স্থলবন্দর
বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাটসহ কয়েকটি পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনার মধ্যেই এবার বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে কাপড় ও পাটজাতসহ কিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত।
শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্থলপথে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রের নভোসেবা বন্দর ব্যবহার করা যাবে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাটজাত পণ্য, একাধিক ভাঁজের বোনা কাপড়, একক শণ সুতা, পাটের একক সুতা ও ব্লিচ না করা পাটের বোনা কাপড়।
ডিজিএফটি জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। তবে, এসব পণ্য পুনরায় রপ্তানি করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে ভারতের কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের আমদানি তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
এ বছরের শুরুর দিকেও ভারত একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা
গত ১৭ মে নিজেদের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দেশটি।
তার আগে, ৯ এপ্রিল মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও অন্যান্য অঞ্চলে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানির জন্য দেওয়া ট্রান্স-শিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে দেশটি। তবে ওই সিদ্ধান্ত নেপাল ও ভুটানের জন্য প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়েছিল ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ছিল প্রায় ১ হাজার ২৯০ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি হয়েছে ১ হাজার ১৪৬ কোটি ডলারের, আর বাংলাদেশ থেকে আমদানি হয়েছে ২০০ কোটি ডলারের পণ্য।
১৫৯ দিন আগে
ভারতের আমদানি নিষেধাজ্ঞায় বিপাকে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা
বাংলাদেশি কিছু পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশি তৈরি পোশাক ও কিছু খাদ্যপণ্য। ভারতের এ সিদ্ধান্তের ফলে বিপাকে পড়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।
প্রতিষ্ঠানগুলোর আশঙ্কা, এ ধরনের কঠোর সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও খারাপের দিকে ঠেলে দেবে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ইউএনবিকে বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের পোশাক ভারতে পৌঁছাতে আগের চেয়ে বেশি সময় লাগবে। এতে খরচও বাড়বে। অর্থাৎ, (ভারতে পোশাক) রপ্তানি কিছুটা কমে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য যখন নানা সমস্যায় জর্জরিত, তখন এমন পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষের ক্ষতির পরিমাণ বাড়াবে।’
আরও পড়ুন: দুই সমুদ্রবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিল ভারত
বাংলাদেশ প্রতি বছর গড়ে ৫০ কোটি ডলারের পণ্য ভারতে রপ্তানি করে বলে জানান বিজিএমইএর সাবেক এই পরিচালক। বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের বড় ক্রেতা দেশ এবং সেখানে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বাজার বড় হচ্ছিল। এখন এই সিদ্ধান্ত নতুন করে আমাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াল।’
ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে ভুটান বা নেপালের ট্রানজিট পণ্য প্রভাবিত না হলেও সামগ্রিকভাবে ব্যবসায়িক সম্পর্কের ওপর এটি একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রপ্তানিকারকরা বলছেন, শুধু তৈরি পোশাক নয়; ফলমূল, কার্বনেটেড বেভারেজ, প্লাস্টিক ও পিভিসি পণ্য, কাঠের আসবাবপত্রসহ বেশ কিছু পণ্যের ওপরও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় স্থলবন্দরগুলোতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় সার্বিকভাবে ব্যবসা ও আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা থাকছেই।
শনিবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি) এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশ থেকে কিছু পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে নির্দিষ্ট বন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এক কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানায়, বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতীয় তুলা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং স্থলবন্দরগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পর ভারত এই সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে ভারত সরকারের ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতের বন্দর ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এ বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে না।
ডিজিএফটির বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে কোনো স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক আমদানি করা যাবে না। তবে ভারতের ব্যবসায়ীরা কেবল কলকাতা ও মুম্বাইয়ের নবসেবা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: আমরা কূটনীতিতে বিশ্বাসী, পুশ-ইন করি না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, অবিলম্বে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
পাশাপাশি ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস)/ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল এবং ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য ইত্যাদি রপ্তানি করা যাবে না।
তবে মাছ, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি), ভোজ্যতেল ও ভাঙা পাথর নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখেনি ভারত।
২০১ দিন আগে
সোমবার থেকে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর চালু
ঈদ উপলক্ষে টানা ১২ দিন বন্ধ থাকার পর সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে শুরু হতে যাচ্ছে আমদানি-রপ্তানি। সোমবার (৭ এপ্রিল) থেকে আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।
তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জেলা আমদানিকারক গ্রুপের পক্ষ থেকে ২৬ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।’
আরও পড়ুন: ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
