তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ৯ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ১৬টি জেলার ১০৩টি উপজেলায় রোপা আমন, শীতকালীন শাক সবজি, সরিষা, খেসারি, মসুর ও পান ফসলের ক্ষতির প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। আবাদকৃত ফসল জমির পরিমাণ ২০ লাখ ৮৩ হাজার ৮শ ৬৮ হেক্টর। এর মধ্যে ২ লাখ ৮৯ হাজার ০০৬ হেক্টর জমির আবাদকৃত ফসলের ক্ষতি হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ প্রভাবে দেশব্যাপী বিভিন্ন ফসলি জমি আক্রান্ত ও সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন উপলক্ষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কৃষক বন্ধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষির সরকার, কৃষকের সরকার। বর্তমান সরকার কৃষকের পাশে সবসময় ছিল এবং থাকবে। কৃষিকে একটি টেকসই ভিতের ওপর দাঁড় করাতে সরকার অঙ্গিকারাবদ্ধ। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য বর্ধিত প্রণোদনা কর্মসূচির প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ পেলেই অতিদ্রুত প্রণোদনা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
‘বুলবুল আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১৬টি। আক্রান্ত জেলাগুলো হল-খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর,’ যোগ করেন কৃষিমন্ত্রী।