রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ‘প্রিপেইড মিটার সংযোগ প্রতিরোধ কমিটি’ এ দাবি জানায়।
তাদের অভিযোগ, প্রিপেইড মিটারে সঠিক হিসাব দেখায় না এবং তা অস্বচ্ছ। যথাযথ কারণ না দেখিয়ে ডিপিডিসি অনেক টাকা নিয়ে যাচ্ছে।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বহারান সুলতান বলেন, ‘আমরা প্রিপেইড মিটার নিয়ে খুব বিড়ম্বনায় পড়েছি। কারণ এটির পরিচালনায় ডিপিডিসির কোনো স্বচ্ছতা নেই।’
সভাপতি হাজী মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ ইয়াসিনসহ সংগঠনের আরও কয়েকজন নেতা এ সময় বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, প্রিপেইড মিটারের ভাড়া বাবদ ডিপিডিসি প্রতিমাসে ৪০ টাকা করে কেটে নেয়। কিন্তু কতদিন পর্যন্ত নিবে তা তারা জানেন না।
দ্বিতীয়ত, প্রতি হাজার টাকায় কত ইউনিট বিদ্যুৎ পাওয়া যায় তাও তাদের জানা নেই এবং বোঝারও কোনো ‘উপায় নেই’।
ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে ২০০ টাকা ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নিলে তার বিপরীতে ৫০ টাকা সুদ দিতে হয় অভিযোগ করে তারা বলেন, তারা নিজেদের টাকা দিয়ে মাস্টার মিটার ক্রয় করলেও ডিপিডিসি প্রতি মিটারে ২০০ টাকা চার্জ কাটছে।
ডিপিডিসি এমন প্রিপেইড মিটার প্রতিস্থাপন বন্ধ না করলে তারা আদালতে যাবেন বলেও জানান সংগঠনটির নেতারা।
হাজী মো. শাহজাহান বলেন, এ ইস্যুতে গণশুনানির সময় ডিপিডিসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছি। ‘কিন্তু তারা সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে।’
এসময় তিনি জানান, প্রিপেইড মিটারে এমন ভোগান্তির জন্য ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, সুনামগঞ্জ এবং খুলনাতে প্রতিবাদ সভা হয়েছে।