আটক ব্যক্তিদের মধ্যে চীনা নাগরিক দু’জন হলেন- লিং লেই ও সিদা। অপর আটক তিন বাংলাদেশীর নাম জানা যায়নি।
বরিশাল মহানগরীর বিমানবন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, লিং লেই পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রজেক্টের লোক বলে দাবি করেছে। বুধবার বিকালে তিনি একটি ব্রিফকেসে এক কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়ে বরিশালের রহমতপুর বিমানবন্দরে ঢাকা থেকে আসা অপর চাইনিজ নাগরিক সিদার কাছে পৌঁছে দেয়। সিদা ব্রিফকেস নিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় স্ক্যান মেশিনে টাকার বিষয়টি ধরা পড়ে।
ওসি বলেন, ‘বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত বহন করা যাবে। কিন্তু তার পরিবর্তে এতোগুলো টাকা হওয়ায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি থানা পুলিশ এবং র্যাবকে জানায়। পরে তারা সেখানে গিয়ে টাকাসহ দুই চাইনিজ নাগরিকসহ আরও ৩ বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এদের মধ্যে একজন নিজেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রজেক্টের ঠিকাদার এবং একজন তাদের গাড়ি চালক বলে পরিচয় দিয়েছে।
ওসি মুকুল আরও বলেন, আটক বাংলাদেশিরা দাবি করেছে ‘উদ্ধার হওয়া সকল টাকাই প্রজেক্টের। শ্রমিকদের বেতন দেয়ার জন্য টাকাগুলো ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল’। এমন বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত হতে তাদের প্রজেক্টের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়া হয়েছে।
‘ওই টাকার মূল উৎস্য কী তার যথাযথ প্রমাণ দিতে পারলে আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে দেয়া হবে। আর না হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।’