তিনি আরও বলেন, ‘রবিবার থেকে দেশের সকল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে। তবে জেলা আমদানিকারক গ্রুপের সিদ্ধান্তে তামাবিল স্থলবন্দর চালু হবে সোমবার থেকে।’
২৪২ দিন আগে
অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন চার স্থলবন্দর বন্ধের সুপারিশ
দেশের তিনটি অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন স্থলবন্দর সম্পূর্ণ বন্ধ এবং একটি স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। আটটি স্থলবন্দর কার্যকর বা অকার্যকরের বিষয় যাচাইয়ের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কমিটি এ সুপারিশ করেছে।
রবিবার (২ মার্চ) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী আরিফ বিল্লাহের স্বাক্ষর করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শবে বরাত উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
সে সময় বিগত সরকারের আমলে নির্মিত দেশের অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন বিভিন্ন স্থলবন্দরসমূহের কার্যকারিতার বিষয়ে তদন্ত করতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টার আদেশে গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আটটি স্থলবন্দর যাচাইয়ের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থলবন্দগুলো সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রাপ্ত তথ্যাদি, আনুসঙ্গিক সুবিধা ও অসুবিধা, অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক কিনা; এ সকল বিষয় পর্যালোচনা করে নৌপরিবহন উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে যাচাই কমিটি।প্রতিবেদনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বাণিজ্য সম্ভাবনা বিবেচনায় নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি স্থলবন্দর, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার তেগামুখ স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে ব্যর্থ শেওলা স্থলবন্দর
অন্যদিকে, অর্থনৈতিক কার্যক্রম চলমান থাকায় ও আয়-ব্যয় অনুপাত তুলনায় লাভজনক বিবেচনায় শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরটির কার্যক্রম আরও গতিশীল করার পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের কেদারকোটে নির্মিত স্থলবন্দরের ভারতীয় অংশে কোনো অবকাঠামো ও সড়ক না থাকায় চালু করা সম্ভব না হওয়ায় বন্দরটির অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ জেলার গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরের দুটি স্থানের বদলে একটি স্থানে স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালু রাখার সুপারিশ করেছে কমিটি। আমদানি-রপ্তানির সুবিধা বিবেচনায় জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর ও দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দর দুটি চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে যাচাই কমিটি।
২৭৭ দিন আগে
আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও হিলি স্থলবন্দরে যাত্রী পারাপার চলছে
ভারতে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে পুনরায় শুরু হবে আমদানি-রপ্তানি।
এদিকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
বন্দরের হিলি কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান জানান, আজ (রবিবার) ভারতে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপিত হচ্ছে। সেখানে সরকারি ছুটি থাকায় ভারতের ব্যবসায়ীরা হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেন। বিষয়টি আমাদের পত্রের মাধ্যমে জানান।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, বন্দরে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ব্যবহার করে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে যাত্রীরা দুই দেশের মধ্যে চলাচল করেন। ফলে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
বন্দরের হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম জানান, বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের ওয়্যারহাউজে থাকা ভারতীয় আমদানি করা পণ্যবাহী ট্রাক থেকে খালাস কার্যক্রমসহ আমাদের অফিশিয়াল কাজকর্ম স্বাভাবিক নিয়মে চলছে।
এ কারণে ব্যবসায়ীরা শুল্ককর পরিশোধ করে তাদের পণ্য ছাড় করে গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান মো. শফিউল আলম।
৩১২ দিন আগে
তামাবিল স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্যাংকলরিতে আগুন
সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে ভারত থেকে আসা মিথানলের একটি ট্যাংকলরিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
তবে এ সময় লরিতে মিথানল না থাকায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর ও এর আশপাশের এলাকা।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে বীজের গোডাউনে আগুন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ভারতীয় ট্যাংকলরি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসময় জৈন্তাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু ১২ কিলোমিটার দূর থেকে আসতে বিলম্ব হবে ভেবে ভারতের ডাউকি স্থলবন্দরের আরেকটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশের মিথানল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সামুদা স্প্রেক কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে ৭টি গাড়ি তামাবিল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। পরে ল্যাবরেটরি পরীক্ষা শেষে শনিবার বাংলাদেশের ট্যাংকলরিতে কেমিক্যালগুলো স্থানান্তর করা হয়।
৩৯০ দিন আগে
দুর্গাপূজায় ৬ দিন বন্ধ থাকবে হিলি স্থলবন্দর
দুর্গাপূজা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৯ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে হিলির ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহকারী রাশেদ আলী।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
রাশেদ আলী জানান, দুর্গাপূজার জন্য বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানিকারক ভারতীয় হিলি এক্সপোর্টার অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ৯ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখবে। পূজার পর্ব শেষে ১৫ অক্টোবর থেকে আবারও স্বাভাবিক হবে বন্দরের কার্যক্রম।
