তিনি বলেন, ‘শিল্পপ্রতিষ্ঠান যে ধরনের দক্ষ ও যোগ্য জনবল চায় আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সে ধরনের দক্ষ ও যোগ্য জনবল সরবরাহ করতে পারছে না। চাকরিদাতারা বলছেন তারা যোগ্য লোক পাচ্ছেন না, অপরদিকে অনেক শিক্ষিত যুবক চাকরি পাচ্ছে না। তার মানে হলো আমরা চাকরিদাতাদের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারছি না। তাই শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক ধরনের সংযোগ স্থাপন জরুরি। যাতে করে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের কারিকুলাম পরিবর্তন করতে পারে।’
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস শিল্পে ইউরোপের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস কোম্পানির সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির এক সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফ্রান্স, জার্মানি ও স্পেনের রাষ্ট্রদূত এবং যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারসহ এয়ারবাসের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, ‘সই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি শিল্পের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে একটি নজির স্থাপন করল। এর ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে সক্ষম হবে।’
এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস গবেষণায় সরকারের আন্তরিকতার কথা বলতে গিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন এবং তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছেন।’
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভিসি এয়ার ভাইস মার্শাল এএইচএম ফজলুল হক বলেন, সারা বিশ্বের হাই র্যাংকিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং সুপ্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমেই কেবল বিশ্বমানের শিক্ষা অর্জন করা সম্ভব। এয়ারবসের সাথে আজকের সমঝোতা স্মারকের ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষভাবে উপকৃত হবে।
এ সমঝোতার ফলে এয়ারবাস কোম্পানি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়কে ট্রেনিং কার্যক্রমে সহায়তার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তা করবে।