ডিপিডিসি
শুধু ঢাকাতেই দিনের বেলায় ৬০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং
রাতের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম থাকা সত্বেও দিনের বেলায় শুধুমাত্র ঢাকাতেই ৬০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বিগত কয়েকদিনের তথ্যানুযায়ী দেশে প্রায় ২ হাজার মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
ফলে সারাদেশের গ্রাহকরা দিনের বিভিন্ন সময়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হচ্ছেন।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সন্ধ্যার পর চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির অবনতি হবে।’
তিনি বিদ্যুৎ সরবরাহের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য গ্যাস সংকটকে দায়ী করেন।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আসলে আমরা কম গ্যাসের সরবরাহ পাচ্ছি, তাই আমরা সারাদেশে অন্তত ২৫টি জেনারেশন ইউনিট বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি।’
তবে তিনি বলেন, বিপিডিবি যদি গ্যাসের স্বাভাবিক সরবরাহ পায় তাহলে তাদের গ্যাসচালিত প্ল্যান্ট থেকে ৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এখন আমরা ৪ হাজার ৬৬৭ মেগাওয়াট উৎপাদন করছি এবং গ্যাসের ঘাটতির জন্য প্রায় ১ হাজার ৮৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না।’
অন্যদিকে, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কাউসার আমীর আলী জানান, সংস্থাটির আওতাধীন এলাকায় দিনে ৩০৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘ডেসকো ১ হাজার ১১১ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে প্রায় ৮০০ মেগাওয়াট পাচ্ছে।’
ঢাকা শহরের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম এবং পূর্ব অংশে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্ব ডেসকোকে দেওয়া হয়েছে এবং ঢাকা শহরের দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি)।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় প্রায় ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে, যা সন্ধ্যার পর বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, ডিপিডিসি ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বেশি চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ২৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন করছে, তাই ৩৪০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, তারা আরও অনেক বেশি লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছে।
কিছু এলাকায় মানুষ প্রতিঘন্টায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ করেছে।
রাজধানীর নিকেতন এলাকার বাসিন্দা আবদুস সেলিম বলেন, ‘ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যায় এবং আমরা প্রতিঘন্টায় লোডশেডিং হতে দেখছি।’
একই অভিজ্ঞতা জানালেন মগবাজার এলাকার নাজিম উদ্দিন।
রবিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে দুই দিন সময় লাগবে।
তিনি মন্ত্রণালয়ে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদ্যুত ও গ্যাস সরবরাহে বর্তমান বিঘ্নের উন্নতি হবে, কারণ দুটি এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে একটি দু'দিনের মধ্যে সরবরাহ পুনরায় শুরু করবে।’
তিনি বলেন, দু’টি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের পর একটি টার্মিনাল নিরাপদ স্থানে এবং অন্যটি নিজস্ব অবস্থানে অবস্থান করছে।
এই স্থগিতাদেশের ফলে গ্যাস সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেয়, যা সারাদেশে বর্তমান লোডশেডিং-এর সূচনা করে।
তিনি বলেন, তবে আমি আশা করি যে দুইদিনের মধ্যে একটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে, যা ৪০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি করবে। অন্য এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগবে।
১ বছর আগে
ঢাকার অনেক এলাকায় আজ তিন ঘণ্টা করে লোডশেডিং
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রবিবার এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)। তালিকা অনুযায়ী ডিপিডিসি ও ডেসকোর আওতাধীন অধিকাংশ এলাকায় আজ তিন ঘণ্টা করে লোডশেডিং থাকবে।