ছুটির মধ্যে হিলি বন্দরের বেসরকারি অপারেটর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পানামাপোর্টে কাজকর্ম স্বাভাবিক থাকবে। আমদানি করা মালামাল পোর্ট থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ কার্যক্রম চলবে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের পুলিশ কর্মকর্তা বদিউজ্জামান জানান, বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও খোলা রাখা হবে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
শারদীয় দুর্গাপূজায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৪২৩ দিন আগে
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ভারতীয় একটি ট্রাকে করে এসব ডিম আমদানি করা হয়।
বেনাপোল কাস্টমস চেকপোস্টের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে: উপদেষ্টা
দ্বিতীয়বারের মতো বন্দর দিয়ে ডিমের চালান আমদানি হলো। এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম আমদানি হয় এ বন্দর দিয়ে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, ১ হাজার ১০৪ বাক্স ডিম নিয়ে একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রতি বক্সে ২১০টি করে ডিম রয়েছে। এসব ডিমের মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ মার্কিন ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ৪৩ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য ৫ টাকা ১৬ পয়সা। প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ও সব খরচ মিলিয়ে ১ টাকা ৮৪ পয়সা। প্রতিটি ডিমের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৭ টাকা।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন ভারত থেকে এই ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম আমদানি করেছে। ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কোলকাতার শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভান্ডার। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ বলেন, ‘আমদানি করা ডিম খাওয়ার উপযোগী কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফল ইতিবাচক হয়েছে। আমদানিকারকের আমদানি ডকুমেন্টস পেয়েছি। ডিমের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ বলেন, ডিমের চালান বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে। রাজস্ব আদায় করে যত দ্রুত সম্ভব ডিমের চালানটি খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ের বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডের কাস্টমস কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজারের চেয়ে বেশি দামে ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুভংকরের ফাঁকি
৪২৪ দিন আগে
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিনে ভারতে ৯৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই দিনে ভারতে ৯৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় চালানে ১৫টি ট্রাকে ৪৫ মেট্রিক টন ২০০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রথম চালানে ২০টি ট্রাকে ৫৪ মেট্রিক টন ৪৬০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম চালানে ১২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি
এদিকে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতি কেজিতে ৫০০ টাকা কমে ইলিশ ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ১ হাজার ১৮০ টাকায়। আর দেশের বাজারে প্রতি কেজি ইলিশের দাম ১ হাজার ৬৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা।
এর কারণ জানতে চাইলে বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের পরিদর্শক আসওয়াদুল আলম বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা দিতে পারবেন। তবে আমি যেটা জানি সেটা হলো, ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তখনকার বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে ১০ ডলারে প্রতি কেজির রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখনো সেই পরিপত্র অনুযায়ীই রপ্তানি হচ্ছে। তবে ইলিশের দেশীয় বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে দাম সমন্বয় হতে পারে।
নাভারণ বাজার মৎস্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বলেন, স্থানীয় বাজারে যেখানে প্রতি কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৬৫০ টাকা বিক্রি হয়, সেখানে ভারতে ১০ ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা কেজিতে কীভাবে রপ্তানি হচ্ছে, তা বোঝা মুশকিল। এ ছাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
স্থলবন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির বলেন, দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে মোট ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন রয়েছে। তবে রপ্তানিকারকদের আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইলিশ রপ্তানি বন্ধে হাইকোর্টে রিট
৪৩২ দিন আগে
৬ দিন বন্ধ থাকার পর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনামসজিদ স্থলবন্দর টানা ৬ দিন বন্ধ থাকার পর ফের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম আমদানি করবে সরকার
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তনিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মামুন অর রশিদ বলেন, বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদের সঙ্গে পানামা-সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেড এবং সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তনিকারক গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সমঝোতা হওয়ায় শনিবার থেকে এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে।
পানামা-সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিক আমদানি পণ্য নিয়ে ভারতীয় ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে।
এর আগে পানামা-সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধসহ চার দফা দাবিতে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তনিকারক গ্রুপ।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে দুই দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৪৩৯ দিন আগে