি) এইচএমএস কেন্ট চট্টগ্রাম নৌ-ঘাঁটিতে এসে নোঙ্গর করেছে। এই সফরে উদযাপিত হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় ও মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়ী ইতিহাস। এই বছর অব্যাহত শান্তি ও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্রিটেন-বাংলাদেশ বন্ধনের উদ্দীপনাকে সামনে রেখে, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ ও তাঁর মানুষের সাথে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে চায়।
আরও পড়ুন: মোংলায় পাথরবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি: ১০ নাবিক জীবিত উদ্ধার
এইচএমএস কেন্ট-এর উপস্থিতি আরও যে বিষয়টি মনে করিয়ে দেয় তা হচ্ছে প্রতিরক্ষা বিষয়ে সহযোগিতা এবং একটি মুক্ত ও অবিচল আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রতি যুক্তরাজ্যের অঙ্গীকার যার মাধ্যমে বিশ্বের মুক্ত সমাজ ও অর্থনীতিগুলোর সমৃদ্ধি অর্জনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
আশা করা হচ্ছে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে এইচএমএস কেন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসনের সাথে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করবে যার দ্বারা দুই দেশের সামরিক,বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
৩ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা কোন কল্পকাহিনী নয়, ভিশন ২০৪১ হলো সোনার বাংলা বাস্তবায়নে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবার একটি পরিকল্পনা।
বৃহস্পতিবার রিয়াদ দূতাবাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা কোন কল্পকাহিনী নয়, ভিশন ২০৪১ হলো সোনার বাংলা বাস্তবায়নে দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবার একটি পরিকল্পনা। যে দেশের অর্থনীতিকে এক সময় ‘’তলাবিহীন ঝুড়ি’’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল আজ সে দেশের অর্থনীতি বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকারের ভিশন ২০২১ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মূল মন্ত্র হিসেবে গত এক দশকে দেশের উন্নয়নে প্রশংসনীয় অবদান রেখেছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় ভিশন ২০৪১ হাতে নেয়া হয়েছে যা আগামী দুই দশকে উন্নত বাংলাদেশ তথা সোনার বাংলা গড়ায় অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: টিকার যৌথ উৎপাদন নিয়ে শিগগরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সৌদি আরব বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার। সৌদি আরবের সাথে শ্রমবাজার কেন্দ্রিক সহযোগিতার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে হবে যা সম্পর্কের মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। সোনার বাংলাকে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হলে আমরা আমাদের সহযোগিতার ভিত্তিকে সহজেই শ্রমবাজার থেকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে রুপান্তর করতে সক্ষম হব।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে ৫ মিলিয়ন টিকা কিনতে আগ্রহী বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, সৌদি আরব ব্যবসা, অর্থনীতি ও বিনিয়োগের সুযোগ সংস্কার করেছে যা কাজে লাগিয়ে আমাদের অনেক অভিবাসীরা সেখানে উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ নিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ১৭০টি দেশে বসবাসরত প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স করোনা মহামারি কালীন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। অভিবাসীদের সুবিধার্থে সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিবের বন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব কর্তৃপক্ষ (পিপিপিএ) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সুলতানা আফরোজ ও সৌদি ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ এন হিজ্জি। ওয়েবিনার পরিচালনা করেন দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান এস এম আনিসুল হক।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতরা ও কর্মকর্তারা যোগ দেন। এছাড়া রিয়াদে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
৩ বছর আগে