ডেসকো এলাকার মধ্যে রয়েছে উত্তরা, গুলশান, বারিধারা, বসুন্ধরা, বনানী, বাড্ডা, উত্তরা খান, দক্ষিণখান, আগারগাঁও, মিরপুর, কাফরুল, কল্যাণপুর, খিলক্ষেত, পল্লবী, রূপনগর ও টঙ্গী।
তবে ডিপিডিসির আওতাধীন কিছু এলাকার গ্রাহকরা দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিংয়ের মধ্যে থাকবেন।
ডিপিডিসি জানায়, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে লোডশেডিং কমবেশি হতে পারে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজধানী ও আশপাশে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে। তবে এই তালিকার বাইরেও ডেসকোর আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
লোডশেডিংয়ের সময়সূচী DPDC এবং Desco ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
চলমান জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সরকার গত ১৯ জুলাই থেকে সারা বাংলাদেশে দৈনিক এক ঘণ্টা এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু করে।
পড়ুন: জ্বালানি সংকটের পেছনে রয়েছে দুর্নীতি, লুটপাট, আত্মঘাতী চুক্তি: বিএনপি
এটা জনগণের সঙ্গে তামাশা, মোমেনের মন্তব্য নিয়ে বিএনপি
২ বছর আগে
জ্বালানি সংকট: ঢাকায় আজ কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রবিবার এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)।
তালিকা অনুযায়ী ডেসকোর আওতাধীন এলাকার গ্রাহকরা রবিবার তিন ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের মধ্যে থাকতে হতে পারে।
ডেসকো এলাকার মধ্যে রয়েছে উত্তরা, গুলশান, বারিধারা, বসুন্ধরা, বনানী, বাড্ডা, উত্তরা খান, দক্ষিণখান, আগারগাঁও, মিরপুর, কাফরুল, কল্যাণপুর, খিলক্ষেত, পল্লবী, রূপনগর এবং টঙ্গী।
তবে ডিপিডিসি আওতাধীন এলাকায় এক ঘণ্টা এবং কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টা লোডশেডিং থাকবে।
উভয় প্রতিষ্ঠানই আজ লোডশেডিংয়ের জন্য পৃথক তালিকা দিয়েছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজধানী ও আশপাশে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে।
লোডশেডিংয়ের সময়সূচী DPDC এবং Desco ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
চলমান জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সরকার গত ১৯ জুলাই থেকে সারা বাংলাদেশে দৈনিক এক ঘণ্টা এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু করে।
পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি: বিপাকে ভোলার লক্ষাধিক জেলে
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: চট্টগ্রামে বাস চলাচল বন্ধ
২ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে চুরি করা বিদ্যুতে চলছে ৫০ হাজার অটোরিকশা
দেশে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান ঘাটতির মধ্যে নারায়ণগঞ্জে অবৈধভাবে সংযোগ দিয়ে চুরি করা বিদ্যুতে চলছে প্রায় ৫০ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) কর্মকর্তাদের মতে, অধিকাংশ গ্যারেজেই নিষিদ্ধ এসব অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ।
সারাদেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকার এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের পদক্ষেপ নিলেও কর্তৃপক্ষ এই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা গ্যারেজ মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলায় বর্তমানে ৫০ হাজারের বেশি অটোরিকশা চলাচল করছে। বিশেষ করে ব্যস্ত নগরী নারায়ণগঞ্জ, শিল্পাঞ্চল ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর এলাকায় এর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারের মতো।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন করে অটোরিকশা আমদানি বন্ধ ও পুরনোগুলো পর্যায়ক্রমে তুলে নেয়ার কথা থাকলেও তা কার্যকর হয়নি গত কয়েক বছরেও। এমনকি মহাসড়কগুলোতে এই যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
জানা গেছে, একটি ইজিবাইকের জন্য চার থেকে পাঁচটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি প্রয়োজন। আর প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৯০০ থেকে ১১০০ ওয়াট হিসেবে পাঁচ থেকে ছয় ইউনিট (দিনে বা রাতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা) বিদ্যুৎ খরচ হয়। সে হিসেবে জেলার প্রায় ৫০ হাজার ইজি বাইক বা ব্যাটারিচালিত রিকশা চার্জের জন্য জাতীয় গ্রিড থেকে প্রতিদিন অন্তত ৫৫ মেগাওয়াট এবং মাসে ১৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হওয়ার কথা। কিন্তু ৮০ ভাগ গ্যারেজে চুরি করে ও লুকিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এসব ব্যাটারি রিচার্জ করায় সরকার প্রায় ১৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালে নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে অটোরিকশার গ্যারেজগুলোতে অভিযান চালিয়ে অর্ধশতাধিক অটোরিকশার গ্যারেজের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি কোটি টাকার ওপরে জরিমানাও করেছে ডিপিডিসি ও টাস্কফোর্স। কিন্তু করোনাকালের পর এই অভিযান থেমে গেছে।
পড়ুন: ব্যাপক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার মধ্যেও চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
বেশ কয়েকটি এলাকার অটোরিকশা গ্যারেজে ঘুরে জানা গেছে, এসব গ্যারেজে ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে অনেক বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়। যে কারণে গ্যারেজ মালিকরা খরচ কমিয়ে বাড়তি টাকা আয়ের জন্য অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে থাকে। তবে এসব অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার পেছনে রয়েছেন ডিপিডিসি ও পল্লী বিদ্যুতের একদল অসাধু কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে ডিপিডিসি ফতুল্লা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইন উদ্দিন বলেন, আমরা প্রায় সময়ই অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। অভিযান একটি চলমান প্রক্রিয়া।
অন্যদিকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা বলছেন, দমন-পীড়ন হলে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
জেলা শহরের একজন অটোরিকশা চালক মো. রহমান বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে খাবারের ব্যবস্থা করা আমার পক্ষে সত্যিই কঠিন হবে। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর করার আগে সরকারের উচিত আমাদের বিকল্প কর্মসংস্থান দেয়ার কথা ভাবা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই জাতীয় অটোরিকশা জেলায় যাতায়াতের সবচেয়ে সস্তা এবং দ্রুততম উপায়।
এ ব্যাপারে বন্দর পল্লী বিদ্যুতের উপমহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা এই ধরনের ব্যবহারকে বিদ্যুতের অপচয় বলে মনে করি। তাই অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান এখনই বাড়ানো উচিত।
তিনি বলেন, শুধু চুরি করা বিদ্যুতের উৎস নয়, সরকারের উচিত এই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অপারেটরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া।’
পড়ুন: বাগেরহাটে মাটির চুলার কারিগরদের জীবন চরম দুর্ভোগে
২ বছর আগে
ঢাকায় আজ কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো)।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লোডশেডিং হবে।
ডিপিডিসি (DPDC) এবং ডেসকো (Desco) ওয়েবসাইটে লোডশেডিংয়ের সম্ভাব্য সময়সূচি জানতে পারবেন গ্রাহকরা।
পড়ুন: বুধবার কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং, তালিকা প্রকাশ
দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু
২ বছর আগে
ঢাকার কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং, জানাল ডিপিডিসি
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীসহ আশপাশের কোন কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)।
তালিকায় থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে আদাবর, আজিমপুর, বনশ্রী, বাংলাবাজার, বংশাল, বাসাবো, ডেমরা, ধানমন্ডি, ঝিগাতলা, জুরাইন, কাকরাইল, কামরাঙ্গীরচর, খিলগাঁও, লালবাগ, মানিকনগর, মাতুয়াইল, মগবাজার, মতিঝিল, মুগদাপাড়া, নারিন্দা, পরিবাগ, পোস্তগোলা, রাজারবাগ, , রমনা, সাতমসজিদ, শ্যামলী, শেরেবাংলা নগর, শ্যামপুর, স্বামীবাগ ও তেজগাঁও। নারায়ণগঞ্জের মধ্যে আছে ফতুল্লা, কাজলা, পূর্ব ও পশ্চিম নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও শীতলক্ষ্যা।
ডিপিডিসির ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। হালনাগাদের তথ্য জানার জন্য সময়ে সময়ে ডিপিডিসি’র ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
পড়ুন: লোডশেডিং সরকারের ভুল নীতির ফল: বিএনপি
বিদ্যুৎ সাশ্রয়: মঙ্গলবার থেকে দেশে দৈনিক এক ঘণ্টা লোডশেডিং
২ বছর আগে
এবার ‘স্মার্ট প্রিপেইড’ মিটার বসাতে যাচ্ছে ডেসকো
ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পাানির (ডেসকো) প্রধান বলেছেন, ডেসকো সেবা প্রদানকারী এলাকা ও এর গ্রাহকদের জন্য ‘স্মার্ট প্রিপেইড মিটার’ বসাতে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। পূর্বের প্রিপেইড মিটারের বদলে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করে নিজেদের কার্যক্রমে আধুনিকায়ন আনতে চায় ডেসকো।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার আমির আলী জানান, স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী দুই বছরের মধ্যে ডেসকো সম্পূর্ণভাবে স্মার্ট প্রিপেইড সিস্টেমে যেতে সক্ষম হবে।
তিনি আরও জানান, ডেসকো ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সফ্টওয়্যার স্থাপনের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। দরপত্রের প্রক্রিয়া শেষে বাছাইকৃত প্রতিষ্ঠানের সাথে এই কাজ সম্পাদনের জন্য চুক্তি সম্পন্ন করেই কাজ শুরু করা হবে।
কাউসার আমির বলেন, ‘আমরা আগামী বছর থেকেই গ্রাহকদের মাঝে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার দেয়া শুরু করবো। ২০২৩ সাল নাগাদ সম্পর্ণভাবে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে।’
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার প্রতিস্থাপন বন্ধের দাবি গ্রাহকদের
ডেসকো ১৯৯৮ সাল থেকে বিদ্যৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা শহরের উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এলাকাগুলো যেমন, মিরপুর, উত্তরা, গুলশান, বনানী, বারিধারা এবং বাড্ডা ও গাজীপুরের কিছু অংশে সেবা প্রদান করছে। বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ ৫৩ হাজার গ্রাহককে সেবা প্রদান করছে প্রতিষ্ঠানটি। ভবিষ্যতে পূর্বাচল মডেল টাউনেও বিদ্যৎ সরবরাহের কাজ করবে ডেসকো।
ডেসকোর বছরে গ্রাহকদের ১ হাজার ৭০ মেগাওয়াটা বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে ঢাকার কেন্দ্রস্থল, দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বের এলাকাগুলোতে বছরে ১ হাজার ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের যোগান দিচ্ছে অপর বিদ্যুৎ সেবা প্রদানকারী সংস্থা ডিপিডিসি।
স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের বৈশিষ্ট্য
ডেসকো প্রধান জানান, পূর্বের প্রিপেইড মিটারের তুলনায় ‘স্মার্ট প্রিপেইড মিটার’ অনেকাংশেই আধুনিক ও বহুল সুবিধাযুক্ত।
পূর্বের প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করার জন্য গ্রাহক বিভিন্ন দোকানে বা ভেন্ডিং পয়েন্টে যেতে হতো। কিন্তু বর্তমান স্মার্ট প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করার জন্য গ্রাহক নিজের স্মার্টফোন সহ অন্যান ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি বিদেশে থেকেও এই মিটারে রিচার্জ করা যাবে।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম প্রিপেইড মিটার উৎপাদন শুরু আগামী মাসে
এছাড়াও বিভিন্ন নতুন ফাংশন যোগ করায়, গ্রাহক নিজের সুবিধামত বিদ্যৎ ব্যবহারের মোড বাছাই করতে পারবে। এতে বিদ্যুৎ ও খরচ সাশ্রয় সম্ভব হবে।
এমনকি দূরবর্তী অবস্থানে থেকেও গ্রাহকরা এই মিটার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
৩ বছর আগে
ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণ সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে: নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ শনিবার বলেছেন, গ্রাহকদের অভিযোগের সুরাহা করার পদক্ষেপ হিসেবে ঢাকা মহানগরীতে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে করার একটি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
৩ বছর আগে
২০২৩ সালের মধ্যে সবাইকে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার সরবরাহ করবে ডেসকো
ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ২০২৩ সালের মধ্যে গ্রাহকদের স্মার্ট প্রিপেইড মিটার সরবরাহ করবে।
৪ বছর আগে
কালবৈশাখীতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুত সরবরাহ বিঘ্নিত
কালবৈশাখী ঝড় ও ভারী বৃষ্টির কারণে বুধবার ভোরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ ছিল।
৪ বছর আগে