মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন আয়োজিত ও পরিচালিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন।
প্যারেড কমান্ডার ও নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল মো. আকবর হোসেনের সঙ্গে একটি খোলা জিপে চড়ে বিজয় দিবসের প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্যাডেট কোর এ কুচকাওয়াজে অংশ নেয়। এছাড়া ভারত থেকে আসা সুবধর লোকধর মহাপাত্রের নেতৃত্বে একটি ব্যান্ডদলও প্রথমবারের মতো কুচকাওয়াজে অংশ নেয়।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ দেখেন সর্বস্তরের কয়েক হাজার মানুষ।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠ ছাড়ার আগে কুচকাওয়াজে অংশ নেয়া সদস্য ও কমান্ডারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় চার নেতা ও সাত বীরশ্রেষ্ঠের ছবি দিয়ে সাজানো হয়। প্যারেড গ্রাউন্ডের কাছের রাস্তাটিও মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় দিবসের আদর্শকে তুলে ধরে এমন ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়।
সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে আবদুল হামিদকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য এবং তিনটি বাহিনীর প্রধানগণ স্বাগত জানান।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, মুক্তিযোদ্ধা, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।