ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছরের সম্পর্ককে ইতিহাসের সোনালি অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক গত এক দশকে এখন এক অনন্য উঁচ্চতায় পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যৌথ ভূমিকায় দুই দেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় ইস্যুতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। দুই দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে এবং আমরা এই সম্পর্ক সব সময় এগিয়ে নিতে চাই।’
সোমবার সকালে নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশনের বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ঐতিহাসিক ৫০ বছর উপলক্ষে মৈত্রী দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত ‘লগো এবং ব্যাকড্রপ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির এসব কথা বলেন শ্রীংলা।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরে আসতে পারেন ২৮ এপ্রিল
এ সময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান বক্তব্য দেন। এছড়া ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব স্মিতা পান্ডসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীংলা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযু্দ্ধের স্মৃতিচারণ করে বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় অনুষ্ঠানে যোগদান এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশে সফর আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করেছে।
তিনি বলেন দুই দেশের বন্ধুত্ব রক্তের অক্ষরে লেখা। তিনি মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের তৎকালীন সরকার, এ দেশের মানুষ এবং সেনা সদস্যদের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে ভারত যেভাবে সহযোগিতা করেছে তা বাঙালি জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে তৎকালীন ভারত সরকার ও ভারতের মানুষের ঐতিহাসিক অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ভারত সহযোগিতা না করলে আমরা হয়তো ৯ মাসে স্বাধীনতা পেতাম না।
হাই কমিশনার বলেন, দু’দেশের মধ্যে জনকূটনীতি এখন জোরদার করা হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় মৌলিক ইস্যুতেও দু’দেশের সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
পরে লগো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ছয়জন বিজয়ীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।