এয়ারবাস
এয়ারবাসের উড়োজাহাজ যুক্ত হচ্ছে বিমানের বহরে, জানালেন বিদায়ী এমডি
বোয়িং ও এয়ারবাসের সঙ্গে দীর্ঘ দর কষাকষি ও আলোচনা শেষে এয়ারবাসের উড়োজাহাজ কিনতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন প্রতিষ্ঠানের বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) মো. শফিউল আজিম।
বুধবার (২৯ মে) এভিয়েশন ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) সঙ্গে মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মত বিনিময় সভায় এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ারের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা ছিলেন।
এয়ারক্রাফট তৈরির প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস থেকে যাত্রীবাহী এয়ারক্রাফট কেনার ইঙ্গিত দিয়ে বিমানের বিদায়ী এমডি বলেন, এয়ারবাস ফ্লাইট কেনার জন্য দুটি প্রস্তাব দিয়েছিল। প্রথমটাতে ২টা কার্গো ফ্লাইট বিক্রির কথা বলা হয়। কার্গো বিমানের প্রয়োজন নেই, তাই যাত্রীবাহী বিমান বহর বাড়ানোর কথা জানালে এয়ারবাস ৪টি যাত্রীবাহী ফ্লাইট বিক্রির দ্বিতীয় প্রস্তাব পাঠায়। এই প্রস্তাব আগের প্রস্তাবের চেয়ে ভালো ছিল। সেই প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি থেকে বিমানের বোর্ডে যায়। বোর্ড এ বিষয়ে আগানোর নির্দেশনা দিয়ে সমঝোতা কমিটিতে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-গলফ হাউজ সমঝোতা স্মারক সই
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন এয়ারবাসের অফারগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের বহরের সব বড় এয়ারক্রাফট বোয়িংয়ের (২১টির মধ্যে ১৬টি বোয়িং)। কিছু ডাইভার্সিটি, নতুন এয়ারক্রাফট থাকলে যাত্রীরাও পছন্দ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো সময় যেকোনো কোম্পানির এয়ারক্রাফট খারাপ পারফর্ম করতে পারে, তখন যেন কোনো ঝুঁকি না থাকে তাই ভিন্নতা আনার কথা ভাবছি।’
বোয়িংয়ের প্লেন বিক্রির প্রস্তাব প্রসঙ্গে শফিউল আজিম বলেন, ‘বোয়িংও আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটাও ইভ্যালুয়েট করব। বোয়িংয়ের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক। শুধু প্লেন কেনাবেচা সম্পর্ক না, তাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট ভালো, ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি ভালো। সবমিলিয়ে আমরা একসঙ্গে ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
তবে যেই এয়ারক্রাফটই কেনা হোক না কেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতামূলক প্রস্তাবে ক্রেতা হিসেবে বাংলাদেশ বিমান সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বলে জানান তিনি।
বিমান লাভ করছে, না কি ক্ষতিতে আছে জানতে চাইলে বিদায়ী এমডি বলেন, ‘বিমান গত ১০ বছরের ৮ বছরই লাভে ছিল। যেই দুই বছর লোকসান হয়েছে, তার মধ্যে এক বছর করোনা ভাইরাসের আধিক্য ছিল, আরেকবার আমাদের মোটা অংকের পেমেন্ট পরিশোধ করতে হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর ডলারের সমস্যা ছিল, বিশ্বে দুটি যুদ্ধ চলমান, এর মধ্যেও আমরা লাভ করেছি। বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান দিয়ে অডিট করা হয়েছে আমাদের লাভের বিষয়ে। আমরা বিমানে নিয়মিত নিয়োগ দিচ্ছি, বেতন বোনাস দিচ্ছি, বোনাস দিচ্ছি, প্রোফিট বোনাস দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: সচিব পদে পদোন্নতিতে বিমানের সিইও শফিউল আজিমকে সংবর্ধনা
এমডি হিসেবে নিজের কার্যক্রম তুলে ধরে শফিউল আজিম বলেন, ‘বিমানে চাকরি করা অবস্থায় আমি কোনো কর্মীকে মূল্যায়ন করতে কার্পণ্য করিনি, শাস্তি দিতেও কার্পণ্য করিনি। কোনো পর্যায় থেকে চাপ ছাড়াই বিমানবন্দরে কাজ করতে পেরেছি।’
বিমানকে পৃথিবীর বড় বড় এয়ারলাইন্সের কাতারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিমানে এমডির দায়িত্বের সময় বাড়ানো প্রয়োজন কি না এ প্রসঙ্গে বিদায়ী এমডি বলেন, ‘বিমানের হিউম্যান রিসোর্স মানসম্মত, টেকনিক্যাল রিসোর্স মানসম্মত। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে সিস্টেম ও স্ট্রাকচার দাঁড় করানো গেলে এমনিতেই কাজ হবে। সিস্টেম ঠিক থাকলে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর প্রতিষ্ঠান নির্ভর করবে না।’
বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিভাগে যারা কর্মরত তাদের বয়স বিবেচনার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে বলেন বিদায়ী এমডি। তিনি বলেন, ‘টেকনিক্যাল ফিল্ডে বয়স যত বাড়ে অভিজ্ঞতা তত বাড়ে। অভিজ্ঞদের বয়স বিবেচনা না করে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিমানে রেখে দিতে হবে। বিমানকে সরকারি অফিসের মতো করে চালানোর চিন্তা করলে বিমান কাজ করবে না। এটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। সবকিছু বাণিজ্যিকভাবে চিন্তা করতে হবে।’
এর আগে রবিবার (২৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব দেওয়া হয় মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞাকে। পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, শফিউল আজিম পদোন্নতি পেয়ে ইসির নতুন সচিব হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিমানের নতুন এমডি ও সিইও জাহিদুল ইসলাম
৫ মাস আগে
বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায়: বিমানমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, এই মুহূর্তে ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায় বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, তবে এ বিমান কিনতে কত টাকা লাগতে পারে, তা নির্ভর করবে কীভাবে প্রস্তাব আসে, তার উপর।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, বেসামরিক বিমান খাতে কী করা যায়, সেটাই ছিল আমাদের আলোচনার মূলকেন্দ্র। তারা আমাদের নতুন বিমানবন্দর দেখেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন, এখানে অনেক কাজ হবে। ইউরোপে তারা এয়ারবাস বানায়। এছাড়া এয়ারবার বিষয়ে আমরা ভালো প্রস্তাব পেয়েছি।
বিমান কেনার ক্ষেত্রে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এয়ারবাস বলতে কেবল ফ্রান্সই না। যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স এই তিন দেশ মিলে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, বেশ ভালো প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। এরইমধ্যে বোয়িংও আমাদের ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। বাংলাদেশের জন্য যেগুলো ভালো হবে, সেগুলো আমরা বিবেচনা করব।
ভালো প্রস্তাব বলতে তারা কী দিতে চেয়েছে, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংক থেকে যে ঋণ দেওয়া হবে তার সুদ, সেইসঙ্গে টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে বেশ ভালো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এয়ারবাস কেনার কথাও ভাবছি। বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে একটি মূল্যায়ন কমিটি করা হয়েছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে মূল্যায়ন টিম এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত দেবে। কারণ বাজেটের আগে এই মূল্যায়ন দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে আমি মনে করি।
তিনি আরও বলেন, এয়ারবাস এরই মধ্যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এবারই তারা একটি সমঝোতা স্মারকে সই করার কথা বলেছিল। কিন্তু আমরা বলেছি, এবার আমরা এটা করব না।
বিমানমন্ত্রী বলেন, আগে মূল্যায়ন শেষ হোক, তারপর সমঝোতা হবে। এছাড়া সিকিউরিটি, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়েও কথা হয়েছে। এসব খাতে তাদের বিনিয়োগ আছে।
তারা জানেন, ঢাকা ছাড়াও সিলেট ও কক্সবাজারে আমাদের দুটো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে। তারা জানতে পেরেছেন, সৈয়দপুরে একটা বিমান হাব তৈরির চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, এসব কারণে তারা বেসামরিক বিমান খাত নিয়ে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আগামী দিনে বাংলাদেশের এভিয়েশনের অনেক কর্মকাণ্ড আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাতে ব্রিটিশ সরকার বিনিয়োগে আগ্রহী। আমাদের পর্যটন খাতে ব্রিটিশরা বিনিয়োগের কথা বলেছেন। এভিয়েশন খাতে কীভাবে বিনিয়োগ করবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে কথা হয়েছে আমাদের সিকিউরিটিদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে। এই প্রশিক্ষণের সঙ্গে বিনিয়োগও হতে পারে আধুনিক যন্ত্রপাতির। সেগুলো আমরা আগামীতে দেখব।
মন্ত্রী বলেন, বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনের বিষয়ে পত্রিকায় বিভিন্ন কথা এসেছে। আমরা এই মুহূর্তে বিষয়টিকে এতো বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না। তবে বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলে কারিগরি বিষয়গুলো জানতে বলেছি। এই মুহূর্তে আমরা কোনো সমস্যা পাইনি। দুনিয়াতে প্রায় ৫০০ এর মতো ড্রিমলাইনার চলে।
থার্ড টার্মিনাল কবে চালু হবে জানতে চাইলে বিমানমন্ত্রী বলেন, আরও মাস ৬ মাস লাগবে।
আরও পড়ুন: বিমানে কিছু সমস্যা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি: বিমানমন্ত্রী
বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিতে হবে: বিমানমন্ত্রী
৬ মাস আগে
৪২২ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু ইউএস বাংলার নতুন এয়ারবাসের
প্রথমবারের মতো ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে উড্ডয়ন করে এয়ারবাসটি।
এর আগে গতকাল স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৮টায় ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে।
এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে।
এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০সহ ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবি, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
৬ মাস আগে
ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হয়েছে ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বহরে বৃহদাকার এয়ারক্রাফট ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ যুক্ত হয়েছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টা ১০ মিনিটে চীনের গুয়াংজু থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এয়ারবাসটি। আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সংযোজিত এয়ারক্রাফট গ্রহণ করেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ক্যাপ্টেন লুৎফর রহমান।
আরও পড়ুন: ইউএস-বাংলার নিজস্ব অর্থায়নে ট্রেইনি এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ
এয়ারবাসটি নতুন যুক্ত হওয়া এয়ারবাসটি দিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সৌদি আরবের জেদ্দা, রিয়াদ, দাম্মামসহ লন্ডন ও রোম রুটে পরিচালিত হবে। বর্তমানে দুবাই, শারজাহ, মাস্কাট দোহা, কুয়ালালামপুর রুটে পরিচালিত হবে।
ইউএস-বাংলার বহরে ২৩তম এয়ারক্রাফট হিসেবে যুক্ত হয়েছে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০। এর আগে শুক্রবার ভোর ৪টা ১০ মিনিটে জর্জিয়া-সার্বিয়া হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ২২তম এয়ারক্রাফট বোয়িং ৭৩৭-৮০০।
আরও পড়ুন: ঢাকা ট্রাভেল মার্টে ইউএস-বাংলার অভ্যন্তরীণ রুটে ১৫% ও আন্তর্জাতিক রুটে ১২% মূল্যছাড়
৯ মাস আগে
এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি এ৩৫০ কেনার বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিতে খুশি ফ্রান্স
এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি এ৩৫০ কেনার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ফ্রান্স। দুই দেশ বাংলাদেশের সব বিমানবন্দরে উন্নত এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অব্যাহত সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
শান্তি, সমৃদ্ধি ও জনগণের জন্য বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের অংশীদারিত্বের যৌথ ঘোষণায় উভয় দেশ কৌশলগত খাতে বর্ধিত সহযোগিতাকে স্বাগত জানিয়েছে।
বাংলাদেশ এবং ফ্রান্স সার্বভৌমত্ব এবং কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনকে একটি স্থিতিশীল, বহু-মেরুকেন্দ্রিক বিশ্বের মূল নীতি হিসাবে বিবেচনা করে।
একইভাবে স্মার্ট বাংলাদেশের ২০৪১ সালের রূপকল্পে অবদান রাখার জন্য দুই দেশ এয়ারবাস ডিএস এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) মধ্যে একটি মহাকাশ অংশীদারিত্বের সমাপ্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। যা নিজস্ব সার্বভৌম পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইটের মালিক হওয়ার পরে মহাকাশ জাতি হিসাবে বাংলাদেশের অস্থানকে শক্তিশালী করবে।
আরও পড়ুন: তুরাগে নৌকা ভ্রমণ করলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
বাংলাদেশ ও ফ্রান্স কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ আইসিটি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ফ্রান্স বাংলাদেশকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের মতো উদ্যোগে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
তারা আন্তর্জাতিক আইনে নিয়ন্ত্রিত একটি বৈশ্বিক, উন্মুক্ত এবং নিরাপদ সাইবারস্পেসের জন্য সাইবার নিরাপত্তা সমস্যাগুলোর একটি বর্ধিত ব্যবস্থাপনার দিকে তাদের প্রচেষ্টায় যোগদানের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে।
ফ্রান্স সাইবার নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা শনাক্ত করতে কাজ করবে এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্টে একসঙ্গে কাজ করবে।
অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকারের অগ্রগতি, টেকসই শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব বিদ্যমান।
এই বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে বহু-স্তর বিশিষ্ট ঐতিহাসিক বন্ধন যা উল্লেখযোগ্যভাবে দেখেছে ফ্রান্সের সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আন্দ্রে মালরাক্স, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য তাঁর স্মরণীয় আহ্বান এবং ঢাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তার পরবর্তী বৈঠক এপ্রিল 1973 সালে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সার্বভৌম নীতির স্বাধীনতাকে সম্মান করে ফ্রান্স: প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী
এই বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে বহুস্তরবিশিষ্ট ঐতিহাসিক সম্পর্ক। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফ্রান্সের সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আন্দ্রে মালরাক্স ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য তার স্মরণীয় আহ্বান এবং ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে ঢাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ।
২০২১ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফরের সময় বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ম্যাক্রোঁকে। তার আমন্ত্রণের আলোকে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ২০২৩ সালের ১০ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফর করেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে সোমবার ঢাকায় বৈঠক করেন। বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি এবং জনকেন্দ্রিক সংযোগের সমর্থনে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনকে উৎসাহিত করে একটি বিশ্বস্ত ও অর্থবহ অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে তাদের অভিন্ন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে ১৮৪ ইউরোর ঋণ সহায়তা চুক্তি সই
১ বছর আগে
বেকার সমস্যা সমাধানে শিল্প ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংযোগ জরুরি: শিক্ষা উপমন্ত্রী
দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংযোগ স্থাপন জরুরি বলে মনে করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
৩ বছর আগে