রবিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শিশুটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান।
তিনি বলেন, ‘শিশুটিকে দত্তক নেয়ার জন্য চার দম্পতি আগ্রহ দেখালেও শিশু কল্যাণ বোর্ড কমিটির সভায় এক দম্পতিকে নির্বাচন করা হয়। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার স্বার্থে আমরা তাদের নাম প্রকাশ করছি না।’
তবে প্রকৃত বাবা-মায়ের সন্ধান পেলে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেয়ার শর্তসহ বিদ্যমান আইন-কানুন মেনেই পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর হাতে দত্তক হিসেবে শিশুটিকে তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুল হাসান তাপস ও জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর রাতে হাসপাতালের সামনে অজ্ঞাত এক গর্ভবতী নারীকে দেখে হাসপাতালের এক কর্মচারী গাইনি বিভাগে ভর্তি করান। ওইদিন রাত ৩টার দিকে ছেলে সন্তান প্রসব করেন পরদিন ভোরে কাউকে কিছু না বলে শিশুটিকে ফেলে হাসপাতাল থেকে চলে যান ওই নারী।
পরবর্তীতে বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষকে অবগত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।