বাংলাদেশের পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কর্মকর্তারা এবং ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এসব নথিতে স্বাক্ষর করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে এসব নথি স্বক্ষরিত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি
বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মাঝে ভার্চ্যুয়াল সম্মেলন শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মোদী নয়াদিল্লি থেকে এতে অংশ নেন।
সম্মেলন চলাকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৬৫ সালের আগের পুরোনো চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেল সংযোগ পুনরায় উদ্বোধন করা হয়।
ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন দুপুর আড়াইটার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সংবাদ সম্মেলন করবেন।
প্রসঙ্গত, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এ সম্মেলনটিকে বাংলাদেশ দেখছে দুই দেশের মধ্যকার অভিন্ন ইতিহাসের প্রতি যৌথ অঙ্গিকারের নিদর্শন হিসেবে।
আরও পড়ুন: সম্পর্ককে ‘অভূতপূর্ব নতুন উচ্চতায়’ উন্নীত করার অঙ্গীকার হাসিনা-মোদির
বাংলাদেশ এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছে এবং আগামী ২০২১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের ও ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর উদযাপন করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবরে এক সরকারি সফরে ভারতে গিয়েছিলেন। মাঝে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালের মার্চে ঐতিহাসিক মুজিববর্ষ উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনে ত্বরান্বিত প্রচেষ্টা চান হাসিনা-মোদি
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ড. মোমেন বলেন ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে তা ঐতিহাসিক ও রক্তের। ভারত আমাদের সব সময়ের বন্ধু।’
‘ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক সোনালি অধ্যায়ে বিরাজ করছে। দুদেশের মধ্যকার এলবিএ ও সমুদ্র সীমাসহ বিভিন্ন ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে নজির স্থাপন করেছে,’ বলেন তিনি।