তিনি বলেন, ‘বর্তমানে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বেড়েছে। সেবার মাধ্যমে বন্দরের আয় বৃদ্ধি করা লক্ষ্য হওয়া উচিত। বেনাপোল স্থলবন্দরকে আরও যাত্রীবান্ধব উপযোগি করে তোলা হবে। যাত্রীসেবার সুযোগ সুবিধা ও অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে।’
মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক, আর্থিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সংক্রান্ত বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী স্থলবন্দরগুলোতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দরগুলোতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এরই মধ্যে বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দরে ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে এবং অন্যান্য বন্দরে অগ্নিনির্বাপণের জন্য ফায়ার এক্সটিনগুইসার চালু রয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলাম সভায় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ঘোষিত ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে ১২টি বন্দর চালু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেনাপোল, বুড়িমারী, আখাউড়া, ভোমরা, নাকুগাঁও, তামাবিল ও সোনাহাট নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং সোনামসজিদ, হিলি, বাংলাবান্ধা, টেকনাফ ও বিবিরবাজর স্থলবন্দর বিওটি ভিত্তিতে চালু আছে। বিরল স্থলবন্দর বিওটি ভিত্তিতে দেয়া হলেও এখনো সেটি চালু হয়নি। বিএনপি সরকার ২০০৭ সালে ছয়টি স্থলবন্দরকে বিওটি ভিত্তিতে পরিচালনার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল।