বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলায় জলবায়ু সহনীয় কৃষি, অর্গানিক ফার্মিং এবং গ্রিন এন্ট্রাপ্রেনারশিপ চালু করতে হবে। বিশ্বকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের নবনির্বাচিত কমিটির ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নবগঠিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে স্পিকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলায় ক্লাইমেট পার্লামেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশ্বের ৭৪টি দেশে বর্তমানে তারা কাজ করছে। পরিবেশ রক্ষায় জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আনতে পারাই- ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সার্থকতা।
আরও পড়ুন: নেপাল-ভুটানের সঙ্গে সংযোগ সহজ করবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর: স্পিকার
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ সংরক্ষণে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান, ডেলটা প্লানসহ প্রয়োজনীয় আইন ও নীতি বাস্তবায়ন করেছেন।
বাংলাদেশের নদী দূষণের কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বাড়ির পাশের প্রবাহিত নদী দূষণমুক্ত রাখার জন্য সচেতনতা তৈরিতে স্থানীয় জনসাধারণকেই ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সদস্যরা সকলে সংসদ সদস্য হলেও জাতীয় সংসদের সঙ্গে এর কোনো পার্টনারশিপ নেই। জাতীয় সংসদ ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সঙ্গে পার্টনারশিপের মাধ্যমে কাজ করতে এবং সকল ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সভাপতি তানভীর শাকিল জয় নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজনের জন্য সরকার প্রতি বছর ৩.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে: পরিবেশমন্ত্রী
ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের কনভেনার নাহিম রাজ্জাক, ক্লাইমেট পার্লামেন্টের চিফ প্যাটর্ন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বক্তব্য প্রদান করেন।
এছাড়া দক্ষিণ এশিয়া সেক্রেটারিয়েটের ক্লাইমেট পার্লামেন্টের পলিসি অ্যাডভাইজর সুমেধা বসু, ক্লাইমেট পার্লামেন্টের ফাউন্ডার ও চীফ স্ট্রাটেজি অফিসার নিক ডানলপ ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুয়, আরমা দত্ত, আবুল কালাম আজাদ, আশেক উল্লাহ রফিক, এস এম শাহজাদা, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন জলিল জন, হাবিবুর রহমান, মাহবুব উর রহমান রুহেল, কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি, জারা জাবিন মাহবুবসহ ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও নেপালের রাষ্ট্রদূত, ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সদস্যরা, সংসদ সদস্যরা, বিভিন্ন দেশের ক্লাইমেট পার্টনার্স, এনজিওর প্রতিনিধিরা, আমন্ত্রিত অতিথিরা এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড পেলেন শেখ হাসিনা