বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) আওতাধীন পাটকলগুলো ২০২০-২১ অর্থবছরে তিন হাজার ১৬৮ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা লোকসান করেছে।
বৃহস্পতিবার সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই সময়ে পাটকলগুলো ৪৮৪ দশমিক ৪৮ কোটি টাকা আয় করেছে এবং ব্যয় করেছে তিন হাজার ৬৫২ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা।
স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, বিটিএমসির অধীনে ২৫টি পাটকলের মধ্যে ২৪টি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং একটি ভাড়া দেয়া হয়েছে।
বন্ধ হওয়া ২৪টি মিলের মধ্যে দুটিতে টেক্সটাইল পল্লী স্থাপন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কারখানা নির্মাণে কোনো অনিয়ম চলবে না: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
ঢাকা-১৮ আসনের ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বর্তমানে (২০১৮ আদমশুমারি অনুযায়ী) দেশে ৫৮৯টি তাঁত কারখানা ও এক কোটি ১৬ হাজার ১১৭টি ইউনিট রয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁত শিল্প বছরে প্রায় ৪৭ দশমিক ৪৭ কোটি মিটার তাঁত কাপড় উৎপাদন করে যা দেশের বস্ত্র চাহিদার ২৮ শতাংশ পূরণ করে (পাওয়ার লুম বাদে)।
নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে তাঁতের সংখ্যা দুই লাখ ৯০ হাজার ২৮২টি।
সংসদ সদস্য বেগম লুৎফুন্নেসা খানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের আট মাসে পাঁচ দশমিক ছয় লাখ টন কাঁচা পাট রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে পাঁচ দশমিক ৮৬ লাখ টন কাঁচা পাট এবং সাত দশমিক ৮২ লাখ টন পাটজাত পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাটের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে: পাটমন্ত্রী